লাইভ প্রতিবেদক: এবার Com-COV- এর সমীক্ষা থেকে উঠে এসেছে এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। সমীক্ষা বলছে, ফাইজার এবং অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিনের মিশ্র প্রয়োগে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কম হচ্ছে। পাশাপাশি ভ্যাকসিনের মিশ্র প্রয়োগে এখনো পর্যন্ত কোনোরকম প্রাণহানির ঘটনা বা উদ্বেগজনক পরিস্থিতি তৈরী হয়নি।
দেহের অনাক্রম্যতার ওপর এটি কীভাবে কাজ করছে তা আরো গভীরভাবে জানতে বিষয়টি নিয়ে আরও অধ্যয়ন করার প্রয়োজন আছে বলে জানিয়েছে Com-COV. অক্সফোর্ডের নেতৃত্বাধীন Com-COV -এর বিশেষজ্ঞরা এই বছরের শুরুতে নিজেদের গবেষণার বিষয়টি সামনে আনেন।
তাতে দেখা গেছে, অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা এবং ফাইজার - এই দুটি ভ্যাকসিনের মিশ্র ব্যবহার মানবদেহে বিশেষভাবে কাজ করছে । ল্যানসেটে প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্র বলছে, চার সপ্তাহের ব্যবধানে যখন মিশ্র ভ্যাকসিনেশন করা হয়েছে অর্থাৎ প্রথম ডোজ ফাইজারের পর দ্বিতীয়টি অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার বা প্রথমটি অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার পর দ্বিতীয়টি ফাইজারের তখন এর কার্যকারিতা স্বাভাবিকের থেকে বেশি পরিলক্ষিত হয়েছে।
এমনকি উদ্বেগজনক কোনো ফলাফলও সামনে আসেনি। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের পেডিয়াট্রিক্স এবং ভ্যাকসিনোলজির সহযোগী অধ্যাপক এবং এই গবেষণার প্রধান ম্যাথিউ স্ন্যাপ বলেছেন, ‘যদিও ভ্যাকসিনের মিশ্র ডোজ নিয়ে অধ্যয়ন চলছে , তবুও এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি সম্পর্কে মানুষকে অবহিত করার প্রয়োজন আছে।
বিশেষত এই মিশ্র-ডোজগুলির শিডিউল বেশ কয়েকটি দেশে বিবেচনা করা হচ্ছে।' এই অধ্যয়নের ফলাফল আগামী দিনে ভ্যাকসিনেশন প্রক্রিয়ার ওপর প্রভাব ফেলবে বলে মনে করেন স্ন্যাপ। সবথেকে বড় কথা , এর দ্বারা মানবদেহের অনাক্রম্যতা প্রশ্নের মুখে পড়ছে এমন কোনও সম্ভাবনার কথা শোনা যায়নি।
ইতিমধ্যে, প্যারাসিটামল ব্যবহারের প্রাথমিক ও নিয়মিত ব্যবহার এই প্রতিক্রিয়াগুলির ফ্রিকোয়েন্সি হ্রাস করে কিনা তা নির্ধারণের জন্য এখনো অধ্যয়ন চলছে বলেও জানিয়েছেন অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের পেডিয়াট্রিক্স এবং ভ্যাকসিনোলজির সহযোগী অধ্যাপক ম্যাথিউ স্ন্যাপ।
তিনি জানিয়েছেন, যেহেতু ৫০ বছর বা তার বেশি বয়সের অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে মিশ্র ডোজের প্রতিক্রিয়া রেকর্ড করা হয়েছিল, তাই কম বয়সীদের ক্ষেত্রে এর কার্যকারিতা জানার এখনো প্রয়োজন আছে, যা আগামীদিনে নতুন পথ দেখাবে। এবার অপেক্ষার পালা।
ঢাকা, ১৪ মে (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এআইটি
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: