আরাফাত আবদুল্লাহ : অনেককেই দেখেছি। একটা ভালো রেজাল্ট ছিল। একটা ভালো প্রতিষ্ঠান থেকে পড়াশোনা শেষ করেছে। কিন্তু গ্র্যাজুয়েট হওয়ার কয়েক বছর পরেও চাকরি না পাওয়ায় হতাশ হয়ে হাল ছেড়ে দিয়েছে।
ভাবতে অবাক লাগে ৩.৫ সিজিপিএ পাওয়া একটা ছেলে বিসিএস থেকে তিন তিন বার রিজেক্ট হয়ে এসেছে।
আমাদের হলে একজন ভাই থাকতেন। তার রুমে গেলে আমরা বুঝতাম বিসিএস কি জিনিস। বিসিএসের পড়া কেমন হওয়া উচিত। সারা রুমের দেয়ালে হাবিজাবি লিখা।
বিভিন্ন তথ্য কখনো খাতা, কখনো রুমের দেয়াল যখন যেখানে পেরেছেন লিখে রেখেছেন। অবাক করা ব্যাপার হচ্ছে এই মানুষটা চার বার বিসিএস দিয়ে একবারও টেকেনি। সর্বশেষ বিসিএসে তিনি ভাইভা থেকে আউট হয়েছেন।
আবার গড় পড়তা রেজাল্ট করেও অনেকে ভালো পজিশনে আছেন। যে ছেলেটাকে কেউ জীবনেও গোনায় ধরতো না সে কিনা চাকরি পেয়েছে সবার আগে।
আমার ডিপার্টমেন্টের এক ভাই রিইউনিয়নে এসে একবার নিজের কথা বলেছিলেন। উনাকে বলা হতো সাপ্লি কমিটির চেয়ারম্যান। প্রত্যেক ইয়ারে পরীক্ষা দিতেন আর ২/৩ টা করে সাপ্লি রেখে আসতেন। জীবনে একবারই বিসিএস দিয়েছেন তিনি। এবং ওই একটা বিসিএসেই চতুর্থ পজিশন নিয়ে ফরেনে ঢুকে গেছেন। অথচ উনার ব্যাচের অন্যদের কোন খবর নেই।
রেজাল্ট, সিজিপিএ, এগুলো ভালো রাখা জরুরী। এগুলো ভালো থাকলে আত্মবিশ্বাসটা বাড়ে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কিন্তু পরিশ্রমটাই আসল কথা। মাথা খাটিয়ে কাজ করলে মার্কশিট দিয়ে কাউকে আটকে রাখা যায় না।
শুভ কামনা সেই সকল মানুষদের প্রতি যারা মার্কশিট দেখে হীনমন্যতায় না ভুগে বরং আরো কঠিনভাবে কাজে ঝাপিয়ে পড়েছেন।
আরাফাত আবদুল্লাহ
(মধ্যরাতের অশ্বারোহী)
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
ঢাকা, ২৫ মার্চ (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//জেএন
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: