Azhar Mahmud Azhar Mahmud
teletalk.com.bd
thecitybank.com
livecampus24@gmail.com ঢাকা | মঙ্গলবার, ২১শে মে ২০২৪, ৭ই জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
teletalk.com.bd
thecitybank.com

দাউদ ইব্রাহিম করাচিতেই আছেন, স্বীকার করলো পাকিস্তান

প্রকাশিত: ২৩ আগষ্ট ২০২০, ১৮:৩০

লাইভ ডেস্কঃ ২৭ বছর আগে ১৯৯৩ সালের ভয়াবহ মুম্বাই বিস্ফোরণের জন্য দাউদ ইব্রাহিমকে দায়ী করে আসছে ভারত। একইসঙ্গে মাফিয়া ডন দাউদ ইব্রাহিম পাকিস্তানেই আছেন বলে এতদিন দাবি করে এসেছে ভারত। যদিও পাকিস্তান এতদিন এই দাবি অস্বীকার করে এসেছে। দাউদ ইব্রাহিম ১৯৯৩ সালের মুম্বাইয়ের সিরিয়াল বিস্ফোরণের মাস্টারমাইন্ড। ওই বিস্ফোরণে ২৬৭ জনের মৃত্যু হয়।

শনিবার ইমরান খানের সরকার ৮৮ জন জঙ্গি নেতার নাম ঘোষণা করেছে। তাদের বিরুদ্ধে নানা ধরণের নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে পাকিস্তান সরকার। এই তালিকায় আছে দাউদ ইব্রাহিমের নাম। এই তালিকা প্রকাশের পর কার্যত পাকিস্তান স্বীকার করলো ভারতের মোস্ট ওয়ান্টেড মাফিয়া ডন দাউদ ইব্রাহিম পাকিস্তানেই আছেন।

সম্প্রতি ফিন্যান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্সের (এফএটিএফ) ৮৮টি বিশ্ব সন্ত্রাসবাদীদের তালিকা প্রকাশ করেছে। যারা নানাভাবে সংশ্লিষ্ট দেশের আশ্রয়ে থেকে বিশ্বের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। এবার সেই সন্ত্রাসীদের আশ্রয় দেয়ার জন্য ওই দেশগুলোর বিরুদ্ধে আর্থিক নিষেধাজ্ঞা চাপাতে তৎপর ফ্রান্সের এই সংস্থা। এমন পরিস্থিতিতে দাউদের অবস্থানের কথা স্বীকার করলো ইমরান খান সরকার।

১৯৯৩ সালের মুম্বাই বিস্ফোরণসহ একাধিক মামলায় ভারতের মোস্ট ওয়ান্টেড লিস্টের উপরে অবস্থান দাউদের। বিদেশে পালিয়ে যাওয়ায় ভারত সরকার এখনও তাকে আটক করতে সক্ষম হয়নি। যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা এবিআইয়ের টপ টেন মোস্ট ওয়ান্টেড লিস্টে রয়েছে দাউদ ইব্রাহিম কাসকার।

দীর্ঘদিন থেকে নয়াদিল্লি দাবি করছিল, পাকিস্তানের রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার আইএসআই তাকে সুরক্ষাবলয় দিচ্ছে। এত দিন এসব নাকচ করে আসছিল পাকিস্তান কর্তৃপক্ষ। শেষ পর্যন্ত দেশটি স্বীকার করেছে, করাচীতে অবস্থান করছেন দাউদ।

পাকিস্তান সরকার জানিয়েছে, দাউদের বর্তমান ঠিকানা করাচির সৌদি মসজিদ ক্লিফটন এলাকায় হোয়াইট হাউসে বাস করছে দাউদ। করাচিতে তার আরও দুটি বাংলো রয়েছে।
দাউদ ছাড়াও জামাত-উদ-দাওয়া প্রধান হাফিজ সাঈদ, জইশ-ই-মুহাম্মদ প্রধান মাসুদ আজহার এবং আল-কায়দার ওপর আর্থিক নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এদের গতিবিধির ওপর কড়া নজর রাখা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।

সন্ত্রাসীদের আর্থিক মদদের ঘটনা আন্তর্জাতিক আর্থিক ব্যবস্থায় বড় বিপদ হয়ে দেখা দেয়ায় ১৯৮৯ সালে বিভিন্ন দেশের সরকার ঐক্যবদ্ধ হয়ে এফএটিএফ গঠন করেছিল। দৃশ্যমান পদক্ষেপ না নেয়ায় চলতি বছরের জুনে পাকিস্তানকে ‘গ্রে লিস্ট’ এ অন্তর্ভুক্ত করে সংস্থাটি। এবার তাদের ‘ব্ল্যাক লিস্ট’ এ যোগ করার দাবি উঠেছে। এমনটা হলে অর্থনৈতিকভাবে বড় ধরণের সমস্যায় পড়বে দেশটি।

ঢাকা, ২৩ আগস্ট (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমজেড


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

সম্পর্কিত খবর


আজকের সর্বশেষ