খুবি লাইভ: খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) ক্যাম্পাসের পরিবেশ গত একমাস ধরেই কেমন যেন বদলে গেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটক দিয়ে ঢুকতেই খানিকটা চমকে উঠতে হলো। চারিদিকে এক ঝাঁক তরুণ তরুণী। কিন্তু কাউকে চেনার উপায় নেই। কারণ বিভিন্ন রঙে রঙ্গীন হয়ে আছেন তারা।
আবার কয়েকজন কাঁদা মানবেরও দেখা মেললো। পাঁচ ছয়জন মিলে আবার এক জনকে ধরে নিয়ে যাচ্ছে। উদ্দেশ্য কাঁদায় নাকানি চুবানি খাওয়ানো। এত সব সোরগোলের একটাই কারণ শুরু হয়েছে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) ১৫ ব্যাচের বিদায়ের পালা। খুবিতে র্যাগ ডে চলে তিন দিনব্যাপী। আজ ছিলো প্রথম দিন। কালার ফেস্টিভাল।
কালার ফেস্টভাল বলতে হয়তো সাধারণরা রং আর কাঁদার ছোড়াছুড়িকে বুঝবেন। কিন্তু এত অল্পতে ক্ষান্ত নন খুবিয়ানরা। ২৫ টি ট্রাক আর ১০ বাসের বহর নিয়ে শিক্ষার্থীরা চক্কর দিয়ে এসেছেন খুলনা শহর। নগরীরর বোধ হয় খুব লোক জানেন না যে খুবিতে এখন র্যাগ ডে চলছে।
কারণ সারা রাস্তা খুবিয়ানরা নাচতে নাচতে গিয়েছেন। সাথে তো ডি জে ছিলোই। বিদায়ী ব্যাচের ছাত্রীদের পরনে ছিলো হালকা গোলাপি রঙের শাড়ি। ছাত্ররা পরেছিলেন টি-শার্ট। তবে অন্যদের সাজসজ্জায় কিন্তু কোন কমতি ছিলোনা। সবাই এসেছিলেন বেশসেজে গুজেই।
বিশ্ববদ্যালের ট্রেজারার প্রফেসর সাধন রঞ্জন ঘোষ বেলা ১১টায়ে উৎসবের উদ্বোধন করেন বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে। তার পরেই শিক্ষার্থীরা বাস ও ট্রাক নিয়ে র্যালি বের হয়ে পরে। ফিরে এসেই শুরু হয় রঙের খেলা।
রঙ খেলার সাথে সাথে ডি জের সুরুের তালে নেচেছেন শিক্ষার্থীরা। এদিকে বিকাল ৪টায় মুক্ত মুক্তমঞ্চে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। আর এর মধ্য দিয়েই সমাপ্তি ঘটে কালার ফেস্টিভালের।
খুবির গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা ডিসিপ্লিনের শিক্ষার্থী সানজিদা রাজ্জাজ সম্পা বলেন, র্যাগ ডে এর মধ্যে দিয়ে জুনিয়র সিনিয়র এর সম্পর্কের বন্ধন অটুট হয়। একে অপরকে রং মাখিয়েই আরো আপন করে নিয়েছি।
ঢাকা, ০৩ অক্টোবর (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমআই
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: