ইন্টারন্যাশনাল লাইভ: মালয়েশিয়া ইমিগ্রেশনের সামনে হাজার হাজার অভিবাসী ভিড় করছেন নিবন্ধিত হওয়ার জন্য। নিবন্ধনের শেষ দিনে অবৈধ অভিবাসীরা নিবন্ধনে নাম লেখানোর জন্য লাইনে দাড়াঁন।
শনিবার সকাল ৮টায় হাজার হাজার অভিবাসী ও নিয়োগকারী মালিকদের উপস্থিতিতে হিমশিম খেতে হয় ইমিগ্রেশন ডিপার্টমেন্ট ও রেলা কর্তৃপক্ষকে। রাত ১২টা পর্যন্ত বৈধকরণ প্রক্রিয়া চলবে বলে জানান ইমিগ্রেশন ডিপার্টমেন্টের পরিচালক দাতো সেরি মোস্তাফার আলী।
এদিকে অবৈধদের বৈধ হওয়ার সুযোগ কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশি ও অন্যান্য দেশের এজেন্টরা ভিসা না করে লাখ লাখ রিঙ্গিত হাতিয়ে নিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। প্রায় দুইশত বাংলাদেশের অভিবাসীদের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে পালিয়েছে।
এখন কি করব, কোথায় যাব, কোন কাজ নেই, খাবারের পয়সা নেই। এমন প্রতারণার শিকার মালয়েশিয়াজুড়ে হাজার হাজার বাংলাদেশি। খোদ বাংলাদেশির হাতেই বাংলাদেশিদের প্রতারণা সব থেকে বেশি বলে একাধিক সূত্রে জানা গেছে। অনেকেই ভয়ে বর্তমানে জঙ্গলে মানবেতর জীবন-যাপন করছেন।
নিয়োগকর্তাদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত সভাসমূহে তাদের আওতাধীন সকল অবৈধ কর্মীদের বৈধতা প্রদানের জন্য ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ করা হয়। প্রশ্নের জবাবে সায়েদুল ইসলাম বলেন, দীর্ঘ আড়াই বছর মালয়েশিয়া সরকার সময় দিয়েছে। দূতাবাসের পক্ষ থেকে হাই কমিশনার মুহা. শহীদুল ইসলামের অক্লান্ত প্রচেষ্টায় এবং ইমিগ্রেশনের সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করে
তিনি বলেন, দূতাবাস থেকে সবসময় বলে দেয়া হয়েছে কেউ যেন তথ্য গোপন না করে। তথ্য গোপন করলেই তার পাসপোর্ট পেতে সমস্যা সৃষ্টি হবে। এছাড়া দালালের শরণাপন্ন না হওয়ার জন্যও বলা হয়েছে। কিন্তু দালালের খপ্পরে পড়ে সর্বশান্ত হয়ে দূতাবাসের শরণাপন্ন হয় কর্মীরা। তখন আর কিছু করার থাকে না।
এদিকে নিবন্ধনের পাশাপাশি গত এক সপ্তাহে দেশটির ইমিগ্রেশন বিভাগের বিশেষ অভিযানে ৮'শ বাংলাদেশিসহ ৩ হাজার অবৈধ অভিবাসীকে আটক করা হয়েছে। সরকারের বৈধকরণ পক্রিয়ায় অংশগ্রহণকারী এবং এর আওতায় সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে ভিসার জন্য অপেক্ষা করা কর্মীরাও আটক হয়েছে বলে জানা গেছে।
তবে প্রশাসন জানায়, তাদের নথিপত্র বৈধ কিনা তা যাচাই করে বৈধ হলে ছেড়ে দেয়া হবে। এ বিষয়ে শ্রম কাউন্সিলর সায়েদুল ইসলাম জানান, অবৈধ যারা আটক হয়েছেন তারা দেশে ফেরত যাওয়া ছাড়া আর কোন উপায় নেই।
ঢাকা, ৩০ জুন (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)/এমআই
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: