লাইভ ডেস্ক: পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ বলেছেন, কাশ্মীরে অত্যাচার চালাচ্ছে ভারতীয় সেনারা। নিউইয়র্কে জাতিসংঘের ৭৭তম সাধারণ অধিবেশনে শুক্রবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বক্তব্যে তার দেশের বন্যা পরিস্থিতি, ইসরাইল, ফিলিস্তিন ও ভারতের মুসলিমদের নিয়ে কথা বলেন। খবর এপি’র। এসব কিছু তুলে ধরে এর সমাধানের পথও জানতে চান বিশ্ব নেতাদের কাছে।
এদিকে জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনের ভাষণে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ভারতের সঙ্গে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের কথা বলেন। এসময় তিনি জম্মু ও কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বিলোপের প্রসঙ্গ টানেন। বলেন, ২০১৯ সালের আগস্টে ভারত যে অবৈধ পদক্ষেপ নিয়েছিল তা প্রত্যাহার করে শান্তি এবং আলোচনার রাস্তায় ফেরা উচিত। এদিকটি ভাল ভাবে খেয়াল রাখার উপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
পাকি প্রেসিডেন্ট শাহবাজ আরও বলেন, ভারতের কিছু চরমপন্থী গোষ্ঠী নিয়ে তিনি উদ্বিগ্ন, যারা মুসলমানদের বিরুদ্ধে ‘গণহত্যার’ আহ্বান জানিয়েছে। এছাড়া তিনি অভিযোগ করে বলেন, কাশ্মীর উপত্যকার জনবিন্যাস বদলের পরিকল্পনা করছে নয়াদিল্লি। এসব নিয়ে ভাবনার সময় এসেছে।
এর আগে জাতিসংঘে পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানও কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বাতিল নিয়ে কথা বলেন। শাহবাজ শরিফের মতো তিনিও ভারতের ওপর দোষ চাপিয়েছিলেন। এ প্রসঙ্গে দিল্লি নিজেদের অবস্থানে অনড়।
ভারত বরাবরই জানিয়ে আসছে, কাশ্মীর ভারতের আবিচ্ছেদ্য অংশ এবং এতে পাকিস্তানের নাক গলানো উচিত নয়। এরপরেও নিজেদের অবস্থান থেকে সরে দাঁড়ায়নি ইসলামাবাদ। তারা মুখে আলোচনার কথা বললেও বরাবরই আন্তর্জাতিক মঞ্চ ব্যবহার করে ভারতকে দোষারোপ করে আসছে।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘে অভিযোগ করে বলেন, জম্মু ও কাশ্মীরে ভারতীয় সেনারা ধারাবাহিকভাবে অত্যাচার চালাচ্ছে, মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে। বলপ্রয়োগের মাধ্যমে সেখানকার জনবিন্যাস বদলের চেষ্টা চলছে। মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ কাশ্মীরকে হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ কাশ্মীরে পরিণত করতে চাইছে ভারত।
অতীতে শাহবাজের বড় ভাই নওয়াজ শরিফও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে জাতিসংঘ সাধারণ সভায় একইভাবে নিপীড়নের অভিযোগ তুলেছিলেন ভারতীয় সেনাদের বিরুদ্ধে।
ধারণা করা হচ্ছে, জাতিসংঘের ৭৭ তম অধিবেশনে পাকিস্তানের এমন বক্তব্যের জবাব দেবে ভারত। কূটনীতিকরা বলছেন, আন্তর্জাতিক মঞ্চ আবারও ভারত-পাকিস্তানের বাগযুদ্ধের ক্ষেত্র হয়ে উঠবে।
ঢাকা, ২৪ সেপ্টেম্বর (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//বিআইটি
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: