লাইভ প্রতিবেদক: শেষমেষ যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরছেন বরিস জনসন। জানা গেছে, আজকেই তিনি ক্ষমতা ছাড়তে পারেন। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে দ্য গার্ডিয়ান। এর আগে ব্রিটিশ সরকারের ৫৪ মন্ত্রী পদত্যাগ করেন। সাম্প্রতিক সময়ে একের পর এক বিতর্কে জড়িয়েছেন বরিস ও তার সরকার। করোনা লকডাউন চলাকালে সরকারি বাসভবন ডাউনিং স্ট্রিটে একাধিক মদের আসর ঘিরে সমালোচনার সৃষ্টি।
গত মাসে তার বিরুদ্ধে দলীয় আস্থাভোট আনা হলেও তাতে পার পেয়ে যান বরিস। তবে দলে নতুন করে বিতর্ক শুরু হয় ডেপুটি চিফ হুইপ হিসেবে ক্রিস পিনচারকে নিয়োগের ঘোষণা দেওয়ার পর। সম্প্রতি বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বরিস স্বীকার করেন, ক্রিস পিনচারের অসদাচরণের অভিযোগের বিষয়টি তার জানা ছিল।
তারপরও চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে তাকে ডেপুটি চিফ হুইপ করেন তিনি। এটি ছিল তার একটি ‘বাজে ভুল’। বরিসের এই স্বীকারোক্তি তাকে চাপে ফেলে দিয়েছে। তার কার্যালয়ের এক সূত্রের বরাতে দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, ১৯২২ কমিটির চেয়ারম্যান গ্রাহাম বাডির সঙ্গে বৈঠকে তিনি পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর বিষয়ে সম্মত হয়েছেন।
আগামি অক্টোবর মাসের পার্টি কনফারেন্সে নতুন টরি নেতাকে তার পদে নিয়োগ দেয়া হবে। আরেকটি সূত্র জানিয়েছে, আজ এ নিয়ে একটি আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেবেন জনসন। এদিকে বিবিসি জানিয়েছে, কনজারভেটিভ দলের প্রধান হিসেবে পদত্যাগ করবেন জনসন। তবে নতুন প্রধানমন্ত্রী নিয়োগের আগ পর্যন্ত তিনি প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করে যাবেন।
আগামি অক্টোবর মাসে নতুন প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ দেওয়া হবে। মূলত একজন এমপির বিরুদ্ধে যৌন অসদাচরণের অভিযোগকে ঘিরে বরিস জনসনের প্রধানমন্ত্রীত্ব এই সর্বশেষ সংকটে পড়েছে। কনজারভেটিভ পার্টির এমপি ক্রিস পিঞ্চারের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল, তিনি একজনের ওপর যৌন হামলা চালিয়েছেন।
কিন্তু তার বিরুদ্ধে এ রকম অভিযোগ সম্পর্কে অবহিত হওয়ার পরও কেন প্রধানমন্ত্রী জনসন পিঞ্চারকে ডেপুটি চিফ হুইপ নিয়োগ করেন— এটি নিয়েই মূলত তোপের মুখে পড়েন তিনি।
এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বের প্রতি অনাস্থা জানিয়ে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দুই মন্ত্রীর নাটকীয় পদত্যাগ ব্রিটিশ রাজনীতিতে তোলপাড় সৃষ্টি করে। এরপরই একের পর এক মন্ত্রীরা পদত্যাগ করতে থাকেন। অন্যদিকে বরিস জনসনের নেতৃত্বের প্রতি অনাস্থা জানিয়েছেন তারা।
ঢাকা, ০৭ জুলাই (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//বিআইটি
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: