Azhar Mahmud Azhar Mahmud
teletalk.com.bd
thecitybank.com
livecampus24@gmail.com ঢাকা | শুক্রবার, ৩রা মে ২০২৪, ২০শে বৈশাখ ১৪৩১
teletalk.com.bd
thecitybank.com

ইউরোপের সঙ্গে নিবির সম্পর্ক রাখতে চান এরদোগান

প্রকাশিত: ২৬ মার্চ ২০১৭, ০৪:৩২

 
 
ইন্টারন্যাশনাল লাইভ: উত্তেজনাকর পরিস্থিতির মধ্যে আরও কড়া কথা বললেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যিপ এরদোগান। আগামী ১৬ই এপ্রিল তুরস্কে তার ক্ষমতা ‘অসীম’ পর্যন্ত বৃদ্ধি করা নিয়ে গণভোট।
 
সেই ভোটের ফল যা-ই হোক তিনি ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে তুরস্কের সম্পর্ক নতুন করে পর্যালোচনা বা রিভিউ করবেন। বৃহস্পতিবার সিএনএন তুর্ক’কে তিনি এমন কথা বলেছেন। তিনি বলেছেন, তার দেশের গণভোটের পর তিনি ইউরোপের সঙ্গে সম্পর্কের আদ্যোপান্ত বিষয়ে নতুন করে বোঝাপড়া করবেন। 
 
মে মাসে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে নতুন প্রশাসনযন্ত্রের সঙ্গে মুখোমুখি আলোচনায় বসবেন বলেও জানান। সেখানে তিনি ন্যাটো জোটে তার মিত্রদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে ধরবেন। তিনি বলবেন, সিরিয়ায় কুর্দিদের সমর্থন দিচ্ছে ন্যাটো। 
 
তুরস্কের দৃষ্টিতে এই কুর্দিরা হলো সন্ত্রাসী। ইউরোপের সঙ্গে বোঝাপড়ায় উঠে আসবে শরণার্থী বিষয়ক ২০১৫ সালের একটি চুক্তি। ওই চুক্তিটি হয় ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও তুরস্ক সরকারের মধ্যে। তাতে বলা হয়, যেসব শরণার্থী ভূমধ্য সাগর পাড়ি দিয়ে তুরস্কে পৌঁছেছিল তাদেরকে শরণার্থী সুবিধা দেবে তুরস্ক।
 
বিনিময়ে তাদেরকে ৩০০ কোটি ইউরো দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়। প্রতিশ্রুতি দেয়া হয় ইউরোপীয় ইউনিয়নের অর্থনৈতিক ব্লকে তুরস্কের যোগ দেয়া ত্বরান্বিত করা হবে। এ চুক্তিটি নতুন করে সামনে আনার ঘোষণা দিয়েছেন এরদোগান। তিনি বলেছেন, এই চুক্তি নতুন করে মূল্যায়ন করতে হবে।
 
উল্লেখ্য, গত বছর মার্চে এ চুক্তিটি হয়। এর ফলে তুরস্ক হয়ে গ্রিসে পৌঁছা শরণার্থীর সংখ্যা কমে গেছে। তবে তুরস্কে আটকে পড়া শরণার্থীরা ফাঁদে আটকে আছেন এবং তাদের রাখা হয়েছে নাজুক পরিবেশে এমন কড়া সমালোচনা করেছে মানবাধিকার বিষয়ক সংস্থাগুলো। সেভ দ্য চিলড্রেন বলেছে, গাদাগাদি করে ক্যাম্পগুলোতে অবস্থান করছেন কমপক্ষে ৫০০০ শরণার্থী।
 
সেখানে পরিস্থিতি এত খারাপ যে, তাতে অনেকেই আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছেন। ইউরোপীয় ইউনিয়নের কিছু সদস্য দেশ, বিশেষ করে জার্মানি ও নেদারল্যান্ডসের সঙ্গে তুরস্কের টান টান সম্পর্ক বিরাজ করছে। তারই মধ্যে তুর্কি প্রেসিডেন্ট এরদোগান সেই সম্পর্ক বোঝাপড়া করে নেয়ার হুঁশিয়ারি দিলেন।
 
জার্মানি ও নেদারল্যান্ডসে অবস্থানকারী বিপুল সংখ্যক তুর্কি ভোটারকে নিয়ে গণভোটে এরদোগানের পক্ষে র‌্যালি করতে গিয়েছিলেন কয়েকজন মন্ত্রী। কিন্তু তাদেরকে শেষ মুহূর্তে সেই সুযোগ দেয়া হয় নি। নেদারল্যান্ডসে তো তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত কাভাসোগলুকে অবতরণই করতে দেয়া হয় নি।
 
জবাবে নেদারল্যান্ডসের সঙ্গে কার্যত কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করেছে তুরস্ক। এরদোগান অভিযোগ করেছেন, নাৎসী পদ্ধতি অনুসরণ করে ওইসব দেশ কথা বলার স্বাধীনতা হরণ করেছে।
 
 
ঢাকা, ২৫ মার্চ (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমএইচ

আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

সম্পর্কিত খবর


আজকের সর্বশেষ