লাইভ ডেস্ক: সংঘাতের পঞ্চম দিনে এসে গাজায় হামলা জোরদার করেছে ইসরায়েল। শুক্রবার (১৪ মে) ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসও রকেট হামলা বাড়িয়ে দিয়েছে। এর আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনিদের মধ্যে সহিংসতার এই চক্র দ্রুত বন্ধ হওয়া দরকার।
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে ফোনালাপে তিনি বলেন, বিলম্বের চেয়ে শিগগিরই এই সংঘাত বন্ধ হবে বলে আশা করছি। কিন্তু ইসরায়েলের নিজের আত্মরক্ষার অধিকার আছে। শুক্রবার গাজায় হামলায় স্থল ও বিমান বাহিনী অংশ নিয়েছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। তবে তারা গাজায় প্রবেশ করেনি।
গাজা শহরের ভিডিওতে দেখা যায়, ইসরায়েলি কামান, গানবোট ও বিমান হামলায় আকাশে বিস্ফোরণের আলো জ্বলে উঠছে। উপত্যকাটিতে এখন পর্যন্ত ১১৯ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন কয়েকশ। ইসরায়েলি সীমান্তে বসবাসরত গাজার অধিবাসীরা ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যাচ্ছেন। গাজার সেজায়ারার বাসিন্দারা বলেন, ইসরায়েলি কামানের গোলা এসে তাদের বাড়িতে পড়ছে।
উম্ম রাঈদ আল-বাগদাদি বলেন, পুরো এলাকাজুড়ে গোলা আঘাত হানছে। শিশুরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। এমনকি যারা প্রাপ্তবয়স্ক, শৈশব থেকেই যুদ্ধ দেখে দেখে বড় হয়েছেন, তারাও বলছেন, আমরা আর সহ্য করতে পারছি না।
ইসরায়েল থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সেনা প্রত্যাহার:
যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েল থেকে ১২০ সেনা ও কয়েকজন বেসামরিক নাগরিক সরিয়ে নিয়েছে বলে জানিয়েছে ইরানের গণমাধ্যম পার্সটুডে। হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলের চলমান সামরিক সংঘাতের প্রেক্ষাপটে মার্কিন সরকার এ পদক্ষেপ নিয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৩ মে) মার্কিন সেনা সদর দপ্তর পেন্টাগন জানায়, ইসরায়েল থেকে ১২০ জনের সেনাদলকে একটি সি-১৭ পরিবহন বিমানে করে জার্মানির মার্কিন ঘাঁটিতে ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এসব সেনা যৌথ সামরিক মহড়ার জন্য ইসরায়েলে গিয়েছিল।
পেন্টাগনের মুখপাত্র জন কিরবি জানান, মার্কিন সেনারা এরই মধ্যে জার্মানির রামস্টেইন ঘাঁটিতে পৌঁছেছে। তিনি সাংবাদিকদের জানান, ইসরায়েলের সঙ্গে পারমর্শের ভিত্তিতে সেনা সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।
এদিকে, বৃহস্পতিবার (১৩ মে) মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর ইসরায়েল সফর না করার জন্য তাদের নাগরিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। পররাষ্ট্র দপ্তর উল্লেখ করেছে চলমান যুদ্ধ পরিস্থিতির কারণে তারা এ আহ্বান জানাচ্ছে।
ঢাকা, ১৪ মে (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এআইটি
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: