ইবি লাইভ : বিশ্ববিদ্যালয়ে একই বিভাগে পড়াশোনার সুবাদে তাদের মধ্যে ভালোবাসার সম্পর্ক গড়ে ওঠে। মনপ্রাণ সপে দিয়ে একে অপরকে ভালোবেসেছিলেন তারা। ক্যাম্পাসে অনেকটা চুটিয়ে প্রেম করেছেন তারা। তবে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের ওই প্রেমিক জুটির পরিণতিটা ভালো হয়নি। বোকার মতো ভয়ংকর পথে হেঁটেছেন তারা। যে পথ থেকে আর ফেরার সুযোগ নেই। অন্তিম ওই পথেই পা বাড়িয়েছেন। ভয়ংকর কাণ্ড ঘটিয়ে চলে গেছেন না ফেরার দেশে। ভালোবাসার নজির সৃষ্টি করেছেন বটে! এই নজির বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষার্থীদের মনে দাগ কাটলেও একটি কালো অধ্যায় হয়েই থাকবে।
জানা গেছে, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১১-২০১২ বর্ষের মাস্টার্স শেষ বর্ষের অধ্যয়নরত ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের ছাত্রী হেনার সঙ্গে একই বিভাগের ছাত্র রোকনুজ্জামান রোকনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। অজানা কারণে মনোমালিন্য নিয়ে হেনা নামে ওই ছাত্রী বৃহষ্পতিবার রাতে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে আত্মহত্যা করেন। তিনি একই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক প্রফেসর আশরাফুল আলমের মেয়ে।
এদিকে গার্লফ্রেন্ডের এমন আত্মহত্যার সংবাদ শুনে নিজেকে আর ধরে রাখতে পারেননি একই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ও কুষ্টিয়া শহরের পিয়ারাতলার একটি ছাত্রবাসের বাসিন্দা রোকনুজ্জামান রোকন। চুয়াডাঙ্গার এই ছেলেটি রাত সাড়ে ৮টার দিকে সদর উপজেলার মতি মিয়ার রেলগেইট নামক স্থানে পোড়াদহ থেকে ছেড়ে যাওয়া গোয়ালন্দগামী শাটল ট্রেনের নীচে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ইবির প্রক্টর প্রফেসর মাহবুবর রহমান। তিনি জানান, বৃহষ্পতিবার সন্ধ্যায় আমাদের সহকর্মী প্রফেরস আশরাফুল আলমের মেয়ে হেনা ঝিনাইদহের বাসায় গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেন। এর ঘন্টা দুই পরে সংবাদ পাই একই বিভাগের ছাত্র রোকনুজ্জামান ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। তাদের মাঝে প্রেমের সম্পর্ক ছিলো। তবে হঠাৎ দু’জনই কি কারণে এমন আত্মঘাতি সিদ্ধান্ত নিলেন সে বিষয়ে এখনও স্পষ্ট কোন ধারণা পাওয়া যায়নি।
পোড়াদহ জিআরপি থানার ওসি আব্দুল আজিজ জানান, ওই ছাত্রের লাশ উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
ঢাকা, ১০ আগস্ট (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//সিএস
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: