লাইভ ডেস্ক: কাশ্মিরের শোপিয়ানে ‘এনকাউন্টারে’ বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন প্রফেসর সহ নিহত হয়েছে ৫ জন। এদেরকে সন্ত্রাসী বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। এ খবর দিয়েছে এনডিটিভি।
এতে বলা হয় রোববার সকালে এ ঘটনা ঘটে জম্মু-কাশ্মিরের শোপিয়ান এলাকায়। এতে বলা হয়েছে, বুরহান ওয়ানির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল হিজবুল মুজাহিদিনের একজন শীর্ষ কমান্ডারও রয়েছে নিহতদের মধ্যে।
ওদিকে কাশ্মির বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী প্রফেসর মোহাম্মদ রফি ভাট শুক্রবার থেকে নিখোঁজ ছিলেন।
পুলিশের সূত্র এনডিটিভিকে বলেছে, কয়েক বছর আগে সন্ত্রাসী গ্রুপের সঙ্গে যোগসূত্র স্থাপন করেছিলেন তিনি। এ জন্য তাকে আত্মসমর্পণ করার জন্য গান্দেরবল জেলা থেকে তার পিতামাতাকে ধরে নিয়ে যায় পুলিশ।
তা সত্ত্বেও ওই বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক আত্মসমর্পণ করতে অস্বীকৃতি জানান। সিনিয়র পুলিশ কর্মকর্তা মিডিয়াকে বলেছেন, এসব সন্ত্রাসীকে আমরা আত্মসমর্পণ করতে বলেছিলাম। কিন্তু আমাদের ওপর অব্যাহতভাবে গুলি ছোড়া হয়।
ওদিকে হিজবুল কমান্ডার সাদ্দাম পাদ্দেরের সঙ্গে বৈঠক করছিলেন মোহাম্মদ রফি ভাট। তা জানতে পারে পুলিশ। এ সময় তারা সেখানে অভিযান চালায়। ছদ্মবেশ ধারণ করে সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্সের সদস্যরা ও সেনা সদস্যরা ঘিরে ফেলে বড়িগ্রাম।
ওই গ্রামেই লুকিয়ে ছিল সন্ত্রাসীরা। যখনই ঘেরাও কড়াকড়ি বুঝতে পারে তারা তখনই লুকিয়ে পাল্টা গুলি করতে থাকে সন্ত্রাসীরা।
এতে বন্দুকযুদ্ধ শুরু হয়। এ ঘটনায় একজন পুলিশ ও সেনা সদস্য আহত হয়েছেন বলে জানাগেছে।
ঢাকা, ০৬ মে (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//বিএসসি
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: