Azhar Mahmud Azhar Mahmud
teletalk.com.bd
thecitybank.com
livecampus24@gmail.com ঢাকা | শুক্রবার, ২৬শে এপ্রিল ২০২৪, ১৩ই বৈশাখ ১৪৩১
teletalk.com.bd
thecitybank.com

বঙ্গবন্ধু ছিলেন মানবপ্রেমী, সৎ ও অসহায়ের বন্ধু

প্রকাশিত: ১৮ মার্চ ২০২২, ০৭:০০

ফাইল ছবি

হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এই অগ্রসর জাতিকে একটি স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্র দিয়ে গেছেন। ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ টুঙ্গিপাড়ার এক অজপাড়াগাঁয়ে সম্ভ্রান্ত বাপ-দাদার টিনের ঘরে জন্ম নেয়া ‘রাখাল বালক’ অকুতোভয় শেখ মুজিব অনেক চড়াই-উতরাই পার হয়ে, জীবনের মূল্যবান সময় জেলহাজতে থেকে, পরিবার-পরিজনের মায়া-মমতা থেকে বিচ্ছিন্ন জীবন কাটিয়ে শত দুঃখ-দুর্দশার মধ্যেও পাকিস্তানি শাসক-শোষকদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে বাঙালিদের জন্য ‘বাংলাদেশ’ নামে একটি দেশ এনে দিয়েছেন। ২৫ মার্চ থেকে শুরু করে ১৬ ডিসেম্বরের মধ্যে ৩০ লাখ প্রাণের বিনিময়ে অর্জিত হল বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের স্বাধীনতা।

শেখ মুজিব হয়ে উঠলেন স্বাধীন বাংলাদেশের পিতা। মহান এ পুরুষকে যথাযথ সম্মান প্রদর্শন, তাঁর আদর্শকে হৃদয়ে ধারণ করা, প্রজন্মের পর প্রজন্মের কাছে তার নীতি-আদর্শ সঠিকভাবে পৌঁছে দেয়া বর্তমান প্রজন্মের একটি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব। বঙ্গবন্ধুর ১০২ তম জন্মদিন উপলক্ষে মহান নেতা শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত কয়েকজন তরুণ মেধাবী শিক্ষার্থীদের ভাবনা ও মতামত তুলে ধরেছেন ক্যাম্পাসলাইভ২৪ডটকম-এর ক্যাম্পাস প্রতিনিধি মেহেরাবুল ইসলাম সৌদিপ

তারুণ্যের আদর্শের প্রতীক বঙ্গবন্ধু

বাংলাদেশের স্থপতি, বাঙালি জাতির মুক্তির অগ্রনায়ক, রাজনীতির কবি, অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি ছোট বেলা থেকেই ছিলেন মানবপ্রেমী, সৎ ও অসহায়ের বন্ধু। যেখানে অন্যায় সেখানেই প্রতিবাদ। দেশের মানুষের ওপর কোন অন্যায় হলেই তিনি তার জায়গা থেকে প্রতিবাদী হয়ে ওঠতেন। যা তারুণ্যের জন্য অনুপ্রেরণা ও আদর্শ বটে। দেশপ্রেমের অনন্য এক দৃষ্টান্তের নাম বঙ্গবন্ধু, তার আদর্শ অনুসরণ করলে এক প্রকৃত দেশপ্রেমিক হওয়া যাবে। বাংলাদেশের সূচনা হয়েছিল যে ব্যক্তির হাত ধরে তিনি এদেশের প্রতিটি স্তরে অবদান রেখে গেছেন। সামাজিক, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক, শিক্ষা, এমন কি শিশুদের প্রতি ছিল তার নিদারুণ ভালোবাসা।

মো. রবিন আহমেদ

 

যে কারণে বাংলাদেশের সর্বস্তরের বঙ্গবন্ধুর অস্তিত্ব বিদ্যমান। তার জীবন থেকে তরুণদের অনেক কিছু শেখার রয়েছে। মানুষকে সাহায্য করা, দেশের জন্য ভালোবাসা অসহায়-আর্তনাত পীড়িত মানুষের পাশে দাঁড়ানো সহ সকল কিছুর অনন্য দৃষ্টান্ত বঙ্গবন্ধুর শেখ মুজিবুর রহমান। যে ব্যক্তির জীবনে এত বেশি আদর্শে লালিত, তিনি অবশ্যই তরুণদের জন্য শুধু একজন ব্যক্তি নন একটি আদর্শ ও বটে। মুজিব কোন নাম নয় মুজিব শিশুদের আদর্শের প্রতীক।

মো. রবিন আহমেদ, শিক্ষার্থী, সমাজকর্ম বিভাগ।

বঙ্গবন্ধু মানেই ইতিহাস

বাঙালীর মুক্তির কান্ডারী হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৭ মার্চ ১৯২০ সালে টুঙ্গিপাড়ায় এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম শেখ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। শেখ লুৎফর রহমান এবং সায়েরা খাতুন দম্পতির ঘর আলোকিত করে জন্ম নেওয়া শিশুটিই পরর্বতীতে বাঙালির মুক্তির ত্রাতা হিসাবে ভূমিকা রাখেন। বঙ্গবন্ধু তাঁর সমগ্র জীবনে দেশ এবং দেশের মানুষের কথা ভেবেছেন এবং জনসেবায় কাজ করে গেছেন। শুধু কয়েকটা শব্দ দিয়ে কৃতজ্ঞতা বোঝানো আমার পক্ষে সম্ভব না।

মো. রানা হোসেন সাগর

 

বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে লালন করে আমিও যেনো ওনার মতো আত্মত্যাগী, ধৈর্যশীল, অকুতোভয় এবং মানব সেবায় নিজেকে নিবেদিত করতে পারি। বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। দেশপ্রেম আর চিত্তে থাকে সাহস তাহলে দেশের জন্যে ঝাপিয়ে পড়া যায় এই মহান শিক্ষা বঙ্গবন্ধু আমাদের দিয়ে গেছেন। এ শিক্ষাকে ধারণ করেই তারুণ্যের চেতনায় ও অনুপ্রেরণায় বঙ্গবন্ধু যুগে যুগে আদর্শ, ন্যায়পরায়ণতা, সাহসিকতা ও দেশপ্রেমের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়েই থাকবে।

মো. রানা হোসেন সাগর, শিক্ষার্থী, আইন বিভাগ।

বঙ্গবন্ধু হোক আদর্শ

হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, যিনি শ্মশান বাংলা থেকে সোনার বাংলার রুপকার, স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০২ তম জন্মবার্ষিকী। যা বাঙালি জাতীর অত্যান্ত আনন্দের ও গর্বের একটি দিন। এই দিনে পালিত হয় জাতীয় শিশু দিবস।শিশুদের প্রতি বঙ্গবন্ধুর ছিল অত্যান্ত স্নেহ শুলভ আচরণ ও প্রগাঢ় ভালোবাসা। স্নেহ ও মায়া মমতার পরশে প্রায়শই তিনি খুনশুটিতে মেতে উঠতেন শিশুদের সাথে। বঙ্গবন্ধুর চারিত্রিক গুণাবলি মুগ্ধ করে শিশু থেকে বয়োবৃদ্ধ প্রতিটি স্তরের মানুষকে। এমনকি প্রধানমন্ত্রীত্ত্বের চরম ক্ষমতার লোভও আর আদর্শ ও নৈতিকতাকে বিন্দুমাত্র টলাতে পারেনি।

তৌছিফুর রহমান মনির

 

বঙ্গবন্ধুর এমন আদর্শিক ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বের উপর বিশ্বাস ও আস্থা রেখেই ৭ কোটি জনতা এক তর্জনীর ইশারাতে অনুপ্রাণিত হয়ে ছিনিয়ে আনে বাংলার স্বাধীনতা বাঙালির স্বাধীনতা। শেখ মুজিবুর রহমান মনে প্রাণে বিশ্বাস করতেন বাংলাদেশের প্রতিটি শিশু বেড়ে উঠবে বাধাহীনভাবে, মুক্ত বিহঙ্গের মতো উড়ে বেড়াবে জ্ঞানের প্রতিটি শাখায়। নতুন প্রজন্মের প্রতিটি শিশুই যেন বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও নৈতিকতা বুকে ধারণ করে বেড়ে উঠেতে পারে এমন চিন্তা ধারা থেকেই জাতির পিতার জন্মদিনকে উৎসর্গ করা হয়েছে জাতীয় শিশু দিবস হিসেবে। বঙ্গবন্ধুর আদর্শই হউক নতুন প্রজন্মের, নতুন পথ চলার অনুপ্রেরণা।

তৌছিফুর রহমান মনির, শিক্ষার্থী, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ।

তারুণ্যের অনুপ্রেরণা বঙ্গবন্ধু

শিশুকাল থেকে দেশের জন্য ভাবতেন বঙ্গবন্ধু। ব্যক্তিজীবনে ছিলেন লোভ-লালসার ঊর্ধ্বে। শিশু মুজিব ছোট থেকে দরিদ্র অসহায় ছাত্রদের শিক্ষা গ্রহণের জন্য সংগ্রাম করেছেন। মানুষের কল্যাণে যে এগিয়ে আসতে হয় সে শিক্ষার উদাহরণ হচ্ছে বঙ্গবন্ধু। তার জন্মদিনে স্বপ্ন দেখি একদিন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রত্যাশিত স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়বে তরুণরা। বঙ্গবন্ধু চেয়েছেন বাংলার মানুষ একতাবদ্ধ থাকবে। তরুণরাই তো দেশের মূল চালিকাশক্তি। বঙ্গবন্ধু নিজেও বিশ্বাস করতেন তরুণরাই দেশের মূল চালক। তরুণ যুগের আদর্শকে বুকে ধারণ করে বিশ্বমানব প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

সাকিবুল ইসলাম

 

জীবনে যত বাধাই আসুক না কেন ভেঙে পড়া যাবে না প্রেরণা নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে এমন শিক্ষায় বঙ্গবন্ধু আমাদের দিয়েছেন। তরুণদের তিনি অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে অত্যাচারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে অনুপ্রেরণা যোগাতেন। জাতির পিতা তরুণদের অনুপ্রাণিত করে দুর্নীতিমুক্ত মানুষ হিসেবে নিজেদের গড়তে। হিংসা বিদ্বেষ ভুলে এক অসাম্প্রদায়িক সোনার বাংলাদেশ গড়তে হবে তরুণদের। তরুণরা জেগে উঠলে এ দেশ সোনার বাংলাদেশে পরিণত হবেই।

সাকিবুল ইসলাম, শিক্ষার্থী, সমাজকর্ম বিভাগ।

তারুণ্যের অহংকার বঙ্গবন্ধু

প্রত্যেক জাতির প্রাণ শক্তি হলো জাতির তরুণ প্রজন্ম। কোনো জাতি বা দেশ কোন দিকে এগিয়ে যাবে তা নির্ভর করে সেই জাতির তরুণ প্রজন্ম কোন পথে ধাবমান। তরুণ প্রজন্ম সব সময় জাতির মহান ব্যক্তিদের দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়। বাঙালি জাতি বা বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মের অনুপ্রেরণার কেন্দ্র বিন্দু, ভাবনার বাতিঘর, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ সন্তান, জাতির মহানায়ক শেখ মুজিবুর রহমান। ছাত্র নেতা হতে দেশের স্বপ্নদ্রষ্টা, ছেষট্টির বুদ্ধিদীপ্ত ছয়দফা হতে একাত্তরের শরীর শিহরণ জাগানো জ্বালাময়ী ৭মার্চের ভাষণ এমন হাজারো অনুপ্রেরণার একটিই নাম - শেখ মুজিব।

মোঃ মামুন হোসেন

 

তারুণ্যের শিক্ষার বটবৃক্ষ হিসেবে শেখ সাহেবের পুরো জীবন একটা বাস্তব প্রতিচ্ছবি। আদর্শ দেশপ্রেমিক হতে হলে যেসব গুণাবলি অত্যাবশ্যক তার সবগুলো গুণাবলির সমাবেশ তাঁর মধ্যে সন্নিবেশিত। বাংলার স্থলসীমা থেকে আকাশসীমা পুরোটা জুড়ে বঙ্গবন্ধুর অস্তিত্ব। বাঙালি এবং বাংলার জন্য জীবনের শেষ মুহূর্তে পর্যন্ত ছিলেন আপোষহীন। এমন ত্যাগ আর কারোর দ্বারাই সম্ভব নয়। এ এজন্য বাঙালির হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ সন্তানের পদবি'টা তাঁর ঝুড়িতেই শোভা পায়। ১৭মার্চ, ২০২২ বঙ্গবন্ধুর একশত দুই তম জন্মদিনে, জাতির মেরুদণ্ড তরুণ প্রজন্ম তারুণ্যের শক্তিকে কাজে লাগিয়ে দুর্নীতি মুক্ত মুজিবের সোনার বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে এগিয়ে যাক।

মোঃ মামুন হোসেন, শিক্ষার্থী, দর্শন বিভাগ।

বঙ্গবন্ধু মানেই বাংলাদেশ

বঙ্গবন্ধু মানেই বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধু মানে এক অভিন্ন সত্বা। বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনে দেশের সমস্ত মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করতে যিনি অন্যতম ভূমিকা পালন করেছিলেন তিনি আর কেউ নন, বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বর্তমান দক্ষিণ এশিয়ার বুকে যে স্বাধীন বাংলাদেশ রাষ্ট্র আজ মানচিত্রে জ্বলজ্বল করে, সেই রাষ্ট্রটির গঠনে সব থেকে বড় অবদান রেখেছেন তিনি শেখ মুজিবুর রহমান। বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ এক মহান ব্যক্তি ও নেতা।

আবদুল্লাহ মোমিন খান

 

তিনি বাঙালিদের দেখিয়েছেন কি ভাবে বুক উচু করে বেঁচে থাকতে হয়। বঙ্গবন্ধুর সংগ্রামী জীবন থেকে তরুণ প্রজন্ম অসীম সাহসিকতায় পথ পাড়ি দিতে, অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে, মানবতার সেবা করতে, মাথা নত না করে ন্যায়ের পথে চলতে আর আত্মবিশ্বাসী ও আত্মপ্রত্যয়ী হতে শিখে। বঙ্গবন্ধু স্বাধীন দেশে স্বাধীন ভাবে বেঁচে থাকার সাহস শিখিয়েছেন। যখন মনে পরে ৫২ স্মৃতি তখন সরণ হয় বঙ্গবন্ধু কথা যখন মনে পরে ৭১ স্মৃতি তখন সরণ হয় বঙ্গবন্ধু কথা। বঙ্গবন্ধু আমার অহংকার, আমার ভালোবাসা।

আবদুল্লাহ মোমিন খান, শিক্ষার্থী, মার্কেটিং বিভাগ।

বাঙালির রন্ধ্রে-গন্ধে থাকুক বঙ্গবন্ধুর অস্তিস্ত

১৯২০ সালের ১৭ মার্চ টুঙ্গিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন শেখ পরিবারের আদরের ‘খোকা’। যিনি ধীরে ধীরে হয়ে উঠেছিলেন বাঙালির ‘মুজিব ভাই’ এবং ‘বঙ্গবন্ধু’। তাঁর হাত ধরেই আসে বাঙালির স্বাধীনতা, জন্ম নেয় বাংলাদেশ। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আজীবন লড়েছেন বাংলার স্বাধীনতা ও বাঙালির জাতির অধিকার প্রতিষ্ঠা করার জন্য। স্কুলজীবন থেকেই বঙ্গবন্ধুর মধ্যে নেতৃত্বের গুণাবলির বিকাশ ঘটে। নিজেই নিজেকে রাজনৈতিকভাবে এবং গণমানুষের অধিকার আদায়ের প্রস্তুতের আদর্শে গড়ে তোলেন।

আঁখি আক্তার বন্যা

 

স্পষ্ট ভাষায় মানুষের অধিকারের কথা বলতে তিনি দ্বিধা বোধ করেন নি। যে কারনে বাংলার মানুষের কাছে তিনি অতি প্রিয় একজন মানুষ। বঙ্গবন্ধুর জীবন-দর্শন, নীতি, আদর্শ, কর্ম ও নেতৃত্বের বহুমাত্রিক গুণাবলির মধ্যে নিহিত রয়েছে আদর্শ মানুষ ও সুনাগরিক হওয়ার সব উপাদান। যা দেখে আমরা ভালো কিছু করার জন্য অনুপ্রাণিত হই। ছাত্রাবস্থায়ই তার মধ্যে মানবিক গুণ ও মানুষের প্রতি ভালোবাসার প্রকাশ দেখা যায়। ’৫৫ বছর বয়সে কিছু বিপথগামী সেনা কেড়ে নেন তাঁর প্রাণ। কিন্তু দেশের প্রতিটি কোনায় আজ ও উচ্চারিত হচ্ছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম।

আঁখি আক্তার বন্যা, শিক্ষার্থী, ইতিহাস বিভাগ।

হাজারো মুজিবের জন্ম হোক

বাঙালি জাতির আনন্দে পুলকিত হওয়ার দিন আজ। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালির জন্মদিনে সকলে বিনম্র শ্রদ্ধা, সালাম আর হৃদয় নিংড়ানো ভালোবাসা জানাতে উদগ্রীব। স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি, বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত এই নেতা শেখ মুজিবুর রহমান, তিনি আমাদের দিয়েছেন স্বাধীনতা, দিয়েছেন একটা জাতীয় পতাকা আর একটা মানচিত্র। তিনি বাংলার এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্ত ছুটে বেড়িয়ে বাঙালির কাছে পৌঁছে দেন পরাধীনতার শিকল ভাঙার মন্ত্র। সে মন্ত্রে বলীয়ান হয়ে স্বাধীন দেশে পরিণত হওয়ার পাশাপাশি বাংলাদেশ আজ বিশ্বে রোল মডেল।

নাজমুন নাহার সুপ্তি

 

শৈশব থেকে তৎকালীন সমাজজীবনে তিনি জমিদার, তালুকদার ও মহাজনদের অত্যাচার, শোষণ ও প্রজা পীড়ন দেখে চরমভাবে ব্যথিত হতেন। গ্রামের হিন্দু, মুসলমানদের সম্মিলিত সম্প্রীতির সামাজিক আবহে তিনি দীক্ষা পান অসাম্প্রদায়িক চেতনার। বাংলা ও বাঙালি যত দিন থাকবে, এ পৃথিবী যত দিন থাকবে, পৃথিবীর ইতিহাস যত দিন থাকবে, শ্রদ্ধা, কৃতজ্ঞতা ও ভালোবাসায় এ মহাপুরুষকে চিরকাল স্মরণ করবে। আজকের ১০২ তম জন্মদিনে এমন মহান মানুষের পুনর্জন্ম হোক, তাঁর স্বপ্নের বাংলাদেশকে দেখতে চাই।

নাজমুন নাহার সুপ্তি, শিক্ষার্থী, আইন বিভাগ।

ঢাকা, ১৭ মার্চ (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমজেড


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

সম্পর্কিত খবর


আজকের সর্বশেষ