চুয়াডাঙ্গা লাইভ : চুয়াডাঙ্গায় বন্ধুরা মিলে সাকিব নামে এক ছাত্রকে গলাকেটে হত্যা করেছে। বান্ধবীর সঙ্গে প্রেম করতে নিষেধ না মানায় ওই ছাত্রকে হত্যা করেছে তারই বন্ধুরা। এঘটনায় আটক বন্ধুরা পুলিশের কাছে সাকিবকে হত্যার দায় স্বীকার করে স্বীকারোক্তি দিয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার কার্যালয় মিলানায়তনে পুলিশ সুপার মাহাবুবুর রহমান পিপিএম এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান।
পুলিশ সুপার সাংবাদিকদের জানান ‘সাকিব হত্যাকাণ্ডে জড়িত তার দুই বন্ধুকে তাদের বাড়ি থেকে সোমবার দিবাগত রাত ১টার দিকে আটক করা হয়। উদ্ধার করা হয় নিহত সাকিবের মোটরসাইকেল ও তার ডিএসএলআর ক্যামেরা। তারা হল, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার হাতিকাটা গ্রামের রাশিদুল ইসলামের ছেলে চুয়াডাঙ্গা টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ৯ম শ্রেণীর ছাত্র তৌফিকুল ইসলাম তপু (১৬) ও একই উপজেলার দৌলাতদিয়াড়ের ইসতিয়ার হোসেনের ছেলে পাভেল (১৬)।
নিহত সাকিব ঘাতক তপুর এক বান্ধবীর বয়ফ্রেন্ড ছিল। ওই বান্ধবীর সঙ্গে মোবাইলে কথা না বলার জন্য তপু বারণ করে সাকিবকে। এর কয়েক মাস আগে সাকিব তার কিছু বন্ধুসহ তপুকে মারধর করে। ওই ঘটনার জের ধরে সোমবার (১৪ মে) সকাল ১০টার দিকে সাকিবকে তার বাড়ি থেকে তপু ও পাভেল বেড়াতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে ডেকে নিয়ে যায়। ফেরার পথে তাকে হত্যা করা হয়। গত সোমবার সন্ধ্যায় দামুড়হুদার উপজেলার গোপিনাথপুর গ্রামের ভাইমারা খালের পশ্চিম পাশে নিয়ে তাকে হত্যা করা হয়। প্রথমে তপু সাকিবের গালে জোরে থাপ্পড় মারলে সে মাটিতে পড়ে যায়। এ সময় কোমরের বেল্ট দিয়ে শাকিবের গলা চেপে ধরে তারা। তারপর তপু ব্লেড দিয়ে শ্বাসনালি কেটে তাকে হত্যা করে।
এ ব্যাপারে দামুড়হুদা মডেল থানায় মামলা হয়েছে বলে সেখানকার ওসি আকরাম হোসেন জানান।
ঢাকা, ১৬ মে (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//সিএস
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: