বাগেরহাট লাইভ: চিতলমারী উপজেলায় নির্মমতায় প্রাণ গেছে এক কলেজছাত্রীর। এই ছাত্রীর ভাগ্যে কী ঘটেছে এনিয়ে রহস্য তৈরি হয়েছে। তাকে হত্যা করা হয়েছে নাকি তিনি আত্মহত্যা করেছেন তা জানা যায়নি।
শিপু রানী মজুমদার নামে ওই ছাত্রীর শ্বশুরবাড়ির লোকজন জানান, তিনি পারিবারিক কলহের জেরে আত্মহত্যা করেছেন। তবে ওই ছাত্রীর পরিবারের সদস্যদের দাবি তাকে নির্যাতন করে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। মাকসেবনের টাকা চেয়ে না পেয়ে তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ তাদের। নিহত শিপু গোপালগঞ্জ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে ডিগ্রী (বিএ) প্রথম বর্ষের ছাত্রী ছিলেন।
এদিকে মঙ্গলবার কলেজছাত্রী শিপুর লাশ ময়না তদন্তের জন্য বাগেরহাট মর্গে পাঠানো হয়েছে। এঘটনায় চিতলমারী থানায় ইউডি মামলা হয়েছে।
নিহত কলেজ ছাত্রী শিপুর বড় ভাই মানিক মজুমদার জানান, প্রায় ছয় মাস আগে চিতলমারী উপজেলার বড়বাড়িয়া পশ্চিমপাড়া গ্রামের সাগর ঢালীর পুত্র পার্থ ঢালীর সাথে তার বোনের বিয়ে হয়। বিয়ের পরে জানা যায় পার্থ ঢালী মাদকাসক্ত এবং বেকার। প্রায়ই তার বোনকে টাকার জন্য নির্যাতন করতো।
সোমবার বিকেলে তার বোন মোবাইলে জানাচ্ছিল সে আর নির্যাতন সইতে পারছে না। এসময় তাকে সেখান থেকে নিয়ে যওয়ার জন্য ভাইয়ের কাছে আকুতি জানায়। ভাইয়ের সাথে মোবাইলে কথা চলাকালে শিপুকে মারপিট করা হচ্ছিল বলে মানিক মজুমদার দাবি করেন। তারা দ্রুত বোনের বাড়িতে যায় এবং দেখে শিপুর লাশ পড়ে আছে পার্থ ঢালীর উঠোনে।
শিপু রানীর শ্বাশুড়ী বড়বাড়িয়া জোনাব আলী ফকির মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মালতী রানী নাথ দাবি করেন, তাবিজকবজ নিয়ে মনোমালিন্য হয়। এরপর পুত্রবধু শিপু ঘরে নিজের ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে।
চিতলমারীর বড়বাড়িয়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই মো: রফিকুল ইসলাম জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
ঢাকা, ০৪ সেপ্টেম্বর (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমআই
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: