Azhar Mahmud Azhar Mahmud
teletalk.com.bd
thecitybank.com
livecampus24@gmail.com ঢাকা | বৃহঃস্পতিবার, ১৮ই এপ্রিল ২০২৪, ৫ই বৈশাখ ১৪৩১
teletalk.com.bd
thecitybank.com

পাবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা দিতে চাই (ভিডিও)

প্রকাশিত: ১২ মে ২০২২, ০২:১৩

ভিসি ড. হাফিজা খাতুন

ড. হাফিজা খাতুন বাংলাদেশের প্রখ্যাত শিক্ষাবিদ এবং গবেষক। ১৯৮৬ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগে প্রভাষক হিসেবে যোগদান করেন। পরে ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের প্রফেসর পদে উন্নীত হোন এবং বিভাগীয় প্রধানের দায়িত্বও পালন করে। ২০২১ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হতে প্রফেসর পদ হতে অবসর গ্রহন করেন। গত ১৬ এপ্রিল ড. হাফিজা খাতুন দেশের চতুর্থ এবং পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদালয়ের প্রথম নারী ভিসি হিসেবে যোগদান করেন। পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে স্বপ্ন এবং আগামীদিনের পরিকল্পনা নিয়ে ক্যাম্পাসলাইভকে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন ড. হাফিজা খাতুন। সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন ক্যাম্পাসলাইভের পাবিপ্রবি প্রতিনিধি আবদুল্লাহ আল মামুন

ক্যাম্পাসলাইভঃ দেশের চতুর্থ নারী ভিসি হিসেবে আপনি পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগ পেয়েছেন। আপনার অনুভূতি কেমন?

ড. হাফিজা খাতুনঃ যেকোন দায়িত্ব পেলে ভালো লাগে, আমার অনুভূতি স্বাভাবিকই। তবে এই দায়িত্ব অনেক বড় দায়িত্ব। আমাদের দেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, স্পিকার উনারা নারী হলেও দেশের অন্যান্য ক্ষেত্রে নারীরা পিছিয়ে আছে। আমাদের সমাজ এখনো নারীদের মেনে নেওয়ার তৈরী হয়নি। তবে সমাজে আমরা নারীরা এগিয়ে যাচ্ছি। এই দায়িত্ব পালন থেকে ভালো কোন দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারলে সেটাই হবে বড় আনন্দের।

ক্যাম্পাসলাইভঃ পাবিপ্রবিতে যোগদানের দুই সপ্তাহ হয়ে গেছে। কেমন লাগছে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ?

ড. হাফিজা খাতুনঃ এখানকার পরিবেশ বেশ ভালোই লাগছে। আমি এখানে আসার আগে বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে যেরকম কথা শুনেছি এখানে এসে সেগুলো দেখতে পাইনি। এখানকার পরিবেশ ভালোই বিশেষ করে শিক্ষক, ছাত্র-ছাত্রী, কর্মকর্তা-কর্মচারী সবার মধ্যে একটা উদ্দীপনা দেখতে পেয়েছি। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য সবাই ভালো কিছু করতে চায়, নতুন কিছু করতে চায়। বিভাগগুলো ঘুরে ঘুরে দেখছি, শিক্ষার্থীরা অনেক প্রান্তবন্ত যেটা আমাকে আশার আলো দেখাচ্ছে।

ক্যাম্পাসলাইভঃ আপনার চার বছরে আপনি পাবিপ্রবিকে কোন অবস্থানে দেখতে চান? পাবিপ্রবি নিয়ে আপনার স্বপ্নের কথাটা বলবেন।

ড. হাফিজা খাতুনঃ আমি এই বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে বড় স্বপ্নই দেখছি। প্রথমত বিশ্ববিদ্যালয়কে একটা নিয়ম শৃঙ্খলার ভেতরে নিয়ে আসা। শৃঙ্খলা নিয়ে আসতে পারলে অনেক সমস্যাই দূর হয়ে যাবে। দ্বিতীয়ত এই চার বছরে পৃথিবীর বুকে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের বড় করে স্থান না করতে পারলেও অন্তত বাংলাদেশ এবং আমাদের উপমহাদেশে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের একটা অবস্থান করতে চাই।

ক্যাম্পাসলাইভঃ পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রশাসনিক ও একাডেমিক কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, কর্মচারীদের কেমন ভূমিকায় থাকা উচিত বলে আপনি মনে করেন?

ড. হাফিজা খাতুনঃ এখানকার সবাই দক্ষ কিন্তু কার কী কাজ, কাকে কী করা লাগবে সেটা বোধ হয় এখনো সবাই বুঝে উঠতে পারেনি। বিশ্ববিদ্যালয় একজন মিলে পরিচালনা করবেনা, সবাই মিলে পরিচালনা করবে। ছাত্র-ছাত্রীদের যে কাজ যেমনঃ নিয়মিত পড়াশোনা করা, ঠিক সময়ে ক্লাশে আসা, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম শৃঙ্খলা মেনে চলা। ক্লাশে যা শিখছে তা বাস্তব জীবনে প্রয়োগ করা ইত্যাদি কাজ তাদের ঠিক করে করা প্রয়োজন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাজ হচ্ছে ছাত্র-ছাত্রীদের পর্যাপ্ত সুযোগ সুবিধা প্রদান করা। স্বাস্থ্যগত সুযোগ সুবিধা ঠিকভাবে দেওয়া, খেলাধূলার ব্যবস্থা করে দেওয়া, সাংস্কৃতিক চর্চার ব্যবস্থা করে দেওয়া। আর শিক্ষকরা ঠিক সময়ে ক্লাশ নেওয়া, ক্লাশের পাশাপাশি তাদের যে সহপাঠ সেগুলো যদি শিক্ষকরা ছাত্র-ছাত্রীদের ঠিক করে দিতে পারেন এবং ছাত্র-ছাত্রীদের সাথে যদি সম্পর্ক সুন্দর করেন তাহলে শিক্ষকদের দায়িত্ব অনেকাংশে পালন হয়ে যায়। সর্বোপরি যার যে কাজ সে কাজগুলো একে অপরের সাথে সমন্বয় করে করলে তবেই বিশ্ববিদ্যালয় সামনে আগাবে। নিয়ম কানুনের ভেতরে থেকেই আমাদের সবার মধ্যে প্রাণের উচ্ছ্বাস থাকতে হবে।

ক্যাম্পাসলাইভঃ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সেশনজট প্রকট আকার ধারণ করেছে। সেশনজট কমানোর কোন উদ্যোগ গ্রহনের পরিকল্পনা আছে কী?

ড. হাফিজা খাতুনঃ সেশনজট কমানো নিয়ে আমরা ইতোমধ্যে পদক্ষেপ নিয়েছে, এটা নিয়ে কাজ চলছে। তবে কী কাজ চলেছে সেটা এই মুহূর্তে বলা সম্ভব নয়। সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হলেই এটা জানানো হবে। আমরা ডিনদের নিয়ে মিটিং করছি এবং বলে দিচ্ছি কোনক্রমেই ক্লাশ, পরীক্ষা আটকে না যায়।

ক্যাম্পাসলাইভঃ বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক সংকট আছে। শিক্ষার্থী এবং ব্যাচ হারে বিভাগগুলোতে পর্যাপ্ত শিক্ষক নেই। শিক্ষক সংকট কাটানো নিয়ে আপনার পরিকল্পনা কী?

ড. হাফিজা খাতুনঃ হ্যাঁ এই সংকট অবশ্যই কাটাতে হবে। শিক্ষা দিতে গেলে আসলে পর্যাপ্ত দক্ষ শিক্ষক লাগবে। এই সংকট মান এবং সংখ্যাগত দুইদিক থেকেই কমাতে হবে। আমরা চেষ্টা করে যাবো শিক্ষক সংকট কাটাতে এবং সংখ্যাটা আস্তে আস্তে পূরণ হয়ে যাবে।

ক্যাম্পাসলাইভঃ বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের ল্যাব সংকট রয়েছে। ল্যাবগুলোতে পর্যাপ্ত যন্ত্রপাতি নেই। দুই-তিনটি বিভাগ মিলে একটা ল্যাব ব্যবহার করছে। ল্যাব সংকট কাটাতে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করার পরিকল্পনা আছে কিনা?

ড. হাফিজা খাতুনঃ বিশ্ববিদ্যালয় নতুন হওয়াতে এখানে ল্যাবের সংকট আছে। শুধু ল্যাব না আমাদের এখানে জায়গার সঙ্কুলান আছে, একই ল্যাবে অনেকগুলো বিভাগ কাজ করছে। আমাদের প্রজেক্ট চলছে, বিল্ডিংগুলো হয়ে গেলে আমরা জায়গা পাবো, তখন বিভাগগুলোর জন্য আলাদা আলাদা ল্যাব তৈরী করা যাবে এবং সাথে সাথে ল্যাবের সুযোগ-সুবিধাগুলো বাড়ানো হবে। পাশাপাশি এই ল্যাব পরিচালনার জন্য দক্ষ মানুষ লাগবে। সেগুলোর ব্যবস্থাও করা হবে।

ক্যাম্পাসলাইভঃ আপনি নিজে একজন উঁচু মাপের গবেষক। পাবিপ্রবিকে গবেষণামুখী বিশ্ববিদ্যালয় করতে আপনার পরিকল্পনা কী?

ড. হাফিজা খাতুনঃ বিশ্ববিদ্যালয় জ্ঞান তৈরীর জায়গা। এই জ্ঞান তৈরী করতে গেলে গবেষণার কোন বিকল্প নেই। গবেষণাকে দুইভাবে উৎসাহিত করা যেতে পারে। একটা হলো পাবলিকেশন যেখানে নির্দিষ্ট পরিমাণ পাবলিকেশন না হলে পদোন্নতি হবে যেটা আইনগত দিক। আরেকটা হলো ভালো লাগা থেকে গবেষণা করা। বিশ্ববিদ্যালয়কে গবেষণামুখী করতে হলে দুইদিক থেকেই কাজ করতে হবে। পর্যাপ্ত পরিমাণ পাবলিকেশন করা তবে এখানে পাবলিকেশনের মান নিশ্চিত করতে হবে এবং গবেষকদের পর্যপ্ত সুযোগ সুবিধার সাথে সাথে তাদের উৎসাহিত করতে হবে। তবেই পাবিপ্রবিকে একটি গবেষণামুখী বিশ্ববিদ্যালয় করা সম্ভব হবে।

ক্যাম্পাসলাইভঃ শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার ফরম ফিলাপ, ফলাফলসহ এখনও বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেকগুলো বিষয় অ্যানালগ নিয়মে চলছে। রয়েছে ওয়েবসাইটের দুর্বলতা। পুরো ক্যাম্পাসে ওয়াইফাই থাকার কথা থাকলেও সব জায়গায় ওয়াইফাই পাওয়া যায়না। এইসব বিষয়গুলো পূর্ণাঙ্গরূপে ডিজিটাইজ করার কোন পরিকল্পনা আপনার আছে কী?

ড. হাফিজা খাতুনঃ পরীক্ষার ফরম ফিল আপ, ফলাফল সহ এগুলো ডিজিটালাইজ করার সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়েছে। এইসব বিষয়গুলোকে অটোমেশনের আওতায় আনা হবে। তার জন্য কমিটি গঠন করে দেওয়া হয়েছে। তারা এই বিষয়গুলো ডিজিটালাইজ করার জন্য কাজ শুরু করবেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েব সাইটে কিছু দুর্বলতা আছে। ওয়েবসাইট আপডেটটেড না। আইসিটি সেলে কথা হয়েছে এইসব বিষয়ে। বলে দেওয়া হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের পজেটিভ যেকোন কিছু যেন তৎক্ষণাৎ ওয়েবসাইটে চলে আসে। তবে এখানে লোকবলের সংকট আছে। তবুও আমি আশা করছি আগামী দুই-তিনদিনের ভেতরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে একটা পরিবর্তন শিক্ষার্থীরা দেখতে পাবে। বিশ্ব এখন গ্লোবাল ভিলেজে পরিণত হয়েছে। কাজেই বিশ্ববিদ্যালয়ে ওয়াইফাই থাকাই লাগবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের কন্সট্রাকশনের কাজ চলার কারণে ওয়াফাই লাইন অনেক জায়গাতে কাটা পড়েছে। আশা করি এটা অচিরেই ঠিক হয়ে যাবে।

ক্যাম্পাসলাইভঃ বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগঠনগুলো নিজস্ব অর্থায়নে চলছে। সংগঠনগুলো তাদের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কোন বরাদ্দ পায়না। এক্ষেত্রে সংগঠনগুলোর কার্যক্রম পরিচালনার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় হতে কোন বরাদ্দের ব্যবস্থা করবেন কিনা?

ড. হাফিজা খাতুনঃ আপাতত এই বিষয় নিয়ে আমি ভাবছিনা কারণ বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনৈতিক অবস্থা খুব বেশি ভালো না। সংগঠনগুলোকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পৃষ্ঠপোষকতা করার অবস্থা এখনো আমাদের হয়নি। তবে কোন সংগঠন ভালো কাজ করলে বিশ্ববিদ্যালয় অবশ্যই তাদের সহায়তা করতে চেষ্টা করবে এবং তাদের পাশে থাকবে। তবে আপাতত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সংগঠনগুলোকে বরাদ্দ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি আমি দিতে পারছিনা।

ক্যাম্পাসলাইভঃ বিশ্ববিদ্যালয়ে উন্নয়ন কাজ চলছে। নতুন একাডেমিক ভবন নির্মাণ হচ্ছে। সেক্ষেত্রে নতুন বিভাগ খোলার পরিকল্পনা আছে কি না?

ড. হাফিজা খাতুনঃ আমি এখনো নতুন কোন বিভাগ খোলার কথা ভাবিনি। তবে বিশ্ববিদ্যালয় যেহেতু আছে সেখানে নতুন বিভাগ বাড়বেই। তবে সেটা নির্ভর করবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ধারণক্ষমতার উপরে। অবকাঠামোগত সুযোগ-সুবিধা, চাহিদা, লোকবল এগুলো পর্যাপ্ত থাকলে বিভাগ খোলা সম্ভব। এই মুহূর্তে এটা নিয়ে কিছু বলতে পারবোনা। তবে নতুন বিভাগ খোলা নিয়ে স্বপ্ন থাকবে।

ক্যাম্পাসলাইভঃ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সোনার বাংলা গড়া এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্নে আপনার চার বছর মেয়াদকালে পাবিপ্রবি কতটুকু অবদান রাখতে পারবে বলে আপনি মনে করেন?

ড. হাফিজা খাতুনঃ আসলে জাতির পিতার সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডিজাটাল বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন এটা আসলে আমাদের সবারই স্বপ্ন, এই স্বপ্ন আমাদের স্বপ্নের সাথে মিলেমিশে আছে। এই স্বপ্ন বাস্তবায়ন করা আমাদের সবার দায়িত্ব। তবে আমাকে যেহেতু এখানে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সেহেতু আমি আমার সাধ্যমত এই স্বপ্নটিকে বাস্তবায়ন করার জন্য চেষ্টা করে যাবো। এখনকার শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী সবাইকে সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য কাজ করে যেতে হবে। তবে ছাত্র-ছাত্রীদের দায়িত্বটা একটু বেশি। ওদের মধ্যে স্বপ্ন থাকতে হবে আকাঙ্ক্ষা থাকতে হবে। ওদের মধ্যে যদি সেই স্বপ্ন, আকাঙ্ক্ষা না থাকে তাহলে আমরা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যত চেষ্টাই করিনা কেন সেটা মুখ থুবড়ে পড়ে যাবে।

ক্যাম্পাসলাইভঃ আমাদেরকে সময় দেওয়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

ড. হাফিজা খাতুনঃ আপনাকে এবং ক্যাম্পাসলাইভকেও ধন্যবাদ।

ভিডিও: https://youtu.be/ZFz09u3y088

ঢাকা, ১১ মে (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমজেড


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

সম্পর্কিত খবর


আজকের সর্বশেষ