লাইভ ডেস্ক: শুধুই কান্না। কেবল হাহাকার। পিতু হারা, মা হারা ও স্বজন হারাদের আহাজারি যেন থামছে না। চারদিকে মানুষের কেবলই চিৎকার আর কান্নায় যেন আকাশ বাতাস ভারি হয়ে উঠছে। এবারের সুনামিতে ইন্দোনেশিয়ায় নিহত হয়েছেন ১২০০ শতাধিক নারী ,পুরুষ ও শিশু।
মৃত্যু উপত্যকায় পরিণত ইন্দোনেশিয়ায়। ভূমিকম্প ও সুনামিতে চারদিকে শুধুই চিৎকার আর হৈচৈ। এ পর্যন্ত ১২৩৪ জন নিহত হয়েছেন বলে প্রাথমিক ভাবে জানাগেছে।
মঙ্গলবার দেশটির জাতীয় দুর্যোগ প্রশমন সংস্থা বলছে, গতকালের দেয়া ৮৪৪ জনের মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২৩৪ জনে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
তারা আরও বলছেন, এখন পর্যন্ত উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রয়েছে। প্রাথমিকভাবে যে ধারণা করা হয়েছিল তার চেয়ে অনেক বেশি মানুষের প্রাণহানি ঘটতে পারে। এখনও অনেক মানুষ ধসে পড়া ভবনের নিচে আটকা পড়ে আছে বলেও জানান তারা। এর আগে দেশটির ভাইস প্রেসিডেন্ট জুসুফ কাল্লা বলেছিলেন, প্রাণহানির সংখ্যা কয়েক হাজার ছাড়িয়ে যাবে।
প্রায় ২ লাখ মানুষ ভয়াল ভূমিকম্পে গৃহহারা হয়ে পড়েছে। এছাড়াও কয়েক হাজার মানুষ এখনও বিপর্যস্ত এলাকায় আঁটকে আছে বলে জানিয়েছেন দেশটির জাতীয় দুর্যোগ প্রশমন সংস্থার কর্মকর্তারা। জরুরি সহায়তা না করা হলে অনেক মানুষকে বাঁচানো সম্ভব না বলেও জানিয়েছেন তারা।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার দেশটির সুলাওয়েসি দ্বীপে ভূমিকম্পের পর ভয়াবহ সুনামি আঘাত হানে। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৫। সুনামির ফলে সৃষ্ট ২০ ফুট উঁচু ঢেউ সুলাওয়েসির পালু শহরকে ভাসিয়ে নিয়ে গেছে।
এর আগে গত মাসে ইন্দোনেশিয়ার লম্বোক দ্বীপে কয়েক দফা ভূমিকম্প আঘাত হানে। এর মধ্যে গত ৫ আগস্টের ভয়াবহ ভূমিকম্পে দেশটির লম্বোক দ্বীপে ৪৬০ জন নিহত হয়। এর লেশ কাচতে না কাটতেই আবারও আঘাত হানে সুনামি।
ঢাকা, ০২ অক্টোবর (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//বিএসসি
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: