লাইভ ডেস্কঃ প্রাণঘাতি কোভিড-২৯ এর তাণ্ডব গোটা বিশ্বজুড়েই বিরাজমান। সংক্রমণ রোধ করতে দেশে দেশে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে। তবে এখনও পর্যন্ত কোন টিকা বের না কারণে উদ্বেগ উৎকণ্ঠা বেড়েই চলেছে।
এমন পরিস্থিতিতে উপসর্গ নেই এমন করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তির অন্যকে সংক্রমিত করার ঘটনা খুব বিরল বলে তোপের মুখে পড়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা ডব্লিউএইচও। পরদিনই তড়িঘড়ি করে নিজেদের এই মন্তব্য থেকে সরে আসে সংস্থাটি।
ওই বিতর্কের প্রেক্ষিতে বুধবার সংস্থাটির প্রধান টেডরোস আধানম গেব্রেয়িসাস জানিয়েছেন, এটা নিয়ে এখনও গবেষণা চলছে।
নিজের সর্বশেষ প্রেস ব্রিফিংয়ে ডব্লিউএইচও প্রধান বলেন, ফেব্রুয়ারির শুরুর দিক থেকে আমরা বলে আসছি যে উপসর্গহীন ব্যক্তিরা করোনা ছড়াতে পারে, কিন্তু তাদের এই ছাড়ানোর মাত্রা কতটুকু তা নিয়ে আরও গবেষণা দরকার। এই গবেষণা চলছে এবং আরও গবেষণা হচ্ছে বলেও আমরা দেখতে পাচ্ছি।
গেব্রেয়িসাস বলেন, তবে এতদিনে যা জানা গেছে- তাতে উপসর্গ আছে এমন ব্যক্তিদের শনাক্তকরণ, তাদের আইসোলেশনে পাঠানো এবং তাদের সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিকে ট্রেস করে কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো সংক্রমণ থামানোর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপায়।
তিনি আরও জানান, ঠিক এই কাজগুলো করে অনেক দেশই সংক্রমণ থামাতে এবং নিয়ন্ত্রণে সফল হয়েছে।
এর আগে সোমবার এক সংবাদ সম্মেলন ডব্লিউএইচও’র ইমার্জিং ডিজিজ বিভাগের প্রধান মারিয়া ভন কেরখভ বলেন, পরিসংখ্যান বলছে যারা করোনা পজেটিভ কিন্তু উপসর্গ নেই এ ধরনের অ্যাসিম্পটমেটিক ব্যক্তিদের মাধ্যমে সংক্রমণ ছড়ায় না। আর যদি ছড়ায়ও তা বিরল ঘটনা।
বুধবার নিজের সহকর্মীর এমন বক্তব্যের বিষয়ে বলতে গিয়ে ডব্লিউএইচও প্রধান বলেন, নতুন এই ভাইরাসের সম্পর্কে আমরা অনেক কিছু শিখেছি; কিন্তু এখনও অনেক তথ্যই আমাদের অজানা। নতুন একটা ভাইরাসকে আয়ত্ত্ব করা সহজন নয় বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
ঢাকা, ১১ জুন (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমজেড
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: