লাইভ প্রতিবেদক: মণিরামপুর ডিগ্রি কলেজের (রাষ্ট্রবিজ্ঞান) অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী লাবণী দাসকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে শ্বশুর বাড়ির লোকজন। নব বিবাহিত ওই ছাত্রীর মেহেদীর রঙ শুকানোর আগেই লাশ হতে হলো তাকে।
নিহতের স্বজনদের দাবি, যৌতুকের দাবিতে শ্বশুর বাড়ির লোকজন ওই নববধুকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ করছে নিহতের স্বজনরা। ঘটনাটি ঘটেছে যশোরের মণিরামপুর উপজেলার নেহালপুর গ্রামে। পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে ময়না তদন্ত শেষে নিহতের স্বজনদের কাছে তা হস্তান্তর করে। নিহত লাবণী দাস মণিরামপুর ডিগ্রি কলেজের অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিলেন।
বুধবার সকাল ১০টায় উপজেলার নেহালপুর গ্রামের স্বামীর বাড়ি থেকে গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় ঝুলন্ত লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ। এসময় লাবণীর বাম হাতের রগ কাটা অবস্থায় দেখা যায়। এছাড়াও মুখের ভেতরে বেশ কিছু টিস্যু পেপার ঢুকানো ছিল।
নেহালপুর পুলিশের এসআই খাইরুল বাসার জানান, এই ঘটনায় মেয়েটির বাবা থানায় একটি মামলা করেছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে পারিবারিক কলহের জেরে লাবণী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত সঠিক ভাবে কিছু বলা যাচ্ছে না।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, গত ১০ আগস্ট সাতক্ষীরার এক তরুণের সঙ্গে লাবণীর বিয়ে ঠিক করেন তার বাবা। কিন্তু বিয়ের আগের রাতে প্রেমিক পরেশ দাসের হাত ধরে পালিয়ে বিয়ে করেন লাবণী। পরেশ দাস নেহালপুরের গৌর দাসের ছেলে। তিনি যশোর সরকারি এমএম কলেজের মাস্টার্স (বাংলা) শেষ বর্ষের ছাত্র।
লাবণীর শ্বশুরবাড়ির লোকজন বলছেন, রাতের খাবার খেয়ে ননদ চায়নাকে সঙ্গে নিয়ে ঘরে ঘুমাতে যান তিনি। সকালে ঘুম থেকে উঠে তারা লাবণীকে ঝুলতে দেখে পুলিশে খবর দেন। তবে, লাবনীর সঙ্গে ঘুমাতে যাওয়া চায়না ঘটনার কিছুই জানে না বলে পুলিশকে জানিয়েছে।
নিহতের মা লিপিকা দাস জানান, শ্বশুরবাড়ির লোকজন আমার মেয়েকে শ্বাসরোধে হত্যা করেছে। হত্যার সময় হাতের রগ কেটে ফেলেছে। এই ঘটনা চাপা দেওয়ার জন্য এখন তারা লাশের গলায় ওড়না জড়িয়ে আড়ার সাথে ঝুলিয়ে রেখে আত্মহত্যা বলে চালানোর চেষ্টা করছে।
ঢাকা, ২৯ আগস্ট (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমআই
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: