লাইভ ডেস্ক: অবশেষে বাংলাদেশী ছাত্রদের সকল হতাশার অবসান ঘটিয়ে আসতে পারে সমাধান। গত কয়েকদিন আগে বাংলাদেশের জাতীয় দৈনিক ও প্রথম সারির অনলাইন নিউজ পোর্টাল গুলোতে "বাংলাদেশী ছাত্রদের আর আসা হচ্ছে না আল আযহার বিশ্ববিদ্যালয়ে" এই শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হলে নড়েচড়ে বসে বাংলাদেশ দূতাবাস। দূতালয় প্রধান জনাব ইসমাইল হোসেন সাংবাদিকদের আশ্বস্ত করে ছিলেন যতদ্রূত সম্ভব রাষ্ট্রদূত জনাব মনিরুল ইসলাম স্যারের মাধ্যমে আমরা দ্রূত বিষয়টি সমাধানের পথে এগোবো।
তাই গত ২৪ শে নভেম্বর নীলনদের তীর ঘেঁষা মিশরের পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ে বাংলাদেশী ছাত্রদের ভিসা এবং স্কলারশিপ সংক্রান্ত বিষয়ে মিশরের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাননীয় সহকারী মন্ত্রী জনাব ঈসমাঈল খাইরাতের সাথে সাক্ষাৎ করেন, মিশরে অবস্থিত বাংলাদেশ এম্বাসীর মান্যবর রাষ্ট্রদূত জনাব মনিরুল ইসলাম। সে সময় তার সাথে উপস্থিত ছিলেন, এম্বাসীর কনসুলার মোহাম্মাদ ঈসমাঈল হোসাইন, রাষ্ট্রদূতের অনুবাদক ফাহিম আহমাদ। ছাত্র প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মিশরের সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বাংলাদেশী ছাত্রদের একমাত্র সংগঠন, বাংলাদেশ স্টুডেন্টস অর্গানাইজেশনের সাধারণ সম্পাদক, সাইমুম আল-মাহদী।
মাননীয় সহকারী মন্ত্রী মহোদয়ের কাছে বাংলাদেশী ছাত্রদের উচ্চ শিক্ষা অর্জনে মিশরের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে এডমিশনে ভিসা সহজিকরণের দাবি উপস্থাপন করা হয়। বিশেষ করে, আল-আযহার বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলাদেশ থেকে স্কলারশিপ প্রাপ্ত গত দুই সেশনের ছাত্রদের পুলিশ ক্লিয়ারেন্স জটিলতা ও ভিসা প্রাপ্তীতে বিলম্বের কারণে এখনো তারা মিশরে আসার সুযোগ পায়নি। তাদের স্কলারশিপের ডকুমেন্টসগুলো সরাসরি প্রতিমন্ত্রী মহোদয়ের নিকট তুলে ধরা হয়। তিনি অচিরেই এর সমাধানকল্পে কার্যকরী ভূমিকা পালনের আশ্বাস দেন। এবং তৎক্ষণাৎ সিকিউরিটি বিভাগে খোঁজ নেওয়ার জন্য তার পিএসকে নির্দেশ দেন।
ছাত্র প্রতিনিধির পক্ষ থেকে, মিশরে পড়তে চাওয়া প্রাইভেট স্ট্যাডির ছাত্রদের ভিসা প্রাপ্তীর ব্যাপারে কার্যকরী পদক্ষেপের বিষয়ে অনুরোধ জানানো হয়। এ সময় রাষ্ট্রদূত মুনিরুল ইসলাম বলেন, মিশরের আল-আযহার বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়া অথবা বৃত্তি পাওয়া বাংলাদেশী ছাত্রদের একটা স্বপ্নের মতো। এবং আল-আযহারের গত সেশনগুলোর পরীক্ষার ফলাফলে বাংলাদেশী ছাত্রদের সাফল্য তুলে ধরেন। সহকারী মন্ত্রী মহোদয়, খুবই বিস্মিত হন।
সেই সাথে সাধারণ নাগরিকদের দ্রুত ভিসা প্রাপ্তির দাবিও জানানো হয়। তিনি দুই সপ্তাহের মাঝে ভিসা প্রস্তুতের ব্যাপারে আশ্বাস দিয়েছেন।
রাষ্ট্রীদূত মহোদয় বাংলাদেশীদের জন্য বিশেষ শর্তে অন এরাইভেল ভিসা ও বানিজ্যিক সুবিধা, টুরিজম ইস্যুতে মিশরের কার্যকরী ভূমিকার জন্য প্রশংসা করেন। এরপর কায়রো টু ঢাকা সরাসরি এয়ারলাইন্স দ্রুত চালুকরনের ব্যাপারেও মন্ত্রী মহোদয় আশ্বাস দিয়েছেন।
ঢাকা, ২৬ নভেম্বর (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমএ
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: