অনলাইন সুইসাইডাল গেম ব্লু-হুইলের পর এবার আরেক প্রাণঘাতি গ্রেইম ছড়িয়ে পড়েছে। শিক্ষার্থীরা ওই গেইমে আসক্ত হয়ে পড়ছেন। প্রাণঘাতি ওই মোমো গেইমে আসক্ত হয়ে প্রথম মৃত্যুর খবর এসেছে। পশ্চিমবঙ্গে গেইম খেলে এক স্কুলছাত্রের আত্মহত্যার খবর পাওয়া গেছে। মোমো গেমে আসক্ত হয়ে প্রাণ দিয়েছে কার্শিয়াং জেলার দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র মণীশ সার্কি। বিষয়টি স্বীকার করেছেন জেলার পুলিশ সুপার।
ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ কর্মর্তারা তদন্ত করে দেখেন, যে ফার্মহাউস থেকে মণীশের লাশ উদ্ধার হয় সেখানের দেয়ালে নানা রকমের অদ্ভুত চিহ্ন, কিছু অসংলগ্ন লেখা। সেখানে লাল রঙে একটি হার্ট সিম্বলও আঁকা ছিল। সেসব দেখে ও তার মোবাইল ঘেটে পুলিশ নিশ্চিত হয় অনলাইন গেম মোমোর কারণেই মণীশের মৃত্যু হয়েছে। জানা গেছে, গত ২০ আগস্ট সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরে একটি ফার্ম হাউসে গিয়ে আত্মহত্যা করে দ্বাদশ শ্রেণির ওই ছাত্র। সার্কির মা চন্দ্রমায়া দেবী বলেন, রাতে ছেলে বাড়ি ফিরে আসেনি দেখে খোঁজ শুরু হয়। ও দিনভর মোবাইল গেমে ডুবে থাকতো। মোমো গেমই আমার ছেলেকে কেড়ে নিলো।
এর আগে জলপাইগুড়ি জেলার এক কলেজছাত্রী মোমো গেমের ট্রাপে পড়েন। তিনি অবশ্য বিষয়টি পুলিশে জানান। অন্যদিকে মেদিনীপুরের দাসপুরে এক স্কুলছাত্রও মোমো খেলায় মেতে ওঠে। এভাবে একের পর এক ঘটনা সামনে আসায় রাজ্য পুলিশও এখন বাড়তি সতর্ক। আইজি আনন্দকুমার জানান, অনলাইন সুইসাইড গেম নিয়ে অনেক অভিযোগ আসছে। কার্শিয়াংয়ে এক ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। জলপাইগুড়িতেও একজনকে টোপ দেওয়া হয়েছিল।
সিআইডি ও গোয়েন্দা বিভাগকে বিষয়টিতে নজর দিতে বলা হয়েছে। স্কুল-কলেজগুলোয় সচেতনতামূলক প্রচারণা চালানোর পরিকল্পনা চলছে। যে কজন শিক্ষার্থী ইতোমধ্যে এই সুইসাইডাল গেমে আসক্ত হয়েছে তাদের কাউন্সেলিং চলছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
ঢাকা, ২৫ আগস্ট (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//সিএস
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: