Azhar Mahmud Azhar Mahmud
teletalk.com.bd
thecitybank.com
livecampus24@gmail.com ঢাকা | শুক্রবার, ৩রা মে ২০২৪, ২০শে বৈশাখ ১৪৩১
teletalk.com.bd
thecitybank.com

”নির্বাচনে সব দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা অপরিহার্য”

প্রকাশিত: ২৩ জুন ২০১৮, ০৪:৪৭

ইন্টারন্যাশনাল লাইভ: বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন দক্ষিণ এশীয় রাজনীতি বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষজ্ঞরা। যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাংলাদেশের স্থিতিশীল সরকার ও নিরাপত্তার স্বার্থে দেশটির আগামী নির্বাচনে সকল দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা অপরিহার্য হয়ে পড়ছে।

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে প্রতিযোগিতামূলক করে তুলতে সকল দলের জন্য প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ্য করে বিশেষজ্ঞরা বলেন, দেশের রাজনৈতিক দলগুলোকেই আলাপ আলোচনার মাধ্যমে একটি গ্রহণযোগ্য ঐকমত্যে পৌঁছতে হবে। আগামী নির্বাচন অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন না হলে দেশটির গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ দীর্ঘমেয়াদে বাঁধাগ্রস্থ হতে পারে।

যুক্তরাষ্ট্রের জর্জটাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোপলি লাউঞ্জ হলে ‘দ্যা গ্লোবাল ডিক্লাইন অফ ডেমোক্রেসি: এ বাংলাদেশ পার্সপেক্টিভ’ বিষয়ক সেমিনারে এমন মতামত ব্যক্ত করেন তারা। নিউইয়র্কভিত্তিক থিঙ্কট্যাঙ্ক প্রতিষ্ঠান 'আর্চার কে ব্লাড সেন্টার ফর ডেমোক্রেসি' আয়োজিত 'বাংলাদেশ ডেমোক্রেসী কনফারেন্স' উপলক্ষে ঐ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

এসময় উক্ত সেমিনারে বক্তব্য রাখেন, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের গ্লোবাল ক্রিমিনাল জাস্টিস বিষয়ক প্রাক্তন অ্যাম্বাসাডর স্টিফেন জে র‌্যাপ, প্রখ্যাত থিংকট্যাঙ্ক প্রতিষ্ঠান আটলান্টিক কাউন্সিলের সাউথ এশিয়া সেন্টারের পরিচালক ড: ভারত গোপালস্বামী, প্রভাবশালী থিঙ্কট্যাঙ্ক উড্রো উইলসন সেন্টারের সিনিয়র এসোসিয়েটস ও সাউথ এশিয়া বিভাগের ডেপুটি ডিরেক্টর মাইকেল কুগেলম্যান, বাংলাদেশের মানবাধিকার বিষয়ের ইন্ডিপেন্ডেন্ট এক্সপার্ট ও বাংলাদেশের নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা বিভাগীয় প্রধান হিদার গোল্ডস্মিথ। সেমিনার সঞ্চালনা করেন জর্জ টাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের রিসার্চ ফেলো ও বিশ্ব ব্যাংকের কনসালটেন্ট ড: তামিনা এম. চৌধুরী।

রাষ্ট্রদূত স্টিফেন জে র‌্যাপ তাঁর বক্তৃতায় বলেন, শুধু নির্বাচনই একমাত্র গণতান্ত্রিক মানদন্ড নয়। রাষ্ট্রের সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলো শক্তিশালী কিনা, এগুলো নিরপেক্ষ ও স্বাধীনভাবে কাজ কাজ করছে কিনা সেটাও খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

এসময় তিনি জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদের প্রতিবেদন উদ্বৃত করে বাংলাদেশের বিচারবহির্ভুত হত্যা, গুম, খুন ও বিরোধীমত দমনে অত্যধিক শক্তিপ্রয়োগের কঠোর সমালোচনা করেন। প্রায় ১০ লক্ষাধিক রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিকভাবে প্রশংসিত হয়েছে; কিন্তু, নিজ জনগোষ্ঠীর উপর সরকারের মানবাধিকার লঙ্ঘনও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দৃষ্টি এড়ায়নি।

 


ঢাকা, ২২ জুন (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমআই


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

সম্পর্কিত খবর


আজকের সর্বশেষ