Azhar Mahmud Azhar Mahmud
teletalk.com.bd
thecitybank.com
livecampus24@gmail.com ঢাকা | রবিবার, ৫ই মে ২০২৪, ২২শে বৈশাখ ১৪৩১
teletalk.com.bd
thecitybank.com

ইবিতে ছাত্রীকে যৌন হয়রানি : তদন্ত কমিটির সবাই পুরুষ!

প্রকাশিত: ১৩ জুলাই ২০১৮, ০১:৩৫

ইবি লাইভ: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের শিক্ষক কর্তৃক ছাত্রীকে হুমকি এবং নিপীড়নে ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে কর্তৃপক্ষ। তবে কমিটিতে শুধুমাত্র পুরুষ সদস্যদের রাখা হয়েছে। ছাত্রী হয়রানির তদন্তে কোনো নারী সদস্য না রাখায় বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন ওঠেছে। এদিকে অভিযুক্ত ওই শিক্ষকের পিএইচডি গবেষণার সুপারভাইজার কমিটির আহবায়ক হওয়ায় তদন্তের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

ক্যাম্পাস সূত্রে জানা যায়, বিভাগের ছাত্রীকে হয়রানি ও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ ওঠায় ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের অ্যাসিস্ট্যা্ন্ট প্রফেসর সঞ্জয় কুমার সরকারের বিরুদ্ধে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। কমিটিতে ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. অরবিন্দ সাহাকে আহবায়ক করা হয়েছে। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা প্রফেসর ড. রেজওয়ানুল ইসলাম এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের প্রভোস্ট প্রফেসর ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ।

কমিটির তিনজনই পুরুষ সদস্য হওয়ায় ওই ছাত্রী কমিটির সদস্যদের কাছে স্বাধীনভাবে কথা বলতে না পারার আশঙ্কা করছেন অনেকে। বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌন নির্যাতন রোধ ও সচেতনতাকল্পে ২০১১ সালে একটি যৌন নির্যাতন ও নিপীড়ন প্রতিরোধ সেল গঠন করা হয়। শুরু থেকেই ওই সেলের আহ্বায়কের দায়িত্বে আছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের সভাপতি প্রফেসর ড. নাসিম বানু। সেলের অন্য মহিলা সদস্যরা হলেন আইন ও শরীয়াহ অনুষদের ডিন ও আইন প্রশাসক প্রফেসর ড. রেবা মন্ডল, প্রফেসর ড. হালিমা খাতুন, প্রফেসর ড. তানজীমা পারভীনসহ কুষ্টিয়া জেলার নারী অধীকার কর্মী মমতাজ বেগম।

যৌন নির্যাতন ও নিপীড়ন প্রতিরোধ সেলে পাঁচ জন মহিলা সদস্য এছাড়াও বিভিন্ন বিভাগে অন্যান্য মহিলা শিক্ষক থাকার পরও তাদেরকে কেন কমিটিতে রাখা হয়নি? এমন প্রশ্ন খোদ ভূক্তভোগী ওই ছাত্রীর স্বজনদের। একইসাথে বিষয়টি নিয়ে সচেতন শিক্ষক মহলেও গুঞ্জন উঠেছে। শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে নানা সমালোচনাও সৃষ্টি হয়েছে। ফলে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

এবিষয়ে যৌন নির্যাতন ও নিপীড়ন প্রতিরোধ সেলের আহবায়ক প্রফেসর ড. নাসিম বানু বলেন, ‘আমিও বেশ কয়েকবার এমন সমস্যার সম্মুখীন হয়েছি। পরবর্তীতে কমিটিতে সদস্য সংখ্য বৃদ্ধি করতে হয়েছে। প্রশাসন যেহেতু একটি কমিটি করেছ। পরবর্তীতে প্রয়োজনে কমিটিতে সদস্য সংখ্যা বৃদ্ধি করে নিতে পারেন।’


ঢাকা, ১২ জুলাই (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমআই


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

সম্পর্কিত খবর


আজকের সর্বশেষ