Azhar Mahmud Azhar Mahmud
teletalk.com.bd
thecitybank.com
livecampus24@gmail.com ঢাকা | শুক্রবার, ১৭ই মে ২০২৪, ৩রা জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
teletalk.com.bd
thecitybank.com

ইবির সেই কর্মকর্তার সংবাদ সম্মেলন!

প্রকাশিত: ২৮ মে ২০১৮, ০৪:১০

ইবি লাইভ: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি ) শহীদ জিয়াউর রহমান হলের উপ-রেজিস্ট্রার আলমগীর হোসেনের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবি করেছেন তিনি। রবিবার ইবি কর্মকর্তা সমিতির কার্যালয়ে এক সাংবাদিক সম্মেলনে এসব দাবি তুলে ধরেন তিনি।

১০ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে গত বৃহস্পতিবার জামিন নামঞ্জুর করে নড়াইল সদর নালিশি আদালতের বিচারক জাহিদুল আজাদ তাকে জেলহাজতে প্রেরণ করেন।

জানা যায়, পূর্ব পরিচয়ের জের ধরে নড়াইল সদর উপজেলার লস্করপুর গ্রামের অহিদুজ্জামান ও বাগবাড়ি গ্রামের সহিদুল ইসলামের কাছ থেকে আলমগীর হোসেন খান সিঙ্গাপুর পাঠানোর নাম করে ১০ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়।

গত বছরের ৫ জানুয়ারি স্ট্যাম্পে লিখিত চুক্তি করে তাদের ৬ মাসের মধ্যে সিঙ্গাপুর পাঠানোর চূড়ান্ত কথা হয়। তিনি অহিদুজ্জামান ও সহিদুল ইসলামের পাসপোর্ট করার ব্যবস্থা করেন। এরপর তারা আলমগীরের কাছে বিদেশ যাওয়ার তারিখ জানতে চাইলে আজ-কাল বলে বলে টাল বাহনা শুরু করে।

একপর্যায়ে অহিদুজ্জামান ও সহিদুল তার কাছে টাকা ফেরত চাইলে টাকা না দিয়ে নানা ছলচাতুরির আশ্রয় নেয়। নিরুপায় হয়ে শহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে নড়াইল সদর নালিশি আদালতে মামলা করেন।

তার বিরুদ্ধে আনিত এসব অভিযোগ মিথ্যা দাবি করে ইবি শাখা ছাত্রলীগের সাবেক এই সাধারণ সম্পাদক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, আমার স্ত্রীর বড় ভাই মাসুম রেজার স্ত্রী হীরা খানম গতবছর ০৪-০২-১৬ তারিখে ঢাকা সিটি কর্পোরশনে স্বামীকে তালাকের জন্য আবেদন করেন।

সিটি কর্পোরেশন থেকে দুই বার নোটিশ আসার পর আমরা তার কাছে আবেদন প্রত্যাহারের অনুরোধ করি। তিনি আমাদের কথা না শুনে রামপুরা থানায় স্বামীর বিরুদ্ধে জিডি করে। তখন আমরা মাসুম রেজাকে নিয়ে আসার পর তার স্ত্রী ঢাকার বিভিন্ন থানায় কয়েকটি মামলা করে।

গতবছরের মে মাসের ৪ তারিখে তালাক চুড়ান্ত হলে মাসুম তার ছেলেকে পাওয়ার জন্য পারিবারিক আদালতে মামলা দায়ের করে। পরে হিরা খানমের আত্মীয় হায়াতুর মোল্লা বাদী হয়ে তাকে সহ আমাকে নড়াইল জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেন। তদন্ত কর্মকর্তা উক্ত মামলা থেকে আমাকে অব্যহতি দিলেও আবার ২৮-১১-১৭ তারিখে

শহিদুল ইসলাম বাদি হয়ে ৪০৬/৪২০ ধারায় আরেকটি নালিশি অভিযোগ দাখিল করেন। কাগজপত্র তুলে দেখলাম আমার স্বাক্ষর জাল করে ০৫-০১-২০১৭ তারিখ দিয়ে স্কানিং করে স্টাম্পে জাল চুক্তি করে আমার বিরুদ্ধে নালিশি মামলা করেন।

অথচ আমি কখন নড়াইলে গমন করেনি। এই মামলা হওয়ার পর তদন্ত কর্মকর্তা যুব উন্নয়ন অফিসার, নড়াইলের এক বার হাজিরা দিয়েছি। গত ১৭-০৫-১৮ তারিখে আদালতে হাজিরার সমন দেওয়া হয়েছিল।

উক্ত আদালতে হাজিরা দিতে নিজেকে নিরাপত্তাহীন মনে করায় আমি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানায় জিডি করে হাজিরা দিতে যায়। ঐ দিন আদালত আমার জামিন নামঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরণ করে। পরে তার ৪ দিন পরে আমি ঐ আদালত থেকে জামিন নিয়ে বের হয়। সুতরাং আমার বিরুদ্ধে আনিত এসব অভিযোগ মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন।

সংবাদ সম্মেলনে এসময় উপস্থিত ছিলেন ইবি কর্মকর্তা সমিতির সভাপতি শামছুল ইসলাম জোহা, সাধারণ সম্পাদক মীর মোর্শেদুর রহমান, ইবি প্রেসক্লাবের সভাপতি ইকবাল হুসাইন রুদ্র, সাধারণ সম্পাদক আসিফ খান, ইবিসাসের সভাপতি আব্দুল্লাহ আল ফারুক, সাধারণ সম্পাদক ইমরান শুভ্রসহ কর্মরত অন্যান্য সাংবাদিকবৃন্দ।

 


ঢাকা, ২৭ মে (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমআই


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

সম্পর্কিত খবর


আজকের সর্বশেষ