Azhar Mahmud Azhar Mahmud
teletalk.com.bd
thecitybank.com
livecampus24@gmail.com ঢাকা | শুক্রবার, ৩রা মে ২০২৪, ২০শে বৈশাখ ১৪৩১
teletalk.com.bd
thecitybank.com

ইবি'তে উত্ত্যক্ত: পুলিশ থেকে মদ্যপ কর্মীকে কেড়ে নিল ছাত্রলীগ

প্রকাশিত: ২২ জানুয়ারী ২০১৮, ০৩:১০

ইবি লাইভ: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) মদ্যপ ও ছাত্রী উত্ত্যক্তকারী দুই ছাত্রলীগ কর্মীকে পুলিশে দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর। এর পর পুলিশের কাছ থেকে ওই দুই কর্মীকে ছিনিয়ে নিয়েছে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। ছিনিয়ে নেওয়া দুই ছাত্রলীগ কর্মী হলেন, ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী ইউসুফ এবং রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ইমতিয়াজ।

জানা গেছে, ওই দু’জনসহ এক বহিরাগতকে ছাত্রীদের উত্ত্যক্ত করার অভিযোগে মদ্যপ অবস্থায় আটক করে পুলিশে দেন প্রক্টর। রবিবার বিকেল পৌনে ৫টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মফিজ লেক সংলগ্ন এলাকা থেকে মদ্যপ অবস্থায় মাতলামি করতে থাকলে খবর পেয়ে প্রক্টর ঘটনা স্থল থেকে তাদেরকে পুলিশের হাতে তুলে দেন।

প্রক্টর ও প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্যমতে, বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে শেখ হাসিনা হলের তিন ছাত্রী মফিজ লেক এলাকায় ঘুরতে যায়। সেখানে মদ্যপ অবস্থায় ছাত্রলীগ কর্মী ইউসুফ, ইমতিয়াজ এবং বহিরাগত মুহাইমিনুল ইসলাম ছাত্রীদের উত্ত্যক্ত করে।

এ সময় ছাত্রীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর প্রফেসর মাহবুবর রহমানকে ফোন দিয়ে, ‘স্যার আমাদের বাঁচান’ বলে আকুতি জানায়। প্রক্টর ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে নিজেই তাড়া করে ওই তিনজনকে আটক করে।

পরে আটক তিনজনকে পুলিশে সোপর্দ করে প্রক্টর। তাদেরকে নিয়ে যাওয়ার সময় মফিজ লেক এলাকায় পুলিশের গাড়ির গতিরোধ করে দুই ছাত্রলীগ কর্মীকে ছিনিয়ে নেয় ছাত্রলীগ কর্মী ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাত ও তার সহযোগীরা।

এসময় মন্দির ভাংচুরের দায়ে বহিস্কৃত ছাত্রলীগ কর্মী ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাত তার কর্মীদের নিয়ে এসে ইমতিয়াজ ও ইউসুফকে পুলিশের হাত থেকে ছিনিয়ে নেয়। পরে মুহাইমিনুল ইসলাম লামনকে পুলিশ থানায় নিয়ে যায়। আটককৃত লামনের বিরুদ্ধে এর আগেও মাদক সেবন ও সরবরাহ করাসহ বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে।

ঘটনার পর ওই ছাত্রীরা প্রক্টরকে আকুতি করে বলেন, ‘স্যার আমাদের বাচাঁন। আমাদের সাথে যা হয়েছে তার বিচার চাই।’ তবে অভিযুক্তদের ছিনিয়ে নেবার ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়েছে ছাত্রীরা। তারা বলেন, ‘এখন আর কিছুই হবে না।’

এ ব্যাপারে আরাফাত বলেন, ‘পুলিশের সাথে একটু মিস আন্ডারস্ট্যান্ডিং হয়েছিল। আমার অনুসারী ইউসুফ আর ইমতিয়াজকে আটক করেছে শুনে ওখানে গিয়েছিলাম। বহিরাগত লামনকে থানায় দিয়ে আমার কর্মীদের নিয়ে এসেছি।

ইবি থানার এসআই কমলেশ দাশ বলেন, ‘আটকৃতদের নিয়ে যাবার সময় কয়েকজন এসে দুজনকে ছিনিয়ে নেয়। আমি একা তাদের সামলাতে পারিনি।’

প্রক্টর প্রফেসর ড. মাহবুবর রহমান বলেন, ‘ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে মাদক, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে প্রশাসন জিরো টলারেন্স জারি করেছে। যাদের আটক করা হয়েছিল তারা যাত বড় শক্তিই হোক তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।’

 


ঢাকা, ২১ জানুয়ারি (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমআই


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

সম্পর্কিত খবর


আজকের সর্বশেষ