লাইভ প্রতিবেদক: জাতীয় অধ্যাপক এম আর খান ছিলেন দেশের অমূল্য সম্পদ। তিনি শিশু চিকিৎসার পাশাপাশি সারা জীবন মানুষের কল্যাণে ব্যাপক কাজ করেছেন বলে মন্তব্য করেন চিকিৎসক সমাজ।
শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজধানীর সেন্ট্রাল হাসপাতালে ‘চাইল্ড হার্ট ট্রাস্ট বাংলাদেশ’ এর আয়োজনে খ্যাতনামা শিশু চিকিৎসক, সমাজসেবক, জাতীয় অধ্যাপক এম আর খানের স্মরণসভায় তাঁর শিক্ষার্থীরা এসব কথা বলেন।
চাইল্ড হার্ট ট্রাস্ট বাংলাদেশের সহ-সভাপতি ও সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের শিশু হৃদরোগ বিভাগের চিকিৎসক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. নুরুন নাহার ফাতেমার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, বারডেম হাসপাতালের শিশু বিভাগের প্রধান অধ্যাপক আবিদ হোসেন মোলা, ঢাকা শিশু হাসপাতালের শিশু কিডনি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোহাম্মদ হানিফ, বাংলাদেশ পেডিয়াট্রিক এসোসিয়েশনের সাধারন সম্পাদক ও ঢাকা শিশু হাসপাতালের নবজাতক বিভাগের প্রধান অধ্যাপক এম এ কে আজাদ চৌধুরী, সেন্ট্রাল হাসপাতালের পরিচালক ডা. এম এ কাশেম, শিশু হৃদরোগ চিকিৎসক ডা. লুৎফুল কবির, বিশিষ্ট মিডিয়া ব্যক্তিত্ব আফজাল হোসেন, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজের শিশু রোগ বিভাগের প্রধান ডা. সৈয়দা আফরোজা, হার্ট ফাউন্ডেশনের শিশু হৃদরোগ বিভাগের চিকিৎসক ডা. শামসুজ্জামান, কালের কন্ঠের সহ সম্পাদক আতাউর রহমান কাবুল প্রমুখ।
অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন জাতীয় হৃদরোগ ইন্সটিটিউট ও হাসপাতালের শিশু হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. আব্দুলাহ শাহরিয়ার টুটুল।
বাংলাদেশ পেডিযাট্রিক এসোসিয়েশনের সাধারন সম্পাদক অধ্যাপক এম এ কে আজাদ চৌধুরী বলেন, এম আর খান স্যারের চিকিৎসা বিদ্যা পেয়ে এখন দেশে ১২ হাজার শিশু চিকিৎসক কাজ করছেন। তাছাড়া তাঁর গড়া প্রতিটি প্রতিষ্ঠানেরই একটা আলাদা সুনাম রয়েছে। আমাদের সবার উচিৎ হবে স্যারের সম্মান ধরে রাখা।
ঢাকা শিশু হাসপাতালের শিশু কিডনি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোহাম্মদ হানিফ বলেন, শিশুদের সঙ্গে এমনকি এদের মা-বাবার সঙ্গে কেমন আচরণ করতে হবে তা এম আর খান স্যারের কাছ থেকেই শিখেছি। তিনি মানুষের উপকারের জন্য সারা জীবন কাজ করে গেছেন। অথচ আমরা তাঁকে সঠিক মূল্যায়ন করতে পারিনি। স্যার তার কাজের মাধ্যমেই বেঁচে থাকবেন এবং আলাহ তাকে ভালো রাখবেন ইনশা আলাহ্।’
ঢাকা, ২৬ নভেম্বর (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)// এআই
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: