লাইভ ডেস্ক: গোটা মালয়েশিয়া জুড়ে উত্তাপ। আনন্দ। খুশি। কে আসছেন দেশ পরিচালনায়। তবে ক্ষমতাসীনরা বরাবরের মতেই আছেন নানান শঙ্কায়। অজানা নানান আতঙ্কে। মালয়েশিয়ায় আগামী ১৯ নভেম্বর সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার দেশটির নির্বাচন কমিশন সাধারণ নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেছে। এ ফলে জনগনের মাঝে নতুন করে আরো একবার অনেক বার্তাই ঘোরপাক খাচ্ছে।
জানাগেছে নির্বাচনের মাধ্যমে দুর্নীতিতে জর্জরিত দেশটির ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল ক্ষমতা পাকাপোক্ত করার আশা করছে। যদিও দেশ জুড়ে বিভিন্ন নেতিবাচক খবর বের হচ্ছে হর হামেশা। খবর রয়টার্সের।
এদিকে দেশটির বিরোধী দলগুলোর মধ্যে ব্যাপক গ্রুপিং থাকায় ক্ষমতাসীন দ্য ইউনাইটেড মালয়স ন্যাশনাল অর্গানাইজেশন (ইউএমএনও) আগামী মাসের নির্বাচনে এগিয়ে থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে দেশটির রাজনৈতিক বিশ্নেষকরা বলেছেন, ভোটারদের নির্বাচন নিয়ে উদাসীনতা এবং চলমান বর্ষা মৌসুমের কারণে ভোটার উপস্থিতি কম হতে পারে বলে শঙ্কা রয়েছে। এই সুযোগটি কাজে লাগাতে চায় শাসক গোষ্টী।
গেল বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে মালয়েশিয়ার নির্বাচন কমিশনের চেয়ারম্যান আবদুল গনি সালেহ বলেছেন, সংসদীয় প্রার্থীদের আগামী ৫ নভেম্বরের মধ্যে মনোনয়নপত্র জমা দিতে হবে। এ ছাড়া নির্বাচনী প্রচারণা চালানো যাবে দুই সপ্তাহ।
নির্বাচনে ২ কোটি ১০ লাখ মালয়েশীয় তাঁদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন। দেশটির সংসদের ২২২ আসনের নিম্নকক্ষের আইনপ্রণেতাদের নির্বাচনে ভোট দেবেন তাঁরা। যে দল কমপক্ষে ১১২ আসনে জয় পাবে, তারাই দেশটির পরবর্তী সরকার গঠন করবে। তবে বিরোধী পক্ষের মাঝে বৈরিতা ভাব কাটলে ও গ্রুপিংটা সহনীয় পর্যায়ে থাকলে আগামী নির্বাচনে সরকার পরিবর্তন হতে পারে।
ঢাকা, ২২ অক্টোবর (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//বিআইটি
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: