লাইভ প্রতিবেদক: পরীক্ষা ছাত্র জীবনের সফলতার একটি সিঁড়ি। শিক্ষার্থীকে অনেক সময় সফলতার পথে পরীক্ষায় ফেল করাটা একটা বাধা। আর এই বাধাকে অতিক্রম করে জীবনে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার দৃঢ় প্রতিজ্ঞাকে কখনো কখনো ভুলে যায় অনেকেই।
কিন্তু পরীক্ষায় ফেল করাটাও একটা শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার অংশ তাই জীবনে হতাশ না হয়ে আবারো চেষ্ঠা চালিয়ে যাওয়াই একজন আদর্শ শিক্ষার্থীর কাজ বলে মনে করেন বাবা সুরেন্দ্র কুমার। সেই থেকেই ছেলের ফেল করার বিষয়টাও একটা সফলতা ভেবে বাবা ছেলেকে শিক্ষাজীবনে মনোবল ফিরিয়ে দিতেই এই ব্যতিক্রম আয়োজন করেন তিনি।
পরীক্ষায় পাস করতে না পেরে অনেকেই বাড়িতে না ফিরে আত্মীয়-স্বজনের বাড়ি চলে যান। অনেকে আবার আত্মহত্যার পথ বেছেনেন। অন্যদিকে সন্তান পাস করতে না পারলে মা-বাবা রাগে অগ্নিশর্মা যেমন হন, অনেক সময় স্বজনের কাছে মুখ দেখাতে তারাও লজ্জা পান। কিন্তু ছেলে চার বিষয়ে ফেল করেছে জেনেও এক বাবা ঢাকঢোল পিটিয়ে মিষ্টি খাওয়ালেন প্রতিবেশীদের।
বকাঝকা তো দূরের কথা, উল্টে ছেলেকে ফুলের মালা দিয়ে সাজিয়ে রীতিমতো শোভাযাত্রা বের করে পাড়া ঘোরাচ্ছেন তিনি! এমন অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে ভারতের মধ্যপ্রদেশের সাগরে।
সেই মধ্যপ্রদেশ, যেখানে কয়েক দিন আগেই পরীক্ষায় পাস করতে না পেরে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিল ১১ ছাত্র। তাদের মধ্যে ছয়জন মারাও গেছে। কেউ মাধ্যমিক পরীক্ষায় অকৃতকার্য হয়েছেন, কেউ বা উচ্চমাধ্যমিকে।
অকৃতকার্য ওই ছাত্রের বাবা সুরেন্দ্র কুমার জানান, তিনি বরং উল্টো পথে হেঁটে ছেলেকে বোঝানোর চেষ্টা করেছেন। সুরেন্দ্রর কথায়, একটা পরীক্ষায় ফেল মানেই জীবন শেষ নয়। জীবন সবে শুরু হয়েছে। চাই না ছেলে কোনো ভুল সিদ্ধান্ত নিক।
নিজের ছেলে ফেল করলেও, এই উদযাপন এর মধ্য দিয়ে তিনি অন্য বাবা-মায়েদের সেই বার্তাই দিতে চেয়েছেন। সুরেন্দ্র বলেন, সন্তানদের অতিরিক্ত চাপ না দিয়ে, তাদের কাছে টেনে ভালোবাসা উচিত।
মনোবিদ রাজর্ষি গুহঠাকুরতা বলেন, অকৃতকার্য ছাত্রের বাবা যে সাহস দেখিয়েছেন, তাতে হয়তো আরেকটি আত্মহত্যা আটকানো গেল।
ঢাকা, ১৭ মে (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমআই
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: