লাইভ প্রতিবেদক: বাংলাদেশ! শব্দটি কারো কাছে অনেক হতাশার আবার কারো কাছে একটি ফুটন্ত গোলাপের স্বপ্ন। বাংলাদেশের জন্ম যারা মেনে নিতে পারেনি, তাদেরই ষড়যন্ত্রে সেনাবাহিনীর বিপথগামী সদস্যদের হাতে পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট সপরিবারে শাহাদাত বরণ করেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’। যে গ্রন্থ প্রেরণা যোগাবে বঙ্গবন্ধুর রেখে যাওয়া সোনার বাংলাদেশকে বিশ্বের বুকে এগিয়ে নিতে। হৃদয়ের পরতে পরতে অগ্নিশিখার মতো জ্বলতে শিখাবে কিভাবে নিজেকে অকাতরে বিলিয়ে দিয়ে মাতৃভূমি গড়বে।
ঘাতকের বুলেট বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সব সদস্যের প্রাণ কেড়ে নেয়। স্বামী পরমাণুবিজ্ঞানী ড. ওয়াজেদ মিয়ার উচ্চতর শিক্ষা গ্রহণের কারণে জার্মানিতে ছিলেন শেখ হাসিনা। সঙ্গে ছিলেন ছোট বোন রেহানা। বিদেশে থাকায় বেঁচে যান শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা।
যেন বেঁচে থাকে বাংলাদেশের আশাটুকু! দেশের ক্রান্তিকালে ১৯৮১ সালের ১৭ মে পিতার রক্তের স্রোতধারায় ফিরে আসেন শেখ হাসিনা। রক্তাক্ত স্বদেশে পরিবার-পরিজন হারিয়ে নি:স্ব ।
স্বজন হারা পথিকের পথ যেন একটিই আর তা হলো, আমি কি পেলাম তা বড় কথা নয়, আমি আমার দেশকে, জাতিকে কি দিতে পারলাম এটাই যেন লক্ষ্য। নিজের সকল চাওয়া পাওয়াকে উপেক্ষা করে মানবতার উদার মানচিত্র আজ উম্মোক্ত হয়েছে, জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে শক্তি ফিরে পেয়েছে।
বঙ্গবন্ধুকন্যাকে চোখের জলে বরণ করে নেন লাখো জনতা। আবেগাপ্লুত শেখ হাসিনা অশ্রুসজল চোখে শপথ নিয়েছিলেন স্বদেশের মর্যাদা পুন:প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে বিশ্বসভায় মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর। সেই শপথ পূরণে চলছে বঙ্গবন্ধুকন্যার নিরন্তর সংগ্রাম...
ঢাকা, ০৮ মার্চ (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমআই
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: