ইন্টারন্যাশনাল লাইভ : বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এক ছাত্রকে প্রকাশ্যে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এঘটনার পর বন্ধ করে দেয়া হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়। গ্রেফতার করা হয়েছে বেশ কয়েকজন ছাত্রকে। ইসলাম ধর্মকে অবমাননার অভিযোগ এনে পাকিস্তানের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ওই ছাত্রকে গণপিটুনি দিয়ে হত্যা করা হয়েছে। ওই হত্যার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে গেছে। যদিও হত্যার ঘটনা ঘটেছে ১৩ এপ্রিল। খবর-বিবিসির।
বিবিসি আরো জানিয়েছে, নিহত ওই শিক্ষার্থীর নাম মাশাল খান। তিনি আব্দুল ওয়ালি খান বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন। কেউ কেউ দাবি করছেন তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। আবার অনেকে বলছেন, তাকে কাঠের তক্তা দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয়।
জ্যেষ্ঠ পুলিশ কর্মকর্তা নিয়াজ সাইদ বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানান, খুব কাছ থেকে গুলি করার পর মাশালকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করা হয়।
লাঠি, ইট ও হাত দিয়ে তাকে পেটানো হয়। তিনি জানান, এ ঘটনার সঙ্গে শতাধিক মানুষ জড়িত।
পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম ডন জানিয়েছে, দুই শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে ফেসবুকে ধর্ম অবমাননাকর পোস্ট দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। তবে এই দুই শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে কোনও তদন্ত করছিল না পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে কোনও মামলাও ছিল না। গুজবের জের ধরে গণপিটুনিতে মাশালকে হত্যা করা হয়। একজন কোনও মতে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। গণপিটুনির একটি ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ছড়িয়ে পড়েছে।
পাকিস্তানে ধর্ম অবমাননা খুব স্পর্শকাতর বিষয়। গত মাসেই প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ধর্ম অবমাননাকর পোস্টের বিরুদ্ধে ব্যাপক আকারের অভিযান চালানোর নির্দেশ দিয়েছেন। নিজ দলের অফিসিয়াল টুইটার অ্যাকাউন্টে এক পোস্টে দাবি করা হয়েছে, এটা ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিশ্ববিদ্যালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, মুক্ত ও ধর্মনিরপেক্ষ মনোভাবের কারণে অনেকেই মাশাল খানকে অপছন্দ করত।
ঢাকা, ১৭ এপ্রিল (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//জেএন
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: