লাইভ প্রতিবেদক : কুমুদ তুরফা হেনা। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিনান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগে মাস্টার্সে পড়াশোনা করছিলেন তিনি। আর কদিন বাদেই তিনি চাকরিতে ঢুকতেন। এর আগেই জীবনের মায়া ত্যাগ করে চলে গেছেন পরপারে। বাবার সঙ্গে অভিমান করে আত্মহত্যার ভয়ংকর পথ বেছে নিয়েছেন তিনি। তার ওই ভয়ংকর পথে পা বাড়িয়েছেন বয়ফ্রেন্ড রোকনুজ্জামান রোকন ওরফে রনকও। গার্লফ্রেন্ডের মৃত্যুর দুই ঘন্টার মাথায় ওই ছাত্র ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেন। একই বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থীর এমন কাণ্ডে ক্যাম্পাসে তোলপাড় শুরু হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে এখন এনিয়েই আলোচনা, হাহুতাশ। অন্যদিকে স্বজনদের মাঝে চলছে শোকের মাতম। জীবনকে এভাবে সপে দিয়ে চলে যাওয়া কেউ মেনে নিতে পারছেন না।
জানা গেছে, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের কুমুদ তুরফা হেনার সঙ্গে একই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র রনকের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তারা গোপনে বিয়েও করেছিলেন। কিন্তু তাদের ওই বিয়ে মেনে নেননি হেনার পরিবার। তার বাবা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক আশরাফুল আলম ওই সম্পর্কের ঘোর বিরোধী ছিলেন। তিনি তার মেয়ের গোপন বিয়ে মেনে নেননি। এনিয়ে বৃহস্পতিবার তার মেয়ে হেনার সঙ্গে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়েছে। মেয়েকে বকাবকিও করেছেন শিক্ষক বাবা। একপর্যায়ে সন্ধ্যার পর বাবার সঙ্গে অভিমান করে ঘরের দরজা বন্ধ করে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে আত্মহত্যা করেন হেনা। এসময় পরিবারের সদস্যরা দরজা ভেঙে উদ্ধার করেও তাকে বাঁচাতে পারেনি। হাসপাতালে নেয়ার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে।
এদিকে গার্লফ্রেন্ডের এমন মৃত্যু মেনে নিতে পারেননি রনক। তিনিও একই পথে হেঁটেছেন। ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন তিনি। ভালোবাসার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীেদের এমন পরিনতি মেনে নিতে পারছেন না কেউ।
ইবির প্রক্টর প্রফেসর মাহবুবর রহমান জানান, বৃহষ্পতিবার সন্ধ্যায় আমাদের সহকর্মী প্রফেরস আশরাফুল আলমের মেয়ে হেনা ঝিনাইদহের বাসায় গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেন। এর ঘন্টা দুই পরে সংবাদ পাই একই বিভাগের ছাত্র রোকনুজ্জামান ট্রেনের নিচে ঝাপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। তাদের মাঝে প্রেমের সম্পর্ক ছিলো। তবে হঠাৎ দু’জনই কি কারণে এমন আত্মঘাতি সিদ্ধান্ত নিলেন সে বিষয়ে এখনও স্পষ্ট কোন ধারণা পাওয়া যায়নি।
ঢাকা, ১০ আগস্ট (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//সিএস
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: