লাইভ প্রতিবেদক : মাধ্যমিক পরীক্ষায় সর্বোচ্চ নম্বর পেয়ে দেশসেরা হয়েছেন তিনি। রাষ্ট্রপতি তাকে নিজহাতে পুরষ্কৃত করেছেন। মেধাবী এই ছাত্রীটির চারপাশে এখন কেবলই আঁধার। কোচিং শেষে ফেরার পথে গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন তিনি। বুধবার গণধর্ষণের ঘটনায় ভারতের হরিয়ানা রাজ্যে তোলপাড় শুরু হয়েছে।
জানা গেছে, ২০১৫ সালে মাধ্যমিক পরীক্ষায় (সিবিএসই) দেশসেরা নম্বর পায় ওই ছাত্রী। রাষ্ট্রপতি নিজ হাতে সম্মানিত করেছিলেন তাকে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন। সেসময় তার বাবা-মাকে মোদি বলেছিলেন, ‘বেটি পড়াও, বেটি বাঁচাও’। সেই ‘বেটিকে’ এবার পাঁচ-ছয়জন যুবক গণধর্ষণ করেছে।
তবে এঘটনায় কোন থানায় মামলা নেইনি। হরিয়ানার রেওয়ারি গ্রামে দেশের সেরা মেধাবী ও কৃতী ছাত্রীর জীবনে এমন কলঙ্কজনক ঘটনায় স্তম্ভিত গোটা ভারত। নিন্দার ঝড় বইছে বিজেপি শাসিত হরিয়ানা রাজ্যের সরকার ও পুলিশের ভূমিকায়।
পুলিশ জানিয়েছে, কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ওই ছাত্রী বুধবার কোচিং সেন্টার থেকে ফিরছিল। পথে একটি গাড়িতে তিন ব্যক্তি ওই তরুণীকে জোর করে তুলে নেয়। সেখান থেকে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় একটি ফাঁকা জমিতে। ছাত্রীর বয়ান অনুযায়ী, সেখানে আরও কয়েকজন অপেক্ষা করছিল, তারা তাকে একটি পানীয় খাওয়ায়। পরে সবাই মিলে ধর্ষণ করে।
মেডিকেল রিপোর্টে গণধর্ষণের প্রমাণও মিলেছে। ওই ছাত্রীজানিয়েছে, অভিযুক্ত প্রত্যেকেই তার গ্রামেরই বাসিন্দা। এদের গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
ঘটনাটি নিয়ে ছাত্রীর মা বলেন, ‘বেটি পড়াশোনার জন্য রাষ্ট্রপতির কাছ থেকে সম্মান পেয়েছে, প্রধানমন্ত্রী মোদিজির প্রশংসাও পেয়েছিল। কিন্তু তারপর? তাকে গণধর্ষণ করা হল।’
পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করতে যান তার বাবা-মা। কিন্তু রিপোর্টই নিতে চাইল না কোনো থানা। শেষে জিরো এফআইআর দায়ের করে দায় এড়ায় পুলিশ। জিরো এফআইআরের মানে হল কোথায় ঘটনাটি ঘটেছে তা নিশ্চিত হওয়ার আগের এফআইআর।
ঢাকা, ১৫ সেপ্টেম্বর (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//সিএস
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: