Azhar Mahmud Azhar Mahmud
teletalk.com.bd
thecitybank.com
livecampus24@gmail.com ঢাকা | শুক্রবার, ২৬শে এপ্রিল ২০২৪, ১২ই বৈশাখ ১৪৩১
teletalk.com.bd
thecitybank.com

শরৎ ও কাশফুলের রাজত্ব

প্রকাশিত: ৪ অক্টোবার ২০২২, ০১:৫৭

কাশফুলের রাজত্ব

মো. কাওছার আলী: বাংলাদেশ ষড়ঋতুর দেশ। ঋতুর পালাবদলে শুরু হয়েছে শরৎকাল। কদমের বর্ষা শেষ হতে না হতেই শুরু হয় কাশফুলের মেলা। বর্ষার পরেই আসে শরতের কাশবনের সৌন্দর্য। বর্ষার ব্যাস্তোতার মাঝে যেন লুকিয়ে আসে শরৎ। মানুষ কতই না মুগ্ধ হয় নীল আকাশের মাঝে কখনো কালো মেঘে আবার কখনো সাদা মেঘের আবরণে লুকিয়ে হাসা সোনালি সূর্য আর তারই সঙ্গে বাতাসে কাশফুলেদের একসাথে মাথা দোলানো দেখে । বাতাস এলে ফুলগুলো একসাথে দোল খায়। সে দৃশ্য কতই না মনোরম!

নদীর ধার, জলাভূমি, চরাঞ্চল, শুকনো এলাকা, পাহাড় কিংবা গ্রামের কোনো উঁচু জায়গায় কাশের ঝাড় বেড়ে ওঠে। নদীর তীরে পলিমাটির আস্তর থাকে। এই মাটিতে কাশের মূল সহজে সম্প্রসারিত হতে পারে। তাই নদীর তীরেই কাশফুল বেশি দেখা যায়। কোথাও কোথাও কাশফুল ফুটে বাগানের সৃষ্টি করে।

কাশফুলের নামটি যেমন দারুণ তেমনি লিকলিকে শরীরের গাছটি দেখতেও খুব সুন্দর। মানুষ মনে করে শরৎকাল মানেই কাশফুলের দিন। কাশফুল শরৎকালের অন্যতম রূপ-সৌন্দর্য বর্ধনকারী একটি ফুল। কাশফুলের ঘ্রাণ নেই বটে কিন্তু আছে তার অপরূপ সৌন্দর্য। শরতের আকাশ থাকে সাদা মেঘে ভরা আর নদীর দু’ধার কাশফুলেতে ভরা। কাশ ফুল ছিড়ে বাতাসে ছেড়ে দিলে পেঁজা তুলোগুলো উড়ে উড়ে যেন মেঘের তুলোর সাথে মিশে যাবে।

কাশফুল নিয়ে কতই না লেখালেখি করছে লেখকরা। ছড়া লিখছে, কবিতা লিখছে, লিখছে ছোটগল্প, তাকে নিয়ে প্রচ্ছদ রচনাও লিখছে অল্প। শরতের দিনে লেখকদের লেখার মূল বিষয়ই যেন হয়ে ওঠে কাশফুল। শরৎ এর সৌন্দর্য দেখে কবি কাজী নজরুল ইসলাম তার কবিতায় লিখেছেন , ‘কাশফুল মনে সাদা শিহরণ জাগায়, মন বলে কত সুন্দর প্রকৃতি, স্রষ্টার কি অপার সৃষ্টি।’ জীবনানন্দ দাশ শরৎ বন্দনায় লিখেছেন, ‘বাংলার মুখ আমি দেখিয়াছি, তাই পৃথিবীর রূপ খুঁজিতে যাই না আর।’ কবি জসীম উদ্দীন ‘বিরহী নারী’ মননে কবিতায় লিখেছেন-‘গণিতে গণিতে শ্রাবণ কাটিল, আসিল ভাদ্র মাস, বিরহী নারীর নয়নের জলে ভিজিল বুকের বাস।’ এমন শত শত উক্তি রয়েছে কাশফুল নিয়ে।

শরৎ কালে প্রকৃতি প্রেমী মানুষরা ছুটে বেড়ায় কাশবাগানে। কাশফুলে সৌন্দর্য উপভোগ করার মাঝে তোলে অজস্র ছবি। শুধু প্রকৃতি প্রেমী নয় এ সময়ে সবাই কম বেশি কাশবেন ঘুরাঘুরি করে। কাশবাগান তখন লোকে লোকারণ্য থাকে। অনেকেই কাশবনে আসে পায়ে হেটেই , কেউবা সাইকেল বা মোটরসাইকেল, আরো আসে প্রাইভেট কার বা মাইক্রোবাসে করে। কেউবা সপরিবারে ঘুরতে আসেন আবার কেউ প্রিয়জনের সঙ্গে এসেছেন সোনালি শরতের মিষ্টি গন্ধের স্বাদ নিতে। ছোট ছেলেমেয়েরা কাশফুল নিয়ে খেলা করে। কাশফুল মানেই শরতের দিন আর শরতের দিন মানেই কাশফুল।


লেখক: মো. কাওছার আলী
শিক্ষার্থী
ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি।

ঢাকা, ০৩ অক্টোবর (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমজেড


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

সম্পর্কিত খবর


আজকের সর্বশেষ