ইবি লাইভ: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) সেই শিক্ষকদ্বয়ের দ্বায়িত্বে থাকা বিভিন্ন পদ হতে সাময়িক অব্যহতি প্রদান করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তদন্ত কার্যে স্বচ্ছতার জন্য তাদেরকে এসব পদ হতে সাময়িক অব্যহতি প্রদান করা হয়েছে বলে জানা যায়। সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এসএম আব্দুল লতিফ স্বাক্ষরিত পৃথক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।
নিয়োগ বানিজ্যের সাথে জড়িত প্রফেসর ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ বরাবর পাঠানো এক প্রজ্ঞাপন বার্তায় জানানো হয়, গত ১২ জুলাই ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের নিয়োগে প্রার্থী ফারজানা, তার স্বামী মামুন এবং তার মধ্যকার অডিও সংলাপ ফাঁস ও বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের অভিযোগের কারনে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
তদন্ত কার্যে স্বচ্ছতার জন্য তাকে তাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল প্রভোস্টের দ্বায়িত্ব হতে সাময়িক অব্যহতি প্রদান করা হলো। এই অন্তবর্তীকালীন উক্ত হলের প্রভোস্টের দায়িত্ব পালন করবেন উক্ত হলের হাউজ টিউটর, ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর মো: বখতিয়ার হাসান।
পৃথক আরেক প্রজ্ঞাপন বার্তায় উপরের ওই একই অভিযোগে বাংলা বিভাগের অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর ড. বাকী বিল্লাহ বিকুলকে টিএসসিসি’র পরিচালকের দ্বায়িত্ব হতে সাময়িক অব্যহতি প্রদান করা হয়।
প্রজ্ঞাপনে আরো জানানো হয়, তদন্ত রিপোর্ট অনুযায়ী পরবর্তীতে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
উল্লেখ্য, গত ১২ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের ৪টি লেকচারার পদে নিয়োগ বোর্ড অনুষ্ঠিত হয়। শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পেতে ওই বোর্ডের ফারজানা নামের এক প্রার্থী ও তার স্বামী (শাহরিয়ার আল মামুন) বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের প্রফেসর ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ ও বাংলা বিভাগের অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর ড. বাকী বিল্লাহ বিকুলের সাথে ২০ লক্ষ টাকা চুক্তি করে।
শিক্ষকদ্বয় বিভাগীয় সভাপতি প্রফেসর ড. জাহাঙ্গীর হোসেনের মাধ্যমে চাকুরি পাইয়ে দিতে তদবির করে। পরে গত ১৪ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৪১তম সিন্ডিকেটে ওই বিভাগসহ ১০টি বিভাগের ৩৭জন শিক্ষক নিয়োগ পান। এতে বাদ পড়েন ফারজানা নামের ওই প্রার্থী।
চুক্তি অনুযায়ী চাকরি না হওয়ায় তাদের কথোপকথনের অডিও ক্লিপ ফাঁস হয়ে যায় এবং যা বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে সংবাদ আকারে প্রকাশিত হয়। পরে গতকাল রবিবার উক্ত অভিযোগের সত্যতা যাচাই করতে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেন ভিসি ড. রাশিদ আসকারী।
ঢাকা, ১৬ জুলাই (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমআই
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: