খুলনা লাইভ : খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) গণিত বিভাগের এসিস্ট্যান্ট প্রফেসর মো. ওয়াহিদুজ্জমানের বিরুদ্ধে স্ত্রীকে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। তিনি বাসায় কলগার্ল নিয়ে ফূর্তি করেন বলেও অভিযোগ উঠেছে। এসব বিষয়ে প্রতিবাদ করায় স্ত্রীকে নির্যাতন করেন তিনি। এঘটনার বিচার ও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তাকে বহিস্কারের দাবিতে শনিবার খুলনা নগরীর পিকচার প্যালেস মোড়ে মানববন্ধন করা হয়েছে। খুলনার সম্মিলিত মানবাধিকার পর্ষদের উদ্যোগে ওই মানববন্ধন করা হয়।
পরে সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট আ.ফ.ম. মহসিন। পরিচালনা করেন বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থা খুলনার সমন্বয়কারী অ্যাডভোকেট মো. মোমিনুল ইসলাম ও আমরা খুলনাবাসীর সাধারণ সম্পাদক মো. মাহবুবুর রহমান খোকন। বক্তৃতা করেন মানবাধিকার কর্মী শেখ আব্দুল হালিম, ডা. সৈয়দ মোসাদ্দেক হোসেন বাবলু, স. ম. হাফিজুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট শাহারা ইরানী প্রিয়া, মানবাধিকার সংগঠন অধিকার খুলনার ফোকাল পার্সন মুহাম্মদ নূরুজ্জামান,নারী সংগঠক সিলভী হারুণ, বাংলাদেশের কমিউনিষ্ট পার্টি নগর শাখার সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান বাবু, রেজাউল আলম চৌধূরী বিপ্লব এবং শিক্ষক ওয়াহিদুজ্জামান কর্তৃক নির্যাতনের শিকার মোছা. জান্নাত আরা ফেরদৌস।
উল্লেখ্য, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) গণিত বিভাগের শিক্ষক মো. ওয়াহিদুজ্জামানের বিরুদ্ধে ১০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি ও মানসিক-শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগে স্ত্রী জান্নাত আরা ফেরদৌস খুলনা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন। জান্নাত আরা ফেরদৌস যশোর সরকারি এম এম কলেজের দর্শন বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্রী।
তিনি অভিযোগ করেন, ২০১৫ সালের ২৭ মার্চ খুবি’র গণিত ডিসিপ্লিনের এসিস্ট্যান্ট প্রফেসর মো. ওয়াহিদুজ্জামানের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। বিয়ের পর খুলনা মহানগরীর নিরালা আবাসিক এলাকার একটি ভাড়া বাসায় তাকে তোলা হয়। সেখানে মাস চারেক ভালভাবে সংসার চলে। তারপর শুরু হয় অশান্তি। তার দুর্ব্যবহার সত্ত্বেও তিনি মানিয়ে চলার চেষ্টা করেন। তিনি সন্তান সম্ভবা হলে সেই বাচ্চা নষ্ট করার কথা বলে। কয়েকবার বাচ্চা নষ্ট করার জন্যে তাকে শারীরিকভাবে আঘাতও করা হয়। ওই শিক্ষক কলগার্ল বাসায় এনে ফূর্তি করেন বলেও অভিযোগ করেন তিনি। কিছুদিন পর সন্তানসহ তাকে গাজীপুরে নিয়ে আটকে রেখে নির্যাতন এবং যৌতুক দাবি করেন। পরে খুলনায় এসে প্রচণ্ড নির্যাতনের শিকার হতে হয়। অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার জন্য ১০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন ওই শিক্ষক। অস্বীকৃতি জানালে সন্তানসহ তাকে মেরে বাড়ি থেকে বের করে দেন। এসব বিষয়ে ভার্সিটিতে গিয়ে তার ডিসিপ্লিন প্রধানের কাছে অভিযোগ করলে তিনি একটি ভূয়া ডিভোর্স লেটার দেখান। তিনি বলেন, এসব বিষয়ে তার বিরুদ্ধে আদালতে একাধিক মামলা দায়ের করা হয়েছে।
ঢাকা, ১১ মার্চ (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//সিএস
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: