Azhar Mahmud Azhar Mahmud
teletalk.com.bd
thecitybank.com
livecampus24@gmail.com ঢাকা | শুক্রবার, ২৬শে এপ্রিল ২০২৪, ১৩ই বৈশাখ ১৪৩১
teletalk.com.bd
thecitybank.com
ভূস্বর্গ রাঙামাটি ভ্রমণ

যেখানে পাহাড়-নদী আর মেঘের অপূর্ব মিতালী!

প্রকাশিত: ২৯ জানুয়ারী ২০২৩, ২২:১৫

যেখানে পাহাড়-নদী আর মেঘের অপূর্ব মিতালী!

যেখানে চারিদিকে পাহাড়, নদী আর মেঘ মিশে এক অনন্য সুন্দরের জন্ম দিয়েছে তার নাম ভূস্বর্গ রাঙামাটি। এ যেন বাংলার বুকে এক টুকরো দার্জিলিং। আমাদের দেশেও এমন অনিন্দ্য সুন্দরের উপাখ্যান রয়েছে তা আমার আগে জানা ছিলো না। শীতের সকালে পাহাড়ের চূড়া পেরিয়ে সোনাঝরা মিষ্টি রোদ, চারিদিকে নীলাভ স্বচ্ছ পানির ঢেউ আর দূরে দাঁড়িয়ে প্রাগঐতিহাসিক কালের পাহাড় যেন হাঁতছানি দিয়ে ডাকছে। পাহাড়ি আঁকাবাঁকা রাস্তা এই সৌর্ন্দযকে দিয়েছে আলাদা মাত্রা। বাংলার ভূর্স্বগ খ্যাত রাঙ্গামাটি ভ্রমণের সেই গল্পই তুলে ধরেছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবির হোসেন।

 

নিবার সকাল সোয়া নয়টায় আমার আলতাফ স্যারের টর্ট আইনের মিডটার্ম পরীক্ষা। একই সাথে রাতে সাড়ে আটটায় ঢাকার ফকিরাপুল থেকে রাঙামাটিগামী বাস ধরতে হবে। মাথায় হাজারও চাপ নিয়ে রাতে পড়াশোনা করার ব্যর্থ চেষ্টা করি। পরদিন সকালে (শনিবার) খুবই ভোরে ঘুম ভাঙে। ঘন্টা দুই পড়াশোনাও করি যাতে মিডে অন্তত সাদা খাতা জমা দেওয়া না লাগে কিন্তু এতশত প্রস্তুুতি আমার কোনো কাজেই আসলো না। পরীক্ষা শেষে এমন খাতা জমা দিয়েছি যার ছবি তুলে মাসুদ (আমার বন্ধু) সিআর নোটিশ গ্রুপে দিলে আমি রীতিমতো ভাইরাল।

গতরাতেই টিকিট কাটা ছিলো কুষ্টিয়া থেকে ঢাকার। পরীক্ষা কোনোমতে শেষ করেই সাড়ে দশটার দিকে রুমে ফিরে তৈরি হয়ে বেরিয়ে পড়ি ঢাকার উদ্দেশ্যে। সাড়ে এগারো টায় বাস ছাড়ে। কিন্তু রাস্তায় এমন দেরি করতে শুরু করে যে আমি তো চিন্তায় পড়ে যাই সাড়ে আটটার গাড়ি ধরতে পারবো কিনা। অবশেষে বাস আমাকে ঢাকার টেকনিক্যাল মোড়ে নামিয়ে দেয় সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায়। এখান থেকে তীব্র যানযট ঠেলে মোটর সাইকেলে করে সাড়ে আটটার পাঁচ মিনিট পরে আমি পৌঁছায় ফকিরাপুল বাস কাউন্টারে। পথমিধ্যে বারংবার ফোন কল, সবাই চলে এসেছে শুধু আমি নেই। অবশেষে অপেক্ষার অবসান, দেখা হলো সফরসঙ্গীদের সাথে। আমিই এখানে উপস্থিত হওয়া সর্বশেষ ব্যক্তি। আমার আগে থেকেই এখানে ছিলেন আজহার ভাই (প্রধান সম্পাদক, ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম), উমর ফারুক ভাই (রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র প্রতিনিধি), জাকির ভাই (বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি), বন্ধুবর সিদ্দিকুর রহমান (বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর প্রতিনিধি) এবং ছোট ভাই নূরজামান আহমেদ হৃদয় (দনিয়া কলেজ, ঢাকা)।

এতো তাড়াহুড়ো করানো সাড়ে আটটার গাড়ি ছাড়লো রাত নয়টায়। গাড়িতে আমার পাশে বসলেন জাকির ভাই,শুরু হলো গল্প । পরে জানলাম দুজনেই এক এলাকার (খুলনা) মানুষ। আমি আবার একা থাকতে খুব কম পছন্দ করি। মানুষের সংস্পর্শে গল্পের আসর জমানো আমার পুরোনো অভ্যাস কিন্তু গাড়িতে কিছুক্ষণের মধ্যেই সবাই ঘুুমিয়ে পড়লাম। মাঝরাতে উঠে দেখি আমরা কুমিল্লার নুরজাহান হোটেলে, গাড়ি বিশ মিনিটের যাত্রা বিরতীতে। সেখানেই আমরা রাতের খাবার খেলাম। তারপর আবারো গাড়িতে উঠে হারিয়ে গেলাম ঘুমের রাজ্যে। ভোর রাতে জাকির ভাইয়ের ডাকে ঘুম ভাঙে, আমরা হোটেলে পৌঁছে গেছি। ভোর চারটার দিকে আমরা হোটেল সোনার বাংলায় প্রবেশ করি। সবাই সকাল নয়টা পর্যন্ত ঘুমাই।

ঘুম থেকে উঠে নাস্তা শেষে আমরা ঘুরতে বেরিয়ে পড়ি। প্রথমেই আমাদের গন্তব্য পলওয়েল ন্যাচার পার্ক এন্ড কটেজ। এই পার্কটি রাঙাামাটি জেলা পুলিশের তত্ত¡াবধানে ডিসি বাংলো রোডের পাশে কাপ্তাই লেকের ঠিক কোল ঘেঁষে গড়ে উঠেছে। নৈস্বর্গিক প্রাকৃতিক পরিবেশে সময় কাটানোর জন্যই যেন এটি গড়ে উঠেছে। এখানে রয়েছে সুইমিং পুল, পলওয়েল কটেজ, প্যাডেল বোট, কায়াক, ভুতুড়ে গুহা, কৃত্রিম ঝর্ণা, ক্রোকোডাইল ব্রিজ ও লেক ভিউ পয়েন্ট। এখানে রয়েছে বাঙালির জীবনের সাথে মিশে থাকা গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্যবাহী ঢেঁকিঘর। যা মনে করিয়ে দেয় গ্রামীণ নারীদের ঢেঁকিতে ধান ভানার দৃশ্য। ভাস্কর্যটি এতটাই সুনিপুনভাবে তৈরি যে প্রথমে দেখলেই মনে হবে এটি একটি বাস্তব দৃশ্য। কিডস জোনের সামনে উঁচু স্থানে রয়েছে অনেকগুলো বসার বেঞ্চ। যেখানে বসে পুরো কাপ্তাই লেকের জলের সৌন্দর্য উপভোগ করা যায়। সামনে যতদূর চোখ যাবে নীল জলের সাথে আকাশের মিতালী আর পাহাড়গুলো যেন খেই হারিয়ে ফেলেছে। পার্কের শেষ প্রান্তে রয়েছে সবচেয়ে আকর্ষণীয় ‘লাভ লক পয়েন্ট’। যেখানে ভ্রমণে আসা দর্শনাথীরা ভালোবাসার মানুষের জন্য স্মৃতি হিসেবে তালা ঝুলিয়ে রাখে। সবাই খুব উপভোগ করি, সবকিছু দেখা শেষ করে পরবর্তী স্থানে যাওয়ার জন্য বের হলাম।

আমাদের পরবর্তী গন্তব্য রাঙামাটি শহরের প্রধান আকর্ষন দৃষ্টিনন্দন ঝুলন্ত সেতু। এটি শহরের শেষ প্রান্তে কাপ্তাই লেকের উপর অবস্থিত। অটোতে যাত্রা শুরু করার আগে সবাই মিলে আনারসের স্বাদ গ্রহণ করি। তারপর আমরা বেরিয়ে পড়ি, ঠিক দুপুরের দিকে সেখানে পৌঁছায়। সাধারণত রাঙামাটি যাবনে কন্তিু ঝুলন্ত সতেুতে উঠবনেনা নটা হয়না বরং না দখোটাই হবে অতৃপ্ততা। এই ঝুলন্ত সেতুকে বলা হয় ‘সিম্বল অফ রাঙামাটি’। সেতুটি দুইটি পাহাড়ের মধ্যে বন্ধন গড়েছে। এখান থেকে কাপ্তাই লেকের আসাধারণ দৃশ্য অবলোকন করা যায়। পারাপারের সময় সেতুর হালকা কাঁপুনি হৃদয়ে দোলা দেয়, শরীরে সৃষ্টি হয় এক আদিম আনন্দ। ওপারেই রয়েছে আদিবাসী গ্রাম, যেখানে গিয়ে তাদের জীবনযাত্রা সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়। আমরা সবাই একসাথে চলে গেলাম ওপারে। পাহাড়ের মধ্য দিয়ে বন্ধুর পথ পাড়ি দিয়ে একটু সামনে গিয়ে দেখি দৃষ্টিসীমা ছাড়িয়ে নীল জলরাশি। আকাশের সাদা মেঘ নীলের সাথে গড়েছে বন্ধুত্ব। দূরের পাহাড় যেনো চোখে প্রশান্তি বয়ে আনে। কিছুক্ষণ অবাক দৃষ্টিতে অবলোকন করলাম এই অপরূপার সৌন্দর্য। তারপর নীল জলের স্পর্শ নিতে সবাই পাহাড় থেকে নিচে নেমে পড়ি। জন্মভূমির অপার সৌন্দর্যের সাক্ষী হতে সবাই একসাথে মেতে উঠি সেলফিতে, যা আমাদের স্মৃতি হিসেবে থেকে যাবে অনন্তকাল।

এরপর আমরা দুপুরের খাওয়ার জন্য রাঙামাটির বিখ্যাত একটি হোটেলে যায়। রাঙামাটি শহর ঘুরে দেখার জন্য আমাদের সবচেয়ে বেশি সাহায্য করেছিল রাঙামাটি পাবলিক কলেজের শিক্ষক আবু কাউছার রিপন ভাই। তিনিই তার মূল্যবান সময় দিয়ে আমাদের সাথে থেকে ঘুরে দেখিয়েছেন সবকিছু। খাওয়া শেষে সন্ধ্যা নামার আগেই আমরা ঘোরাঘুরি শেষ করে হোটেলের পথ ধরি। সারাদিনের পরিশ্রান্ত দেহ যেনো আর চলে না। অটো আমাদের হোটেলের সামনেই নামিয়ে দেয়। রুমে ফিরে সন্ধ্যায় ঘন্টা দুই আমরা বিশ্রাম নিয়ে আবারো বেরিয়ে পড়ি রাতের খাবারের জন্য। রাতের খাওয়া শেষ করে আমরা সবাই মিলে হাঁটতে বের হই। তখন কাউছার ভাই আমাদেরকে রাঙামাটি শহর সম্পর্কে ধারণা দিতে থাকেন। কোন কোন জায়গায় কাল সকালে যাওয়া যায়, কোন কোন স্পট দেখা আমাদের জন্য সহজ হবে এসব আলোচনা করা হয়।

পরদিন সকালে আমরা আটটায় বেরিয়ে পড়ি কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্র কাপ্তায়ের উদ্দেশ্যে। গত রাতেই ঠিক করা অটো আমাদেরকে হোটেলের সামনে থেকে নিয়ে যায়। চলতি পথে রাঙামাটি পাবলিক কলেজের সামনে থেকে কাউছার ভাই আমাদের সাথে যোগ দেয়। মূলত আমাদেরকে তিনিই দিক-নির্দেশনা দিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। কারণ, এই এলাকায় তিনি পুরোনো মানুষ। ২৮ কিলোমিটার পাহাড়ি রাস্তায় আমরা চলতে শুরু করি। কাউছার ভাই আর জাকির ভাই মোটর সাইকেলে, আমরা বাকি ছয়জন অটোতে। রাস্তা থেকে উপভোগ করলাম ‘আসাম বস্তি’র অসাধারণ সৌন্দর্য। একটু সামনে গিয়ে দেখি পাহাড়ি রাস্তার মাঝে রঙিন এক ব্রিজ। হঠাৎ সবাই চিৎকার দিয়ে ওঠে, ‘গাড়ি থামান এখানে ছবি তুলবো’। ব্রিজ থেকে দূরে একপাশে বড় বড় পাহাড় আর অন্যপাশে নীল জলরাশি। মনে হচ্ছিল যেন, এখানে বসেই কাটিয়ে দিই শতবর্ষ। সকালের কুয়াশার কারণে দূরের কিছু পরিষ্কার দেখা যাচ্ছে না, ধোঁয়ায় মিলিয়ে যাচ্ছে সব। ছবি তোলা শেষে অবারো যাত্রা। কিছুদূর পরপরই এমন ছোট ছোট রঙিন ব্রিজ দেখা যাচ্ছে, কিন্তু সময় স্বল্পতার কারনে আমরা সবগুলোতে থামতে পারিনি।

দুপুরের আগেই আমরা পৌঁছে যায় কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রে। সেখানে ঢুকতে আবার অনুমতি লাগবে। এমন অনকে জায়গায়ই ঢুকতে আমাদের অনুমতি নেওয়ার প্রয়োজন হয়েছে। কিন্তু সকল অনুমতির দায়িত্ব আজহার ভাইয়ের, কিভাবে যেনো সবকিছু ম্যানেজ করে ফেলার এক আসাধারণ দক্ষতা আছে তার। অনুমতির পর সবাই একসাথে কাপ্তাই বাঁধের উপর গেলাম। কিন্তু সেখানে গিয়ে আমরা হতাশ, লেখা ‘এখানে ছবি তোলা নিষেধ’। তারপরেও আমরা ভয়ে ভয়ে ক্যামেরা বের করে সবার ছবি তুললাম। ততক্ষণে আবারো আজহার ভাই আর সিদ্দিক লাল পতাকা (অতিক্রম করা নিষেধ) পার হয়ে বিজিবি ক্যাম্প থেকে ঘুরে এসেছেন। ঘোরাঘুরি শেষে সেখান থেকে আমরা দ্রুত বেরিয়ে জুম রেস্তোরার পথ ধরি। জায়গাটা অসাধারণ ছিল। স্বচ্ছ জল, উঁচু পাহাড় আর সাদা মেঘ অনন্য মাত্রা যোগ করেছে এই সৌন্দর্যের আঁধারে। এখান থেকেই নৌকা করে লেকে ঘোরা যাবে, কিন্তু তার জন্যেও অনুমতির প্রয়োজন। অনুমতির জন্য আজহার ভাইয়ের বিজিবির এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সাথে কথা চলছে। ততক্ষণে আমরা দুপুরের খাওয়ার জন্য কাপ্তাইয়ের বিখ্যাত হোটেল ‘মাষ্টার বাড়ি’র দিকে রওয়ানা হই।

দুপুরের খাওয়া শেষে আমাদের গন্তব্য রাঙামাটি নেভি ক্যাম্প পিকনিক স্পটে। সেখানে গিয়ে আমরা একটি উঁচু পাহাড় দেখে সবাই উঠার জন্য প্রস্তুতি নিই। তারপর অনেকগুলো সিঁড়ি পেরিয়ে নিচে নেমে পানির উপর ভাসমান সেতু পার হয়ে ওপারে যায়। সেখানে আবার শতসিঁড়ি অতিক্রম করে উপরে উঠি। পাহাড়ের চূঁড়া থেকে চারিপাশে অনেক দূর পর্যন্ত জলমেঘের মিলনমেলা উপভোগ করলাম। হঠাৎ আজহার ভাইয়ের কাছে বিজিবির সেই কর্মকর্তার ফোন আসে। আমাদের নৌকা করে লেকে ঘোরার অনুমতি হয়েছে। এ খবর শুনে আমরা লাফিয়ে উঠি। সময় নষ্ট না করে আমরা আবারো জুম রেস্তোরার পথ ধরি। সেখানে সন্ধ্যার একটু আগে আমরা পৌঁছায়। দ্রুত সবাই নৌকায় উঠে পড়ি, যেনো নৌকায় লেকে ঘুরতে পারলেই আমাদের ভ্রমণের পরিপূর্ণতা পাবে। লেকের নীলাভ স্বচ্ছ জলের বুকে চীর ধরিয়ে এগিয়ে চলে আমাদের যন্ত্রচালিত নৌকা। আমরা উপভোগ করি স্রষ্টার নিপুণ হাতের এক অপরূপ সৃষ্টি।

লেকের অপার্থিব সৌন্দর্য

সন্ধ্যা নেমে গেছে, আমাদের ফিরতে হবে। প্রায় ৩০ কিলোমিটার পাহাড়ি ভয়ঙ্কর সুন্দর রাস্তা অতিক্রম করে আমাদের ফিরতে হবে হোটেলে। অটোতে মাঝ রাস্তায় একবার চা পানের বিরতি দিয়ে ফিরে আসলাম হোটেলে। রাতে সবাই একসাথে খাওয়া শেষে হাঁটতে রের হলাম রাঙামাটি শহরে। পরদিন সকাল সাড়ে আটটায় ঢাকায় ফেরার টিকিট কাটা হলো। কাউছার ভাই আমাদের থেকে বিদায় নিলেন। রাতে সবাই একসাথে বসে আড্ডা দিলাম, লুডু খেলা সাথে নাচ। আমরা ট্যুরে যাওয়ার আগে কেউ কারো সাথে পরিচিত ছিলাম না, কিন্তু এই তিনদিনে তা কেউ বুঝতেই পারিনি। আমাদের দেখে মনে হচ্ছে যেন শত বছরের চেনাজানা সবার।

ট্যুর শেষে আমরা ফিরেছি সবার নিজ গন্তব্যে কিন্তু আমাদের মাঝে জন্মেছে এক দারুণ ভ্রাতৃত্ব। আজাহার ভাইয়ের মতো একজন অমায়িক মানুয়ের সাথে আমাদের পরিচয় স্মৃতিপটে রয়ে যাবে যুগ- যুগ। জীবনে কখনো আমাদের না দেখেও কতোটা আপন ভেবে আমাদের সাথে থেকেছে কাউছার ভাই। ফারুক ভাই ছিলো সকল পরিস্থিতি সামলানোর দক্ষতা সম্পন্ন এক মানুষ। জাকির ভাই আসর জমানোর ওস্তাদ। বন্ধুবর সিদ্দিকের রয়েছে ছোট-বড় সব বয়সের মানুয়ের সাথে মিশে যাওয়ার এক অপূর্ব শক্তি। আর আমরা সবাই ছিলাম ছোটভাই হৃদয়ের হৃদয়ে। আমাদের এই আত্মিক বন্ধন রয়ে যাবে আজীবন।

 

ঢাকা, ২৯ জানুয়ারি (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম // এএইচ //এমএফ

    

 


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

সম্পর্কিত খবর


আজকের সর্বশেষ