Azhar Mahmud Azhar Mahmud
teletalk.com.bd
thecitybank.com
livecampus24@gmail.com ঢাকা | বৃহঃস্পতিবার, ২রা মে ২০২৪, ১৮ই বৈশাখ ১৪৩১
teletalk.com.bd
thecitybank.com

অস্তিত্বহীন প্রতিষ্ঠান: দুই শিক্ষক যেভাবে ২৪ বছর বেতন তুলেছেন

প্রকাশিত: ৩০ জুন ২০১৮, ০৩:২৩

খুলনা লাইভ: এ কেমন সমাজ। এ কেমন শিক্ষক। তাদের নীতি নৈতিকতা বলতে কিছু নেই? এমন প্রশ্নই এখন খুলনার বিভিন্ন অঞ্চলে। জানাগেছে খুলনা পাইকগাছা উপজেলার কপিলমুনির লতার বাহিরবুনিয়া এবতেদায়ী (স্বতন্ত্র) মাদ্‌রাসাটি প্রতিষ্ঠার ৩৪ বছরে অবকাঠামোগত অস্তিত্ব তৈরি হয়নি। তবে প্রায় দুই যুগ ধরে এমপিও’র বেতন-ভাতা ভোগ করছেন  সেখানকার দুই শিক্ষক। 
 
অস্তিত্বহীন প্রতিষ্ঠানটির কাগজে-কলমে ২৫১৮ ফুটের ৪টি শ্রেণিকক্ষ ও শিক্ষার্থীদের শতভাগ উপস্থিতি দেখালেও বাস্তবতা বলছে ভিন্ন কথা। সর্বশেষ সরকারের এবতেদায়ী পর্যায়ে জাতীয়করণের আশ্বাসে তড়িঘড়ি করে পানির ওপর বাঁশ-খুঁটির আস্তরণ আর শিক্ষক নিয়োগে শুরু হয়েছে ভিন্ন মাত্রার দুর্নীতি। কাগুজে প্রতিষ্ঠানে কখন কে শিক্ষক হন আর কখনই বা বাদ যান তার যেমন হিসেব নেই তেমনি কারা কোথায় পাঠ নেয় সেখানে, তাও জানা নেই এলাকাবাসীর। 
 
জানা গেছে, উপজেলার লতা ইউনিয়নের আরশাদ গাজীর ছেলে শহিদুল গাজী ১৯৮৪ সালে দুর্গম জনপদে ইসলাম শিক্ষা প্রসারে বাহিরবুনিয়া এবতেদায়ী স্বতন্ত্র মাদ্‌রাসা নামে একটি মাদ্‌রাসা প্রতিষ্ঠা করেন।
২০০৯-২০১৫ সাল পর্যন্ত এই প্রতিষ্ঠানটি সরকারি অনুদান পায়নি। স্থানীয় লতা ইউপি’র চেয়ারম্যান দিবাকর বিশ্বাস জানান, মাদ্‌রাসাটির বর্তমান কাগুজে সুপার শহিদুল ইসলাম তাকে ভুল বুঝিয়ে ২০১৭ সালের ২৫শে জুলাই ৩নং লতা/৫১৮/২০১৮ নং স্মারকে মাদ্‌রাসাটি চালু আছে মর্মে একটি প্রত্যয়নপত্র নেয়।
 
সংশ্লিস্টরা জানান, প্রতিষ্ঠানটির নিজস্ব কোনো ঘর ও ছাত্র-ছাত্রী না থাকলেও স্থানীয় জনৈক শাহজাহান মাস্টারের একটি প্রাইভেট পড়ানোর ঘর মাদ্‌রাসা হিসেবে  দেখানো হতো বলে এলাকাবাসী জানিয়েছেন। সরকারের সর্বশেষ ইবতেদায়ী পর্যায়ের মাদ্‌রাসাগুলোকে জাতীয়করণের আশ্বাসে নতুন উদ্যমে রীতিমত নড়েচড়ে বসেছেন সংশ্লিষ্ট তথাকথিত কর্তৃপক্ষ। শেষ সময়ে সাইদুর রহমান মোল্লা, শহীদুল ইসলাম ও গোলাম মোস্তফাকে স্বঘোষিত শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হয়েছে। 
 
এর আগে কাউকে না জানিয়ে চুপিসারে গঠন করা হয়েছে মাদ্‌রাসার পরিচালনা পরিষদ। যেখানে প্রতিষ্ঠানটির সভাপতি দেখানো হয়েছে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে। এ ব্যাপারে মাদ্‌রাসার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি শহিদুল ইসলাম গাজী ক্যাম্পাসলাইভকে বলেন, যাদেরকে মাদ্‌রাসার বর্তমান শিক্ষক হিসেবে দেখানো হয়েছে তাদের কাউকে এলাকায় পর্যন্ত দেখা যায় না। 
 
এমনকি তাদের অবস্থান সম্পর্কে খোঁজ-খবর নিতে তাদের স্ব স্ব এলাকায় গিয়ে নিজ নিজ কাজে ব্যস্ত থাকতে দেখা যায়। এ ধরনের কাজকে এলাকাবাসী আদৌ সমর্থন করেননি বলে সংশ্লিস্টরা জানিয়েছেন।
 
 
ঢাকা, ২৯ জুন (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এইউবি

আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

সম্পর্কিত খবর


আজকের সর্বশেষ