লাইভ প্রতিবেদক : স্ত্রী রুমাইয়া তাসনিম ব্যারিস্টার। তিনি হাইকোর্টে আইন পেশায় যুক্ত। আর তার স্বামী রাহাত আমেরিকায় নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা শেষে বাংলাদেশে এসে হয়েছেন কৃষক। নিজের পায়ে দাঁড়ানোর প্রত্যয়ে হয়েছেন সফল খামারি। বগুড়ার প্রত্যয়ী যুবক রাহাতের জীবনের গল্প এটি।
রাহাত পড়াশোনা করেছেন ইংরেজি মাধ্যমে। ‘ও’ লেভেল পড়েছেন ভারতের দার্জিলিংয়ে, ‘এ’ লেভেল রাজধানীর স্কলাসটিকা থেকে। ব্রিটিশ স্কুল অব ল থেকে আইনে অনার্স করেছেন। যুক্তরাজ্যের নিউক্যাসল শহরের নর্থ অ্যাম্ব্রিয়া ইউনিভার্সিটি থেকে একই বিষয়ে স্নাতকোত্তর করেছেন। একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা বিষয়েও নিয়েছেন স্নাতকোত্তর ডিগ্রি। বাংলাদেশে এসে খামার করেছেন মাছ আর গরুর খামার। শুরুটা মাছ দিয়ে করে সফলতাও পেয়েছেন। এরপর দেড় লাখ টাকায় দুটি বাছুর কিনে শুরু করেন গরুর খামার। এখন খামারে বিদেশি জাতের অর্ধশত গরু আছে। এসব গরুর দাম প্রায় ৬০ লাখ টাকা। গত কোরবানির ঈদে খামারের গরু বিক্রি করে লাভ করেছেন প্রায় দেড় কোটি টাকা।
রাহাতের স্ত্রী রুমাইয়া তাসনিম ব্যারিস্টার। তিনি হাইকোর্টে আইন পেশায় যুক্ত। ‘খামার করি, শুরুতে পরিবারের অনেকেই এটা মন থেকে চাননি। এখন স্ত্রীই সবচেয়ে বেশি উৎসাহ দেন, সহযোগিতা করেন।
আমাদের দেশের মাস্টার্স ডিগ্রীধারী সবাই ডেস্ক জব চায়। কাজে বাইরে পাঠালে তাদের মন খারাপ হয়ে যায়। মনে হয় ডেস্ক জবই তার পাওনা। কষ্ট করে লেখা পড়া করেছে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। বস বাইরে ফিল্ডে কাজ করালে সেলস টিমের কর্মী মনে হয় তাদের। জ্যামে-বাসে চলাফেরা করলে মান ইজ্জত যাবে। এমন মন মানসিকতার কারণে এদেশে বেকার যুবকদের কর্মসংস্থান হচ্ছে না। তবে এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম রাসেল-রুমাইয়া দম্পতি।
স্ত্রী ব্যারিস্টার হলেও স্বামী রাহাত বেছে নিয়েছেন গতানগতিক ধারার বাইরের পেশা। উচ্চশিক্ষিত রাহাত এখন এলাকার বেকার যুবকদের আইকন হয়েছেন। স্বামী স্ত্রীর এমন বৈপরীত পেশা নিয়ে এলাকায় বেশ আলোচিত এই দম্পতি। রাহাতের এমন উদ্যোম এলাকার বেকার যুবকদের প্রেরণা যোগায়। তার দেখাদেখি এলাকায় বেশ কয়েকটি খামারও গড়ে উঠেছে। এগিয়ে যাক দেশ, কর্মসংস্থান হোক বেকারদের এই প্রত্যাশা রইলো।
ঢাকা, ০৭ নভেম্বর (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//সিএস
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: