ইবি লাইভ: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগে পছন্দর প্রাথীদের নিয়োগ দিতে ছাত্রলীগ নেতাদেরকেও শিবির তকমা লাগিয়ে বাদ দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইজ্ঞিনিয়ারিং বিভাগে নিয়োগ বোর্ডে এমনটি করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
বিভাগ ও বোর্ড সূত্রে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইজ্ঞিনিয়ারিং বিভাগে ২ টি পদের বিপরীতে শিক্ষক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে কর্তৃপক্ষ। গত ৬ জুলাই ওই বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী নিয়োগ বোর্ড (নিয়োগ পরীক্ষা ও সাক্ষাৎকার) অনুষ্ঠিত হয়। এতে লিখিত পরীক্ষায় ১১ জন প্রার্থী অংশ গ্রহন করে। এদের মধ্যে মাত্র ৬ জন প্রার্থী লিখিত পরীক্ষায় পাশ করে। পরবর্তীতে তাদের সাক্ষাকার নেয় কতৃপক্ষ।
নিয়োগ বোর্ডে বিভাগের সভাপতি প্রফেসর ড. শরিফুল ইসলাম, ভিসি প্রফেসর ড. হারুন-উর-রশিদ আসকারি, প্রো-ভিসি প্রফেসর ড. শাহিনুর রহমান ছিলেন। এছাড়া বিশেষজ্ঞ হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. মোজাফ্ফর হোসেন।
এদিকে বোর্ড সদস্যরা পছন্দের প্রার্থীদের নিয়োগ দিতে এবং মেধাবীদের বাদ দিতে ছাত্রলীগ নেতাদের নামের পাশে শিবির তকমা লাগিয়ে দিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। জানা যায়, লিখিত পরীক্ষায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় সাবেক শিক্ষার্থী খন্দকার তকদির আহমেদ (তমাল), কাজী মওদুদ আহম্মেদ, মো: রিপন শেখ, ফিরোজা নাজনীন, সুব্রত কুমার বিশ্বাস এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সুবিত সাহা পাশ করেছেন।
এদের মধ্য ছাত্রলীগের একমাত্র পদধারী প্রার্থী ইবির ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইজ্ঞিনিয়ারিং বিভাগের মো: রিপন শেখ। তিনি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের ফলিত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অনুষদ শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক। তিনি গত বছর ২৩ ডিসেম্বর বাংলাদেশ আওয়ালীগের সদস্যও হয়েছেন।
এছাড়া তিনি পারিবারিকভাবে আওয়ামীলীগ পরিবারের সন্তান। তবে সূত্র জানায় তাকে নিয়োগ না দিতে তার নামে শিবির সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ আনে বোর্ড সদস্যরা এবং বিভাগের শিক্ষকরা। এদিকে অন্য প্রার্থীরা পারিবারিকভাবে বিএনপি-জামাতের রাজনীতি করলেও তাদের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ করেনি তারা।
এভাবে শিবির তকমা দিয়ে দলীয় ছেলেদের বাদ দিলে ক্যাম্পাসে আওয়ামীলীগের রাজনীতি ও প্রতিশীলতা চর্চা হুমকির মুখে পরবেন বলে মনে করছেন প্রগতিশীল শিক্ষকরা। তারা জানায়, “বিশ্ববিদ্যালয়ে মুক্তিযুদ্ধে সপক্ষের শক্তিকে টিকিয়ে রাখতে দলীয় ছেলেদের নিয়োগ দেওয়ার বিকল্প নেই। তবে এ সুযোগে কোন ভিন্ন মতাদর্শের ছেলে যেন প্রবেশ করতে না পারে সেদিকেও প্রশাসনের খেয়াল রাখতে হবে।”
তবে বিষয়টি অস্বীকার করেছে সংশ্লিষ্টরা। তারা জানায়, “মেধাবী ও প্রগতিশীল শিক্ষার্থীদেরকেই নিয়োগ দেওয়া হবে।”
এ বিষয়ে ভিসি হারুন-উর-রশিদ আসকারী ক্যাম্পাসলাইভকে বলেন, “মেধার সাথে কোনো আপস করতে আমরা রাজি নই। তাছাড়া, সিন্ডিকেটের আগে কোনো কিছু বলা ঠিক হবে না।’’
ঢাকা, ০৯ জুলাই (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমআই
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: