জন্ম থেকেই নানা শাসন, বারনের মধ্য দিয়ে আমাদের বেড়ে উঠতে হয়। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শাসনের ধরনও চেইঞ্জ হয়। স্কুল, কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় লাইফ সব জায়গাতেই রয়েছে প্যারা আর প্যারা। এভাবে কখন যে আপনি জীবনের শেষ সময়ে পৌঁছে যাবেন টেরই পাবেন না। তাই যেটুকু সময় আছে কাজে লাগান :
১) স্কুল : ভালো রেজাল্ট করতে না পারলে ভালো কলেজে চান্স পাবে না! সুতরাং পড় শুধু পড়, মন দিয়ে পড়!
.
২) কলেজ : ইন্টারে ভালো রেজাল্ট না হলে জীবন শেষ! জীবনের স্বপ্ন স্বপ্নই থাকবে তা আর বাস্তবায়ন হবে না! দুই বছর কিভাবে চলে যাবে বুঝতেই পারবে না! সুতরাং এদিক ওদিক না তাকিয়ে পড়!
.
৩) এডমিশন টেস্টের সময় : ভার্সিটিতে চান্স পাওয়ার পর যা ইচ্ছে করিও কিচ্ছু বলবো না! আগে ভালো জায়গায়
ভর্তি হও, না হলে জীবনে সফলতার মুখ আর দেখা লাগবে না! সুতরাং ফেসবুক মোবাইল থেকে দূরে থাকো শুধু পড়ো, কোপাইয়া পড়!
.
৪) ভার্সিটি লাইফে : শুধু আড্ডায় আড্ডায় কি জীবন চলবে? পড়াশোনা কি বাদ দিয়ে দিছো? ইদানীং নাকি একটা মেয়ের (মেয়ের ক্ষেত্রে ছেলে) সাথে বেশ ঘুরাঘুরি করতে দেখা যায়? চাকরির বাজার খুব খারাপ, ভালো রেজাল্ট না হলে পিয়নের চাকরিও পাবে না! সুতরাং
কোন কথা নাই শুধু পড়।
.
৫) ভার্সিটি থেকে বের হবার পর : কিরে তোর ফ্রেন্ডরা সবাই ভালো ভালো জায়গায় চাকরি পাচ্ছে, তোর অবস্থা কি? বাপের ঘাড়ে আর কতদিন থাকবি? এবার তো কিছু কর, এভাবে আর কত দিন?
.
৬) প্রেমিকা : অনেক অপেক্ষা করছি আর সম্ভব না! চাকরি বাকরি কিছু একটা করো! বাসা থেকে প্রেসার দিচ্ছে বিয়ের জন্য! খুব দ্রুত কিছু একটা করো, না হলে বাসা থেকে যেখানে বিয়ের কথা হচ্ছে সেখানেই রাজি হয়ে যাবো!!
.
৭) চাকরি পাওয়ার পর : (বউ) তোমার কলিগদের প্রমোশন হয় তোমার হয় না কেন? এই টাকায় জীবন চলবে? পাশের বাসার ভাবী পনের বিশ হাজার টাকা দামের শাড়ি পরে আর আমি? বিয়ের পর থেকে এখনো পর্যন্ত আমাকে ভালো কিছু কিনে দিয়েছো? ঘ্যান
ঘ্যান, প্যান প্যান...
.
৮) চাকরি শেষে অবসরে : সারাজীবন চাকরি করে কি করলে? বাড়ি, গাড়ি নাকি ভালো ব্যাংক ব্যালেন্স? কিছুই করতে পারলে না! শুধু বড় বড় নীতি কথা শুনাতে পারো! তোমার সাথে যারা জব করতো তাদের কি বিশাল
অবস্থা দেখো!...
.
৯) মারা যাওয়ার পর : পরকালের চিন্তা বাদ দিয়ে শুধু দুনিয়াদারি নিয়েই ব্যস্ত থাকার জন্য কাউকে দুনিয়াতে পাঠানো হয়নি! দেখা যাক, পাপ পূণ্যের হিসেবের খাতা
অনুযায়ী তোমার ব্যবস্থা নেয়া হবে।
.
সেই স্কুল থেকে শুরু, এখনো চলছে!! আর পারি না! উপরওয়ালা একটা দড়ি ফেলো! আমি উপরে চলে যাই! না না না এত তাড়াতাড়ি উপরে যাওয়ার দরকার নাই! উপরে গেলেতো আরো ভয়াবহ অবস্থা!!
.
এই ঘ্যান ঘ্যান, প্যান প্যান জীবন চক্রে জর্জরিত হয়ে আমাদের জীবন চলছে! এখন আমরা একেকজন এই চক্রের একেক জায়গায় অবস্থান করছি! আপনি কোন
পর্যায়ে আছেন?
[কালেক্টেড : ফাতারুল ইসলাম রিয়াদ]
ঢাকা, ১৫ মার্চ (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//জেএন
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: