যবিপ্রবি লাইভ: যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে হত্যার পর আত্মহত্যা বলে প্রচার চালানোর অভিযোহ উঠেছে। নিহত ছাত্রী বিজলি খাতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষে পড়াশোনা করতেন। বিজলি হত্যায় জড়িতদের গ্রেফতার ও বিচার দাবিতে বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন শিক্ষার্থীরা।
মানবন্ধনে বক্তব্য রাখেন নিহত বিজলি খাতুনের ভাই শাহিনুর রহমান, শিক্ষার্থী সোহেল রানা, সহপাঠী দেবশ্রী বিশ্বাস, হুমাইয়ারা আজমি এরিন প্রমুখ।
এসময় নিহত বিজলির ভাই অভিযোগ করেন, বিজলিকে যৌতুকের দাবিতে তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন নির্যাতন করতো। গত ১ জুলাই শ্বশুরবাড়ি থেকে জানানো হয় বিজলি অসুস্থ তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পরে হাসপাতালে গিয়ে দেখি আমার বোনের লাশ হাসপাতালে রেখে তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন পালিয়েছে।
তিনি বলেন, বিজলি হত্যার ঘটনায় স্বামী সেলিম হোসেনসহ ৫জনকে আসামি করা হলেও পুলিশ কাউকে আটক করতে পারেনি। অবিলম্বে তাদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন তিনি।
উলেখ্য, যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার সলুয়া গ্রামের সেলিম হোসেনের সঙ্গে প্রায় তিন বছর আগে বিজলি খাতুনের বিয়ে হয়। বিজলি ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার নাটোপাড়া গ্রামের সাইফুল খানের মেয়ে।
ঢাকা, ০৪ জুলাই (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমআই
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: