ইবি লাইভ : ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) আবাসিক লালন শাহ হল থেকে অস্ত্র উদ্ধারের জেরে তাণ্ডব চালিয়েছে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এসময় ভাংচুরের হাত থেকে বাদ যায়নি বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালও। এছাড়া ক্যাফেটেরিয়া, নির্মানাধীন রবীন্দ্র নজরুল কলা ভবনসহ ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থাপনায় ভাংচুর চালায় তারা। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় লালন শাহ হল থেকে চারটি চাপাতি এবং ১১ বোতল ফেনসিডেলসহ এক বহিরাগত মাদকসেবীকে আটকের পর থেকেই তাণ্ডব শুরু হয়। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্টরের পদত্যাগ দাবিতে কয়েক ঘন্টা বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, বিশেষ অভিযানে সন্ধ্যা ৬টার দিকে লালন শাহ হলের ১২৮নং কক্ষ থেকে সভাপতির কর্মী ও বহিরাগত দানিয়েল এবং লোকপ্রশাসন বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আকাশ এবং বহিরাগত রফিকুলকে আটক করেন প্রক্টর ড. মাহবুবর রহমান।
এসময় তার সঙ্গে প্রক্টরিয়াল বডির সদস্য এবং আনসার সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। কক্ষটি থেকে চারটি চাপাতি, ১১ বোতল ফেনসিডিল জব্দ করা হয়। পরে তাদেরকে ইবি থানায় সোপর্দ করা হয়।
আটকের পর লালন শাহ হল থেকে তিন শতাধিক নেতাকর্মী প্রক্টরের পদত্যাগের দাবিতে লাঠি নিয়ে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করেন। এসময় তারা ক্যাম্পাসে ব্যাপক ভাংচুর চালায়।
এতে ডায়না চত্বর ও আশেপাশে বিভিন্ন স্থাপনা, বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল, সিসি ক্যামেরা, ক্যাফেটেরিয়ার জানালার গ্লাস এবং রবীন্দ্র-নজরুল কলা ভবনে ভাংচুর চালায়। মিছিলে পর পর প্রায় ডজন দুয়েক ককটেলের বিষ্ফোরণ ঘটে। ঘটনার পর থেকে পুরো ক্যাম্পাসে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
প্রক্টর প্রফেসর ড. মাহবুবর রহমান বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আমরা ওই কক্ষে অভিযান চালিয়েছি। দানিয়েল নামের এক বহিরাগতকে ব্যাগভর্তি মাদক ও বিভিন্ন সরঞ্জামসহ হাতেনাতে আটক করা হয়েছে। রফিকুল নামে এক বহিরাগত পালিয়ে গেছে।
ঢাকা, ২৮ মার্চ (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//সিএস
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: