Azhar Mahmud Azhar Mahmud
teletalk.com.bd
thecitybank.com
livecampus24@gmail.com ঢাকা | বৃহঃস্পতিবার, ২৮শে মার্চ ২০২৪, ১৪ই চৈত্র ১৪৩০
teletalk.com.bd
thecitybank.com

রাশিয়ায় নীল বিদ্রোহ, ফরাসি বিপ্লব

প্রকাশিত: ১৬ জুলাই ২০১৮, ০৭:২৪

স্পোর্টস লাইভ : দলটির খেলোয়াড়দের গড় বয়স মাত্র ২৬ বছর। অভিজ্ঞতা কম থাকলেও আছে দূরন্ত গতি। সেই গতির কাছেই হার মানতে হয়েছে প্রতিপক্ষকে। এই গতি দিয়েই রাশিয়ায় স্বপ্নজয় করে নিয়েছে ফরাসিরা। যেন ঘটেছে ফরাসি বিপ্লব। তারাই এখন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন। মস্কোর লুঝনিকি স্টেডিয়ামে ৪-২ গোলে ক্রোয়েশিয়াকে হারিয়েছে ফ্রান্স। মদ্রিচ-রাকিতিচদের মলিন মুখই বলে দিচ্ছে খাদের কিনারে এসে হোচট খেয়েছেন তারা। বিশ্বকাপ জয় যেন অধরাই থেকে গেল তাদের। অন্যদিকে দ্বিতীয়বারের মত বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ফ্রান্স।

টানটান উত্তেজনার মধ্য দিয়ে হয়েছে বিশ্বকাপের ফাইনাল। লড়াই হয়েছে যেন সমানে সমান। কিলিয়ান এমবাপে, পগবা, গ্রিজম্যানদের লক্ষ্যভেদই ফ্রান্সকে এনে দেয় দ্বিতীয় শিরপো। ফাইনালে মস্কোর লুঝনিকি স্টেডিয়ামে শুরু থেকেই আক্রমণ করে খেলতে থাকে ক্রোয়েশিয়া। বল নিজেদের দখলে নিয়ে আক্রমণাত্মকভাবে খেলতে থাকে প্রথমবারের মতো ফাইনাল খেলা দলটি। তবে ১৮ মিনিটে গোলে ক্রোয়েশিয়া যেন খেই হারিয়ে ফেলে। ডি বক্সের বাইরে গ্রিজম্যানকে ফাউল করেন ক্রোয়েশিয়ান ফুটবলার। ফ্রি কিক পায় পায় ফ্রান্স। গ্রিজম্যানের নেওয়া সেই ফ্রি কিকে মানজুকিচের মাথা ছুঁয়ে বল জালে জড়ালে আত্মঘাতী গোলে পিছিয়ে পড়ে ক্রোয়েশিয়া। তবে পিছিয়ে পড়ে দমে যায়নি ক্রোয়েশিয়া। ২১ মিনিটে ভিদার শট একটুর জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। ২৮ মিনিটে ডি বক্সের বাইরে পেরেসিচকে ফাউল করে ফ্রি কিক পায় মদ্রিচ। মদ্রিচের নেওয়া ফ্রি কিক থেকে ভিদার ক্রসে বা-পায়ের দুর্দান্ত শটে গোল করে ক্রোয়েশিয়াকে সমতায় ফেরান ইভান পেরেসিচ। ইংল্যান্ডের বিপক্ষেও গোল করে দলকে সমতায় ফিরিয়েছিলেন এই ইন্টার মিলান তারকা।

এদিকে ফেবারিটের তকমা লাগানো ফ্রান্স ৩৫ মিনিটে কর্নার থেকে আক্রমণ করলে ইভান পেরেসিচের হাতে বল লাগলেও রেফারি এড়িয়ে যান। কিন্তু ভিএআরের মাধ্যমে রেফারি পেনাল্টির সিদ্ধান্ত দেন। স্পট কিক থেকে টুর্নামেন্টে নিজের ৪র্থ গোলটি করে ফ্রান্সকে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে দেন অ্যান্তনিও গ্রিজম্যান। প্রথমার্ধের বাকি সময়ে আর কোনো গোল না হলে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় ফ্রান্স।

গোল শোধে দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকে মরিয়া হয়ে খেলতে থাকে ক্রোয়েশিয়া। ৪৮ মিনিটে ক্রোয়েশিয়ার রেবিচের শট রুখে দেন লরিস। ৫৩ মিনিটে গোল ব্যবধান মারার সুযোগ পেয়েছিলেন এমবাপে। কিন্তু দ্রুত গতির এই ফুটবলার ডি বক্সের ভেতর সুবাসিচের গায়ে শট মারেন।

স্রোতের বিপরীতে কাউন্টার অ্যাটাক থেকে ডি বক্সের সামান্য বাইরে থেকে ডান পায়ে শট নেন পগবা। কিন্তু ক্রোয়েশিয়ার ডিফেন্ডারের গায়ে লেগে প্রতিহত হলে ফিরতি শটে বা-পায়ে দুর্দান্ত গোল করে ফ্রান্সকে ৩-১ ব্যবধানে এগিয়ে দেন এই ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড তারকা।
গোল খেয়ে যেন খেই হারিয়ে ফেলে ক্রোয়েশিয়া। এই সুযোগে আরো এক গোল করে বসে এমবাপে। ৬৫ মিনিটে ২৫ গজ দূর থেকে ডান পায়ের দুর্দান্ত শটে এই বিশ্বকাপে নিজের চতুর্থ গোলটি করেন এমবাপে। কিংবদন্তী ফুটবলার পেলের পর দ্বিতীয় তরুণ ফুটবলার হিসেবে বিশ্বকাপের ফাইনালে গোল করলেন এই পিএসজি তারকা।

খেলা শেষে সেরাদের পুরষ্কার দেয়া হয়। এতে সেরা উদীয়মান খেলোয়াড় হন এমবাপে। গোল্ডেন বুট জিতলেন ইংল্যান্ডের অধিনায়ক হ্যারি কেইন। আর গোল্ডেন বল জিতলেন ক্রোয়েশিয়াকে ফাইনালে নিয়ে আসার রূপকার লুকা মডরিচ।

ঢাকা, ১৬ জুলাই (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//সিএস


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

সম্পর্কিত খবর


আজকের সর্বশেষ