লাইভ প্রতিবেদক: নানান কারণে এ বছর বেসরকারী মেডিকেল কলেজে আসন সংখ্যা আর বাড়ছে না। এ ছাড়াও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অনুমতি ছাড়া গত দুই শিক্ষাবর্ষে যেসব মেডিকেল কলেজে অতিরিক্ত আসন সংখ্যা বৃদ্ধি করা হয়েছে, তাদের ওই বছরের প্রতি আসনে ছাত্র-ছাত্রী ভর্তির অপরাধে শিক্ষার্থীপ্রতি টিউশন ফির দ্বিগুণ অর্থদণ্ড দেয়ারও সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
এই তালিকায় প্রাথমিক ভাবে ১৩টি বেসরকারি মেডিকেল কলেজকে শনাক্ত করা হয়েছে।
সম্প্রতি স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের সভাপতিত্বে বেসরকারি মেডিকেল, ডেন্টাল, হোমিওপ্যাথিক কলেজ/আইএইচটি/ম্যাটস অনুমোদন, স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার, আসন সংখ্যা বৃদ্ধি ও নবায়ন সংক্রান্ত এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ‘নো কমপ্রোমাইজ’ নীতিতে চরম দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে পড়েছে বেসরকারি মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ। বিশেষ করে গত সপ্তাহে রংপুরের নর্দান মেডিকেল কলেজ, গাজীপুরের সিটি মেডিকেল কলেজ, আশুলিয়ার নাইটিঙ্গেল মেডিকেল কলেজ ও আশিয়ান মেডিকেল কলেজে চলতি বছর শিক্ষার্থী ভর্তি করতে পারবে না এমন সিদ্ধান্তের পর নড়েচড়ে বসেছে অধিকাংশ বেসরকারি মেডিকেল কলেজ।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিকেল এসোসিয়েশনের (বিপিএমসিএ) দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন সাপেক্ষে বেশ কিছুসংখ্যক মেডিকেল কলেজে অতিরিক্ত সংখ্যক আসনে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়েছে। এখন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে বলা হচ্ছে মন্ত্রণালয় নির্ধারিত ১৩ লাখ ৯০ হাজার টাকার দ্বিগুণ পরিমাণ অর্থদণ্ড দিয়ে তবেই ছাত্রত্ব রক্ষা করা যাবে। ফলে বিপুল আর্থিক ক্ষতিকর সম্মুখীন হতে হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক (চিকিৎসা শিক্ষা ও জনশক্তি উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. আবদুর রশীদ বলেন, বেসরকারি পর্যায়ে পরিচালিত মেডিকেল কলেজের চিকিৎসা শিক্ষা ব্যবস্থায় শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করছে মন্ত্রণালয়।
অতিরিক্ত আসনে শিক্ষার্থী ভর্তিতে দ্বিগুণ আর্থিক জরিমানার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, দ্বিগুণ অর্থদণ্ড না করা হলে কলেজগুলো এমন অবৈধ ভর্তি করতেই থাকবে।
ঢাকা, ১২, নভেম্বর (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এএম
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: