Azhar Mahmud Azhar Mahmud
teletalk.com.bd
thecitybank.com
livecampus24@gmail.com ঢাকা | রবিবার, ১৯শে মে ২০২৪, ৪ঠা জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
teletalk.com.bd
thecitybank.com

ইবি শিক্ষার্থীর অভিনব আবিষ্কার

প্রকাশিত: ৭ আগষ্ট ২০১৮, ২১:৩৪

ইবি লাইভ: সাতক্ষীরা জেলার ছেলে সজীব সাহা। ছোট কাল থেকেই নতুন নতুন যন্ত্র আবিষ্কারের স্বপ্ন দেখতো সে। বিজ্ঞানের এই উৎকর্ষতার যুগে মাথার মধ্যে তার সবসময় ঘুরপাক খায় কিভাবে মানুষের মাঝে নিজেকে নতুনভাবে উপস্থাপন করা যায়।

সজীব সাহা এমএসসিতে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে সে অনেকগুলো প্রজেক্টের কাজ করেছেন যেমন: ভয়েস কন্ট্রোলড হোম অ্যাপ্লিকেশন, সর্ট ডিসটেন্স রাডার ইউজিং আল্ট্রাসনিক, ডিসটেন্স মেজারমেন্ট ইউজিং আলট্রাসনিক সহ কয়েকটি প্রজেক্টের কাজ।

তবে এবার এক অভিনব রোবট আবিষ্কার করে তাক লাগিয়ে দিয়েছে সবাইকে। তার আবিষ্কৃত প্রজেক্টের নাম ‘স্মার্ট ফোন কন্ট্রোল অবজেক্ট পিকিং রোবট।’ এই রোবটের মাধ্যমে সম্পূর্ন স্মার্ট ফোন দ্বারা কন্ট্রোল করে কোন বক্সকে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় সরিয়ে নেওয়া যাবে। এতে ৪ চাকা সমৃদ্ধ গাড়ি আছে যা কোন বক্সকে পরিবহনের কাজে এবং উদ্ধার কাজে ব্যবহার করা যাবে বলে জানান তিনি।

রোবটটিতে একটি মেকানিকাল হাত আছে যার মাধ্যমে কোন বক্সকে যেকোন দিকে ১৮০ ডিগ্রী কোনে ঘোরানো যাবে। মেকানিকাল হাতটি ডানে-বামে, উপরে-নিচে সবদিকে ঘোরানো যাবে। এটি স্মার্ট ফোনের মাধ্যমে ৫০ মিটার পর্যন্ত নিয়ন্ত্রন করা যাবে, তবে প্রয়োজন অনুসারে ওয়াইফাই মডিউল ব্যবহার করলে অনেক দূর থেকে এটা নিয়ন্ত্রন করা যাবে। যদি রোবটটির সাথে ক্যামেরা ও কালার সেন্সর ব্যবহার করা যায়, তবে এটি নির্দিষ্ট বর্ণের বক্সকে নিজ থেকেই স্বয়ংক্রিয়ভাবে উঠাতে (চিনতে) পারবে এবং অপারেটর ক্যামেরার ছবি দেখে অনেক দূর থেকেও যন্ত্রটিকে নিয়ন্ত্রন করতে পারবে।

যে সকল স্থানে যাতায়াত ঝুঁকিপূর্ণ, সেখানে এ রোবটের মাধ্যমে কোন বস্তু আনা বা পাঠানো যাবে। একজন অপারেটরের মাধ্যমে এমন অনেকগুলো রোবট নিয়ন্ত্রন করা সম্ভব, যার ফলে সকল ক্ষেত্রে জনশক্তি কম লাগবে এবং ঝুঁকিও থাকবে না।

এ অভিনব যন্ত্রের আবিষ্কারক সজীব সাহা বলেন, আমার জানা মতে এমন প্রজেক্টের কাজ বাংলাদেশে এই প্রথম। এটি তৈরিতে আমার প্রায় ৪ হাজার টাকা ব্যয় হয়েছে। উন্নত প্রযুক্তির যন্তপাতি ব্যবহার করলে রোবটটির দ্বারা অনেক কাজ করানো সম্ভব হবে। যেমন, কলকারখানায় ব্যবহারের ফলে খরচ ও জনবল দুটিই কম প্রয়োজন হবে।

ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথা জানতে চাইলে সজীব সাহা বলেন, ‘ভবিষ্যতে আমি বড় কোন কোম্পানির ইলেক্ট্রিকাল ইঞ্জিনিয়ারিং সেক্টরে কাজ করতে চাই এবং দেশকে বিজ্ঞানের দিক থেকে আরো এক ধাপ এগিয়ে নিতে চাই।’

 

 

ঢাকা, ০৭ আগস্ট (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমআই


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

সম্পর্কিত খবর


আজকের সর্বশেষ