Azhar Mahmud Azhar Mahmud
teletalk.com.bd
thecitybank.com
livecampus24@gmail.com ঢাকা | সোমবার, ২৯শে এপ্রিল ২০২৪, ১৬ই বৈশাখ ১৪৩১
teletalk.com.bd
thecitybank.com

‘স্যার, যাবেন না প্লিজ…’

প্রকাশিত: ২৪ জুন ২০১৮, ০০:১৮

ইন্টারন্যাশনাল লাইভ: প্রিয় শিক্ষক চলে যাচ্ছেন। খবরটা পেয়েই আর স্থির থাকতে পারছেনা শিক্ষার্থীরা। সরকারি নিয়ম, যেতেই হবে। তবু শিক্ষক গেট থেকে বেরনোর মুহূর্তেই গড়ে উঠল শিক্ষার্থীদের মানবপ্রাচীর। হাতে হাত রেখে ঘিরে দাঁড়াল খুদে শিক্ষার্থীরা। চোখে জল আর আকুল আবেদন, স্যার, যাবেন না প্লিজ...। আর্তি শুনে তখন চোখে জল শিক্ষকদেরও।

তামিলনাড়ুর একটি সরকারি হাই স্কুলে শিক্ষকতা করতেন জি ভগবান। তরুণ শিক্ষক। ছাত্র-ছাত্রীদের সঙ্গে দারুণ দোস্তি। ইংরেজি পড়াতেন তিনি। অবসর সময়ে তাদের গল্প শোনাতেন। কার বাড়িতে কী অবস্থা সব খোঁজখবর রাখতেন ওই শিক্ষক।

কার কীসে অসুবিধা-সুবিধা তা তাঁর নখদর্পণে। শিক্ষার্থীরাও মন খুলে শিক্ষককে বলতে পারত সব কথা। ভালও বাসত। সেই শিক্ষক চলে যাচ্ছে দেখে আর বসে থাকতে পারেনি তারা। হাতে হাত রেখে তৈরি করেছে মানবপ্রাচীর।

চোখের জলে আবেদন করেছেন, বলেছে, স্যর যাবেন না। কিন্তু কেন চলে যেতে হচ্ছে স্যরকে? আসলে যে স্কুলে ভগবান চাকরি করতেন ছাত্র অনুপাতে সেখানে শিক্ষকের সংখ্যা বেশি। তাই শিক্ষক কম এমন স্কুলে তাঁকে স্থানান্তরিত করা হচ্ছে। কিন্তু প্রিয় শিক্ষকের সঙ্গে বিচ্ছেদ মেনে নিতে পারছে না কেউই। শিক্ষার্থীদের এই অবস্থা দেখে হতবাগ শিক্ষকরাও। ছাত্রদের সঙ্গে সঙ্গে তাদের চোখেও জল। তবু, চলে তো যেতেই হবে। সরকারি নিয়ম যে এটাই।

একালে শিক্ষাও নাকি ব্যবসা হয়ে গিয়েছে। কোথাও আবার শিক্ষার্থীদের শাস্তি দিতেও ভয়ে ভয়ে থাকেন শিক্ষকরা। কারণ হাজারো নিয়মের কড়াকড়ি। ফলে ছাত্র-শিক্ষক সম্পর্কের মাধুর্যটাই যেন নষ্ট হয়ে গিয়েছে। কিন্তু এ মহাবিশ্বে কোথাও কিছু হারায় না। অন্তরের জিনিস থেকে যায় অন্তরেই।

 

ঢাকা, ২৩ জুন (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমআই


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

সম্পর্কিত খবর


আজকের সর্বশেষ