Azhar Mahmud Azhar Mahmud
teletalk.com.bd
thecitybank.com
livecampus24@gmail.com ঢাকা | শুক্রবার, ২৬শে এপ্রিল ২০২৪, ১২ই বৈশাখ ১৪৩১
teletalk.com.bd
thecitybank.com

বাংলা নববর্ষ ঘিরে তারুণ্যের ভাবনা ও প্রত্যাশা

প্রকাশিত: ১৫ এপ্রিল ২০২৩, ০২:২৭

বাংলা নববর্ষ ঘিরে তারুণ্যের ভাবনা ও প্রত্যাশা

পহেলা বৈশাখ বা বাংলা নববর্ষ বাঙালির প্রাণের উৎসব। দিনটি সকল বাঙালি জাতির ঐতিহ্যবাহী বর্ষবরণের দিন। পহেলা বৈশাখ মানেই ‘এসো হে বৈশাখ, এসো এসো’। চিরচেনা সেই সুমধুর গান নিয়ে প্রতিবছর আমাদের মাঝে আসে বাংলা বর্ষের প্রথম দিন পহেলা বৈশাখ। এটি বাঙালিদের একটি সর্বজনীন লোকউৎসব হিসাবে বিবেচিত।

 

বাংলা নববর্ষের এই দিনটি ঘিরে তারুণ্যের মধ্যে কাজ করে অনেক উচ্ছ্বাস। থাকে অনেক চাওয়া-পাওয়ার গল্প৷ বাংলা নববর্ষের এই দিনটিকে ঘিরে তারুণ্যের ভাবনা ও প্রত্যাশা তুলে ধরছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও ক্যাম্পাসলাইভের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি আবির হোসেন

 

নববর্ষ বিদায়ী বছরের গ্লানি মুছে দিয়ে ওড়ায় নতুনের কেতন

মিতু রানী দাস

শিক্ষার্থী, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ,জবি

 

কল্যাণ ও নতুন জীবনের প্রতীক হল নববর্ষ। অতীতে ভুলত্রুটি ও ব্যর্থতার গ্লানি ভুলে নতুন করে সুখ শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনায় উদ্‌যাপিত হয় নববর্ষ। বাঙালি উৎসব ও আনন্দপ্রিয় জাতি। পারিবারিক, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় নানা উপলক্ষ্যে তারা আনন্দ উৎসবে মেতে ওঠে। সেসবের মধ্যে ব্যতিত্রুমী হয়ে অভিভূত হয় বাংলা নববর্ষ যার স্বাদ, গন্ধ ও আবেদন অন্যান্য উৎসব হতে একেবারেই আলাদা।

 

জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সব মানুষ, সব বাঙালি সকল সংকীর্ণতার উর্ধ্বে উঠে সমগ্র জাতি একই হৃদয়াবেগে একটি মোহনায় মিলিত হয়ে পালন করে এই সর্বজনীন উৎসব ’বাংলা নববর্ষ’। বাংলা নববর্ষ তাই বাঙালিদের জীবনে সবচেয়ে বড় সর্বজনীন ও অসাম্প্রদায়িক উৎসব।

 

এর মাধ্যমে জাতি তার স্বকীয়তা ও জাতীয়তাবাদী চেতনার শক্তি সঞ্চয় করে। সচেষ্ট হয় আত্মপরিচয় ও শিকড়ের সন্ধানে। এরূপ নববর্ষই বাঙালি জাতিকে ইস্পাত-কঠিন ঐক্যে আবদ্ধ করেছিল। শক্তি ও সাহসের সঞ্ছার করে সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে প্রেরণা জুগিয়েছিল।

 

 

নববর্ষে ঘুচে যাক সব সংকট ও সাংস্কৃতিক হীনম্মন্যতা

 

অনিল মো. মোমিন

শিক্ষার্থী, অর্থনীতি বিভাগ, ইবি

 

অতীতের দুঃখ গ্লানি মুছে আগামীর সুখী-সুন্দর নতুনত্বের আহ্বানে আবার এসেছে বাংলা নববর্ষ। কৃষি কেন্দ্রিক নববর্ষের আগেকার দিনে সেই জৌলুস হাঁরালেও নাগরিক জীবনে এর প্রভাব বেড়েছে এটি নিঃসন্দেহে বলা যায়। এদিনটিকে কেন্দ্র করে কৃষি-কৃষক, ব্যবসায়ীদের মধ্যে যে আনুষ্ঠানিকতা চলে তা একটি উৎসব আমেজ তৈরি করে। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হালখাতার সাথে চলে নানান ধরনের মিষ্টান্ন ও উপহার। গ্রামে এ উপলক্ষ্যে লোকজ মেলা হয় যা নববর্ষের আনন্দকে বাড়িয়ে দেয়।

 

তরুণ-তরুণীদের মধ্যে নববর্ষের নানান সাজ লক্ষ্য করা যায়। নববর্ষের বিশেষ পোশাক, পান্তা-ইলিশ, ছায়ানটের আগমনী সংগীত আর চারুকলার মঙ্গল শোভাযাত্রা শহরে জীবনে নববর্ষের অন্যতম অনুষঙ্গ। নববর্ষের রয়েছে নানান ধরনের তাৎপর্য। সামাজিক, সাংস্কৃতিক, অর্থনৈতিক এমনকি অধুনা রাজনৈতিক গুরুত্বও রয়েছে। নানান ধর্ম-বর্ণ-গোত্র নির্বিশেষে নববর্ষ উদযাপনে স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ রয়েছে সেই বহু আগে থেকেই।

 

এভাবে এটি হয়ে উঠে সার্বজনীন উৎসব। তবে সাম্প্রতিক সময়ে আমরা এর পক্ষে বিপক্ষে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখতে পাই যা অনাকাঙ্ক্ষিত। এই উৎসবটিকে যেমন সাম্প্রদায়িকতার মধ্যে টেনে নেওয়া উচিত না তেমনি অসাম্প্রদায়িক চেতনাও যেন ধর্মানুভূতিতে আঘাত না করে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। আমাদের নানান সংকট ও তীব্র তাপদাহ কেটে যাক নতুন বছরের শুভ সূচনায়।

 

নববর্ষের উচ্ছ্বাসকে ধারণ করে ফুলের মত পবিত্র হোক দেশ

 

রিয়া বসাক

শিক্ষার্থী, ইংরেজী বিভাগ, ইবি

 

নতুন কিছু মানেই শুদ্ধ। সে প্রত্যাশা রেখেই নতুন বছরের শুরু হোক শুদ্ধতার চর্চায়। নিপাত যাক সমাজের বিকৃত চিন্তা-চেতনা। সম্প্রীতি, সৌহার্দ্যের ছায়াতলে আশ্রয় পাক সমগ্র দেশ ও জাতি।

বারো মাসে তের পার্বণের জাতি বাঙালির মনে প্রাণে মিশে থাকুক বাঙালিয়ানা অস্তিত্ব। যে অস্তিত্বের প্রভাবে পৃথিবী একদিন পরিচিত হবে শান্তির গ্রহ নামে। গাছের একটি ডালকে কেন্দ্র করে যেমন পাতার বিস্তৃতি তেমনি নববর্ষের উচ্ছ্বাসকে ধারণ করে সত্য, সুন্দর, ফুলের মত পবিত্র হোক দেশ।

 

নববর্ষ সাংস্কৃতিক একতা ও সাম্প্রদায়িকতার একটি প্রতীক

সিফাত জামান মেঘলা

শিক্ষার্থী, আইন বিভাগ,ববি

 

পহেলা বৈশাখ হল বাংলা বছরের প্রথম মাসের প্রথম দিন। এটি প্রধানত বাঙালি সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যের একটি গৌরবময় উৎসব। এটি বাঙালি সংস্কৃতির বৈশিষ্ট্যমূলক উৎসব এবং সাংস্কৃতিক একতা ও সাম্প্রদায়িকতার একটি প্রতীক। পহেলা বৈশাখে মানুষরা নতুন আশা ও প্রত্যাশার সাথে নানা উৎসবের আয়োজন করে থাকেন।

 

এটি এমন একটি উৎসব যেখানে সকল শ্রেণী-পেশার মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করে। পহেলা বৈশাখে মানুষকে পিছনের জরা-দু: ভুলে নতুন করে শুরু করার স্বপ্ন দেখায়। এটি বাঙালি সংস্কৃতির মানসিক ও সামাজিক বিকাশের একটি গৌরবময় উৎসব। পহেলা বৈশাখ বাঙালিদের এক অনন্য অসম্প্রদায়িক উৎসবের নিদর্শন। তাই পহেলা বৈশাখ হলো বাঙালির জাতীয়তাবাদির উৎসব।

 

 

বাঙালি সংস্কৃতিকে টিকিয়ে রাখতে সচেতনতা জরুরি

সুকান্ত দাস

শিক্ষার্থী, পরিসংখ্যান বিভাগ ,ইবি

 

বাংলা নতুন বছরের শুরুর দিনকে নববর্ষ হিসেবে পালন করা হয়। আবহমান কাল থেকে এই দিনটি সাড়ম্বরে পালন হয়ে আসছে। এই দিনটি বাঙালি সংস্কৃতির ধারক৷ তবে বর্তমানে কিছু বিষয় দেখলে কষ্ট লাগে। এতো সমৃদ্ধ আমাদের বাঙালী সংস্কৃতি। কতো বিচিত্র তার রূপ।

আমাদের সংস্কৃতির মতো এতোটা সমৃদ্ধ সংস্কৃতি হয়তো বিশ্বের কোনো জাতির নেই। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের বিষয় যে আমরা এতো সমৃদ্ধ সংস্কৃতি ছেড়ে বিদেশি সংস্কৃতির দিকে ঝুঁকে পড়ছি, পশ্চিমা সংস্কৃতির দিকে ঝুঁকে পড়ছি।

সংস্কৃতির সংকট একটা জাতির সবচেয়ে বড় সংকট গুলোর মধ্যে অন্যতম। বাঙালি সংস্কৃতি মানতে হবে বলে যে লুঙ্গি গেঞ্জি পরে থাকতে হবে এমনটা নয়। বিভিন্ন কাজে কর্মে, ব্যবহারে, কথায় আমরা আমাদের সংস্কৃতির চর্চা করতে পারি। যদি মনে হয় যে কিছু কুসংস্কার রয়েছে তাহলে আমরা সেই কুসংস্কার দূরীকরণের উপায় বের করতে পারি

কিন্তু সামগ্রিকভাবে আমরা আমাদের সংস্কৃতি ছেড়ে বিদেশি সংস্কৃতি গ্রহণ করতে পারি না। এটা উচিত হবে না। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের এ বিষয়ে বেশি সচেতন হওয়া উচিত। ইউরোপিয়ান সংস্কৃতির চর্চা বাংলাদেশে করলে আমাদের বাঙালি সংস্কৃতির চর্চাকে করবে? শিক্ষিত সমাজ এটা নিয়ে সোচ্চার না হলে, সচেতন না হলে বাঙালি সংস্কৃতি কে টিকিয়ে রাখা অসম্ভব হয়ে যাবে।

 

হতে হবে সম্পূর্ণ বাঙালি

মাহমুদা টুম্পা

শিক্ষার্থী, ব্যবস্থাপনা বিভাগ, ইবি

 

‘এসো হে বৈশাখ এসো এসো’- গানটিই যেন নববর্ষের প্রতিমূর্তি। পুরনোকে বিদায় দিয়ে নতুন বর্ষকে গ্রহণ করার পালাক্রম চলে। নতুন উৎসবে নতুন পোশাকে ফুটিয়ে ওঠে খুশির টেউ। সেই ঢেউয়ে অংশগ্রহণ করে নারী পুরুষ নির্বিশেষে।

 

কিন্তু সেখানেও নারী নিপীড়নের মতো জঘন্য ঘটনা ঘটতে দেখা যায়। নারী হয় লাঞ্ছিত, হয় সহিংসতার শিকার। পহেলা বৈশাখ উদযাপনের মধ্য দিয়ে বাঙালি উপলব্ধি করতে পারে যে, এটা আমাদের নববর্ষ, নিজস্ব সংস্কৃতি। এই দিনেও কি নারীরা ছাড় পাবে না। এসব হিংসাত্মক আচরণ মানুষের স্বাভাবিক আচরণ নয়। এই হিংসা অশিক্ষা থেকে এসেছে। মুখস্ত করে খাতায় উগরে দিলে তা শিক্ষা হয় না। সত্যিকারের শিক্ষার জন্য সংস্কৃতির যোগ অপরিহার্য। এ পথেই উদ্ধার সম্ভব।

 

শিক্ষার সঙ্গে সংস্কৃতির যোগ না ঘটলে এদেশ থেকে অজ্ঞানতা, অজ্ঞতা দূর হবে না। বাংলাদেশের মতো ছোট দেশে এসব ন্যাক্কারজনক ঘটনা কাম্য নয়। আমরা বাঙালি নববর্ষকে ভালোবাসি অথচ সেই দিনে নারীকে শ্রদ্ধা করি না কেন? কেন কালো হায়েনারা জেগে ওঠে সেদিন? আমার মনে হয় নববর্ষকে বরণ করতে হলে আগে প্রথমে মন থেকে অন্ধকার দূর করতে হবে। মন থেকে অজ্ঞানতার অন্ধকার দূর হলেই আমরা মানুষ হতে পারব। হতে পারব সম্পূর্ণ বাঙালি।

 

 

নববর্ষে নব দিগন্তের মত জেগে উঠুক বাঙালি সত্ত্বা

 

নাইমা সুলতানা

শিক্ষার্থী, দর্শন বিভাগ, চবি

 

একটি জাতির নিজস্ব পরিচয় গড়ে ওঠে, তার সংস্কৃতিকে আঁকড়ে ধরার মাধ্যমে। অনেক সময়ের, অনেক সংস্করণের মধ্য দিয়ে আজকের বাংলা নববর্ষ যা বাঙালি জাতির সংস্কৃতির সাথে অঙ্গাঙ্গীভাবে মিশে আছে। এই উৎসবের আমেজে বাঙালি মাতোয়ারা হয়ে আছে হাজার বছর ধরে।

 

নববর্ষ শব্দটি উচ্চারণ করলেই মনে পড়ে যায়, রবি ঠাকুরের গান- ‘এসো হে বৈশাখ, এসো এসো’। এই দিনকে কেন্দ্র করে বাঙালিরা পান্তা-ইলিশ খায় এবং বাহারি রকমের বাঙালি ঐতিহ্যবাহী খাবারের আয়োজন করে। এছাড়া মেয়েরা শাড়ি ও ছেলেরা পাঞ্জাবী পরে রাস্তায় বের হয় মঙ্গল শোভাযাত্রার জন্য।

 

‘হালখাতা’ বাংলা নববর্ষের প্রাচীন ঐতিহ্যের প্রয়াস। বর্তমান সময়ে নববর্ষ উদ্‌যাপন বড় আয়োজনে থাকে ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’। বাঙালিরা জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে থাকে। তবে শহুরে যান্ত্রিকতা আর নগরায়ণের চাপে কিছুটা চাপা পড়ে যাচ্ছে আমাদের গ্রাম বাংলার চিরায়ত সংস্কৃতি। নানা কৃত্রিমতার চাদরে ঢাকা পড়েছে প্রাণের এ উৎসব।

 

১৯৮৯ সাল থেকে ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ’ এর আয়োজনে নববর্ষ সংস্কৃতির প্রতিনিধিত্ব করে আসছে। এছাড়াও বর্তমানে দেশের প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে নববর্ষকে কেন্দ্র করে নানাবিধ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। কিন্তু এরপরও কোথায় যেন গ্রাম বাংলার প্রাণের ছোঁয়াটা অনুপস্থিত। তাই মানুষে মানুষে সকল ভেদাভেদ ভুলে আত্মার সাথে যোগাযোগ পুনঃস্থাপন হোক বাঙালি নববর্ষের লক্ষ্য। নব দিগন্তের মতো জেগে উঠুক বাঙালি সত্ত্বা

 

 

পহেলা বৈশাখ হোক সম্প্রীতির সেতুবন্ধন

স্বপ্না রানী মন্ডল

শিক্ষার্থী, চারুকলা বিভাগ, ইবি

 

বাংলা নববর্ষ বাংলা ক্যালেন্ডারে নতুন বছরের প্রথম দিন। এটি বাংলাদেশ, ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা এবং অন্যান্য পূর্ব ভারতীয় রাজ্যসমূহের বাংলা ভাষাভাষী সম্প্রদায়েমানুষের জন্য একটি উৎসবের দিন। দিনটি বাংলাদেশে পহেলা বৈশাখ নামে সমাধিক পরিচিত।

 

কালের পরিক্রমায় পুরোনো বছর বিদায় নিয়ে আসে নতুন বছর। নতুন বছরের ১ম দিন একেক জনের কাছে একেক রকম বার্তা নিয়ে হাজির হয়। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, নববর্ষ ব্যবসায়ীদের কাছে আসে পুরোনো বকেয়া আদায়ের হালখাতা রূপে আবার কারও কারও কাছে আসে উৎসব রূপে।

বাংলা নববর্ষ বাঙালিদের সর্বজনীন ও অসামপ্রদায়িক উৎসব। এদিন জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সকল শ্রেণিপেশার মানুষ সকল সংকীর্ণতার উর্ধ্বে উঠে বাঙালি জাতিয়তাবাদকধারন করে একসাথে প্রাণের মেলায় মিলিত হয়।

বাংলা নববর্ষ বাঙালির প্রাণের উৎসব। সকল পরাধীনতার গ্লানিকে দূরে সরিয়ে রেখে নতুনের আহ্বানে সারা দিয়ে নব উদ্যোমে সবকিছু আবার শুরু হোক। বিশ্বের বুকে লড়াকু জাতি হিসেবে আরেকবার মাথা তুলে দাড়াক আমার প্রিয় স্বদেশ। মানুষে মানুষে আর ভেদাভেদ না থাকুক, সূচিত হোক সম্প্রীতির নতুন ধারা, অটুট থাকুক ভ্রাতৃত্বের বন্ধন। এবারের পহেলা বৈশাখে এই প্রত্যাশা শুধু আমার না, এই প্রত্যাশা সবার।

 

ঢাকা, ১৪ এপ্রিল (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমএফ

 

 

 

 

 

 

 

 


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

সম্পর্কিত খবর


আজকের সর্বশেষ