লাইভ ডেস্ক: পেগাসাস কাণ্ড। সেলিব্রেটি নামী-দামী কেউই বাদ যায়নি। সকলকেই পেছানো হয়েছে একই রশিতে। এর নেপথ্যে কোন দেশ আর কারা তা জানতে বাকী নেই কারো। কিন্তু প্রকাম্যে মুখ খুলছেন না। এদিকে পেগাসাস স্পাইওয়্যার ব্যবহার করে যাদের স্মার্টফোনে আড়ি পাতা হয়েছে তাদের মধ্যে ব্রিটিশ-বাংলাদেশি ব্যারোনেস মঞ্জিলা পলা উদ্দিনও রয়েছেন। বৃহস্পতিবার ব্রিটিশ দৈনিক গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হাউস অব লর্ডসের সদস্য মঞ্জিলা পলা উদ্দিনসহ ৪০০ এর বেশি ব্যক্তির যুক্তরাজ্যের ফোন নম্বর এই তালিকায় রয়েছে।
এ বিষয়ে গার্ডিয়ান বলছে, ২০১৭ ও ২০১৮ সালের তালিকায় ব্যারোনেস মঞ্জিলা পলা উদ্দিনের নম্বর রয়েছে। এই খবরের প্রতিক্রিয়ায় পলা উদ্দিন বলেছেন, যদি পার্লামেন্ট সদস্যদের ওপর গোয়েন্দাগিরি করা হয়, তাহলে তা ‘আস্থার বড় লঙ্ঘন’ এবং যুক্তরাজ্যের ‘সার্বভৌমত্বেরও লঙ্ঘন’। ব্রিটেনের বাঙালি কমিউনিটিতে ব্যারোনেস পলা উদ্দিন একটি গুরুত্বপূর্ণ নাম। তাঁর জন্ম ১৯৫৯ সালে, রাজশাহী জেলায়।
প্রথম ব্রিটিশ বাংলাদেশি হিসেবে ১৯৯৮ সালে তিনি যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টের হাউস অব লর্ডসের সদস্য হওয়ার গৌরব অর্জন করেন। পেগাসাস স্পাইওয়্যারের নির্মাতা ইসরায়েলি প্রতিষ্ঠান এনএসও গ্রুপ। কোনো ব্যক্তির স্মার্টফোনে একবার এই স্পাইওয়্যার ঢুকলে ছবি, ই–মেইল, কল রেকর্ড, ফোনে সংরক্ষিত যাবতীয় নম্বর হাতিয়ে নেওয়া যায়।
এমনকি হোয়াটসঅ্যাপ, সিগন্যালের মতো এনক্রিপটেড অ্যাপে আদান–প্রদান করা বার্তাও নজরদারির আওতায় চলে যায়। বিভিন্ন দেশের সরকারি সংস্থা পেগাসাস স্পাইওয়্যারের গ্রাহক। নজরদারির জন্য এনএসও গ্রুপের গ্রাহকদের বাছাই করা ৫০ হাজার ফোন নম্বরের তালিকা সম্প্রতি ফাঁস হয়েছে। এর আগে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁসহ ১৪ রাষ্ট্রনেতার মোবাইল ফোনেও আড়ি পাতা হয়েছিল বলে জানা গেছে।
বিভিন্ন দেশের সচেতন মহল এই নজরদারির ব্যাপারে ক্রমেই সচেতন হচ্ছেন। তারা এই এটিকে র্সনাশা বলেও আখ্যায়িত করেছেন। বলেছেন এদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর বিকল্প নেই। এদিকে ভারতের মমতা ব্যানার্জি এ ব্যাপারে রীতিমত ক্ষেপে আছেন। বলছেন এ বিষয়টি আমাদের ভাবিয়ে তুলেছে।
ঢাকা, ২৩ জুলাই (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//বিএসসি
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: