মো: খাইরুল ইসলামঃ সময়ের অসংগতিগুলোকে তুলে ধরে, জীবন চলার উদ্দমী, সাহসী, সংগ্রাম ও সফল হওয়ার বার্তা নিয়ে লেখায় আত্মপ্রকাশ করতে যাচ্ছেন গবেষণায় নিবেদিত প্রাণ ড. মাহমুদুল হাছান। তিনি মূলত একজন তরুণ গবেষক ও বিজ্ঞানী। তাঁর তীক্ষ্ণ দৃষ্টি দিয়ে তিনি প্রকৃতিকে অবলোকন করেন।
অন্য দশজনের থেকে তাঁর চোখের দেখার দৃষ্টিভঙ্গি হয়ত আলাদা! আর সেজন্যই তো তিনি অতি অল্প বয়সেই প্রকৃতিতে লুকিয়ে থাকা তিনটি নতুন ব্যাঙের নামকরন করেছিলেন। জীনের এতসব জটিল জটিল বিষয় নিয়ে গবেষণা করতে গিয়ে তিনি কেন হঠাৎ বাংলা সাহিত্যের প্রতি ঝুকলেন?
তাকে এই প্রশ্ন করতে গিয়ে আবিষ্কার করলাম তাঁর ছোট বেলায় সাহিত্যের প্রতি মারাত্মক আসক্তির কথা। তিনি বললেন- “বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে ঈশা খাঁ হলের পশ্চিম ভবনের ২০৪ নং রুমে থাকাকালীন সময়ে অঝোর বৃষ্টির মাঝে রুমে একাকী থাকা কালীন সময়ে জানালা দিয়ে আমি লেকের পানি আর চারপাশের গাছ-পালার দিকে অপলক তাকিয়ে থাকতাম। বৃষ্টির আবহে ধরনীকে তখন অন্যরকম লাগত।
গ্রামের কুমড়ো ফুল, লাউয়ের ডগা, শীতের শিশিরের ফোটা কিংবা ধীরে ধীরে অস্তমিত সূর্যের প্রস্থান দেখে কেমন যেন উতাল পাতাল হয়ে যেতাম। গোপনে গোপনে প্রকৃতিকে দেখতে গিয়ে নিজের মধ্যে এক ধরনের দ্যুতি ছড়িয়ে যেত। জাপানের পাহাড় আর কানাডার ইউনিভাসির্টি অফ ব্রিটিশ কলম্বিয়ার উল্টোপাশের বিশাল জলরাশি আমাকে অনেক টানত।”
তিনি বলেন, এবারের ২১ শে বই মেলায় প্রকাশিত হচ্ছে আমার প্রথম লেখা “বেলা-অবেলার কথা” বইটি। গবেষণার পর যে অল্প সময় পান সেই সময়ের মধ্যেই লিখতে বসেন গুণী এই গবেষক ও সাহিত্য প্রেমিক। চলার পথে জীবনের বিশুদ্ধতম যে অনুভূতি আবেগ কিংবা বিরহ, সেটির বলয়েও তিনি কখনও কখনও হাবুডুবো খেয়েছেন। কিন্তু সত্যিকার অর্থে সেটি কখনও তারঁ কাছে ধরা দেয়নি।
সাহিত্য পাতায় হাতে খড়ি ছোটবেলা থেকেই কিন্তু জীবনে না পাওয়া বা বেদনা গুলোকে অবেলার ভুল আখ্যা দিয়ে স্মৃতিচারণ করেন। ন্যয্যা অধিকার পাওয়া থেকে বঞ্চিত হয়েছেন, কিন্তু তিনি পথচ্যুত হননি। বইটিতে মানুষের দেওয়া দুঃখ, কষ্টও যে জীবন চলার অনুপ্রেরণা যোগায়, আগামীর তরুণদের সেই সম্পর্কে দিকনির্দেশনা মুলক উপজীব্য তুলে ধরা হয়েছে।
আগে আমাদের ক্যাম্পাসের লাইব্রেরীর সহকারী অ্যসিস্ট্যান্ট অনিতা রানী বললেন- স্যারকে অনেক ভালো জানি। তিনি সাহিত্যের প্রতি অনুরাগী একজন সাদা মনের মানুষ। লাইব্রেরী থেকে অনেক সাহিত্যিকের ব্ই নিয়ে তিনি পড়তেন ।
৩র্থ বর্ষের ফিশারিজ বিভাগের শিক্ষার্থী ফারজানা হায়দার স্মৃতি জানান, স্যারের সাথে এই বই নিয়ে যতদিন কাজ করেছি আমি দেখেছি উনি কতটুকু গুরুত্ব দিয়ে লিখেছেন। উনার বাল্যকাল, শিক্ষাজীবন এবং শিক্ষাজীবনের পরবর্তী অধ্যায় গুলো খুব সুন্দর আর সাবলীল ভাবে তুলে ধরেছেন যেটি ব্যক্তিগত ভাবে আমার মন কেড়েছে। অপেক্ষায় আছি বইটি হাতে পাবার জন্য। স্যারের জন্য শুভ কামনা।
বইটির পাঠক প্রিয়তা সম্পর্কে স্যারের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন- বইটি নিয়ে আমি খুবই আশাবাদী এবং তা তরুণ সমাজে খুবই জনপ্রিয়তা পাবে বলে আমার বিশ্বাস এবং বইটি বিক্রয়ের অর্জিত মুনাফা অসহায়, হতদরিদ্র শিক্ষার্থীদের মাঝে দান করব।
ঢাকা, ০৮ ফেব্রুয়ারি (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমজেড
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: