Azhar Mahmud Azhar Mahmud
teletalk.com.bd
thecitybank.com
livecampus24@gmail.com ঢাকা | রবিবার, ২৮শে এপ্রিল ২০২৪, ১৪ই বৈশাখ ১৪৩১
teletalk.com.bd
thecitybank.com

রাজধানীতে ১১ দিনে ডেঙ্গু আক্রান্ত ৯২৮ জন

প্রকাশিত: ১৪ অক্টোবার ২০১৮, ০২:১৭

লাইভ প্রতিবেদক: রাজধানীতে ডেঙ্গু রোগ মহাহারি আকারে ছড়িয়ে পড়ছে। গড়ে প্রতিদিন অর্ধশত আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ৭ হাজার ১৮৩ জন। মারা গেছেন ১৭জন। ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৫২ জন। চলতি মাসের ১১ দিনে ৯২৮ জন ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিনের প্রফেসর ডা. খান আবুল কালাম আজাদ জানান, ডেঙ্গুজ্বর হলে প্রচুর পানি পান করতে হবে ও পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিতে হবে। ডেঙ্গুর চিকিৎসা বাড়িতে রেখেও হতে পারে। বেশি দুর্বল বা শরীর পানিশূন্য হয়ে পড়লে, নাক ও দাঁত দিয়ে রক্ত ঝরতে থাকলে হাসপাতালে নেয়াই ভালো। ডেঙ্গুজ্বর সাধারণত ১০ দিনের মধ্যে সেরে যায়। কিন্তু দুর্বলতা আরো কিছু দিন থেকে যেতে পারে। ভাইরাসজনিত জ্বর বলে এর কোনো চিকিৎসা নেই। কেবল লক্ষণ বুঝেই চিকিৎসা দিতে হবে।

এ বিষয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) মেডিসিন অনুষদের ডিন প্রফেসর ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ জানান, জুন থেকে অক্টোবর পর্যন্ত ডেঙ্গু জ্বর হয়ে থাকে। এবার রোগী একটু বেশি আসছে। শীতের সময়ে কমে আসবে।

তিনি আরো বলেন, এই সময়ে জ্বর বা গায়ে ব্যথা হলে ডেঙ্গুর কথা মাথায় রাখতে হবে। সাধারণ ডেঙ্গু জ্বর তেমন মারাত্মক রোগ নয়। সাধারণ ডেঙ্গু জ্বরের রোগীর যখন বাহ্যিক বা অভ্যন্তরীণ রক্তপাতের প্রমাণ মেলে (যেমন মাড়ি বা নাক থেকে রক্তক্ষরণ, মলের সঙ্গে রক্তক্ষরণ ইত্যাদি) তখন একে ডেঙ্গু হেমোরেজিক ফিভার বলা হয়। অধিক রক্তক্ষরণের ফলে শরীরের জলীয় উপাদান কমে যায়। ডেঙ্গুজ্বর হলে প্রচুর পানি পান করতে হবে ও পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিতে হবে। জ্বর বাড়লে প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধ অথবা আরো বেশি জ্বর হলে তা কমিয়ে রাখার জন্য সাপোজিটরি ব্যবহার করতে হবে।

সেপ্টেম্বর মাসেই ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মারা যায় ৪ জন। শিশু হাসপাতালে গত মাস পর্যন্ত পাঁচ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। ডেঙ্গু রোগে আক্রান্তে রেকর্ড অতিক্রম করেছে এবার। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কন্ট্রোল রুমের তথ্যানুসারে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলছে। তথ্যানুসারে চলতি মৌসুমে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৭ হাজার ছাড়িয়েছে।

পরিসংখ্যান অনুযায়ী আগস্ট মাসে আক্রান্ত ১৭শ’ ৯৬ জন এবং মারা গেছেন ৬ জন, জুলাই মাসে আক্রান্ত ৯৪৬ জন এবং মারা গেছেন ৪ জন, জুন মাসে ২৯৫ জন আক্রান্ত এবং মৃত্যুবরণ করেছেন ৩ জন। মে মাসে আক্রান্ত ৫২ জন, এপ্রিলে ১৫ জন, মার্চে ৫ জন, ফেব্রুয়ারিতে ৭ জন এবং জানুয়ারিতে ২৬ জন। বর্তমানে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আছেন ২২৪ জন।

জানা গেছে, ধানমন্ডির সেন্ট্রাল হাসপাতালে ৩৩ জন, ইসলামি ব্যাংক হাসপাতালে ২০ জন, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি ৩৬ জন, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল (মিটফোর্ড) ৩১ জন, শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে ৩১ জন, পুরান ঢাকার সালাহউদ্দিন হাসপাতালে ১৩ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি রয়েছেন।

সূত্র জানায়, এই কন্ট্রোল রুমে ঢাকার হাসপাতাল বা সব প্রাইভেট চিকিৎসকদের চেম্বারে চিকিৎসা নিতে আসা ডেঙ্গু রোগীর তথ্য আসে না, সারা দেশ থেকে শুধু ২২ থেকে ২৩টি হাসপাতাল যে তথ্য পাঠায় তা-ই সংরক্ষণ করা হয়। ফলে বেসরকারি পর্যায় থেকে ডেঙ্গুতে আক্রান্তের সংখ্যা বাস্তবে আরো অনেক বেশি বলে দাবি করা হয়।

এদিকে, সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত ঢাকার শিশু হাসপাতালে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ৩শ’ শিশু রোগী ভর্তি হয়েছে। এর মধ্যে পাঁচ শিশুর মৃত্যু হয়েছে বলে খবর দিয়েছে হাসপাতালটির পরিচালক অধ্যাপক ডা. আবদুল আজিজ। পরিচালক বলেন, গত বছরের তুলনায় এ বছর ডেঙ্গু এবং এর ভয়াবহতা অনেক বেশি।

 

 


ঢাকা, ১৩ অক্টোবর (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমআই


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

সম্পর্কিত খবর


আজকের সর্বশেষ