ঝিনাইদহ লাইভ: আবাসিক হলের ছাত্রী নিখোঁজ নিয়ে তোলপাড় চলছে। কি ভাবে হল থেকে নিখোঁজ হলো, এর নেপথ্যে কাদের ইন্ধন রয়েছে, বা কোন দুষ্ট চক্রের শিকার হয়েছে কি না এ নিয়ে চলছে নানা হিসাব-নিকাশ। পুলিশ ও গোয়েন্দারাও হিমশিম খাচ্ছে ওই ছাত্রীর বিষয়ে। কেউ বলছেন কারো সাথে সে চলেগেছে, আবার কেই বলছেন, এই ছাত্রী এভাবে যেতে পারে না।
তবে সন্দেহের চোখ এখন ঝিনাইদহ শহরের শাহীন ক্যাডেট স্কুলের পরিচালকের দিকে। তিনি এখন নিখোঁজ রয়েছেন। সংশ্লিস্টরা জানান, নূপুর খাতুন নামের (১১) ৬ষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রী নিখোঁজ হয়েছে। এ ঘটনার পর থেকে শাহীন ক্যাডেট স্কুলের পরিচালক মোজাম্মেল হোসেন পলাতক আছেন বলে আবাসিক হলের সূত্রে জানাগেছে।
এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি হরেন্দ্রনাথ সরকার ক্যাম্পাসলাইভকে বলেন, স্কুলছাত্রী নিখোঁজের ব্যাপারে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, শনিবার বিকেলে আবাসিক হল থেকে বেরিয়ে ওই ছাত্রী নিখোঁজ হয়। স্কুলছাত্রীর বাবা কালীগঞ্জ উপজেলার আড়পাড়া গ্রামের ব্যবসায়ী আমিন কাজী বিষয়টি জানিয়েছেন। আমিন ক্যাম্পাসলাইভকে জানান, আমার মেয়েটির কোন সন্ধান পাচ্ছি না। একই সঙ্গে হলের পরিচালক মোজাম্মেলও রয়েছে ধরা ছোয়ার বাইরে। তারও সাথে কোন যোগাযোগ করতে পারছি না। কান্না ভেজা কন্ঠে জানান, আমার মেয়ের সন্ধান পেলেই হলো। আমি আর কিছু চাইনা।
তিনি আরও জানান, ঈদের ছুটি শেষে শনিবার সকালে নূপুরকে তার ভাই আলামিন আবাসিক হলে পৌঁছে দেয়। দুপুরে ও বিকেলে স্কুলে ক্লাসও করেছে নূপুর খাতুন। এরপর বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে নিখোঁজ হয় সে।
রাত সাড়ে ৭টার দিকে স্কুলের এক শিক্ষক মোবাইলে ঘটনাটি আমিন কাজীকে জানালে তিনি পরিচালক মোজাম্মেল হোসেনের কাছে বিষয়টি জানতে চান। সেসময় পরিচালক বিষয়টি অস্বীকার করেন বলে ছাত্রীর বাবা অভিযোগ করেছেন।
তিনি আরো জানান, উপায় না পেয়ে ব্যবসায়ী রাত ১১টার দিকে ঝিনাইদহ সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন। পরে পুলিশ ওই আবাসিক হলে বিষয়টি তদন্ত করতে যায়। সেসময় পুলিশ প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শিক্ষক, কেয়ারটেকার ও পরিচালকের স্ত্রীসহ ছয়জনকে থানায় নিয়ে আসে। এ ঘটনার পর থেকে পরিচালক মোজাম্মেল হোসেন পলাতক রয়েছে তার সাথেও কোন যোগাযোগ করা যচ্ছেনা।
এলাকাবাসী জানান, ঝিনাইদহ শহরের শাহীন ক্যাডেট স্কুলের পরিচালক একটু দুষ্ট প্রকৃতির লোক। তার সঙ্গে সাধারণত কেউ কোন কথা বলতে রাজি হতো না। নিখোঁজের ব্যাপারে তার হাত থাকাটাই স্বাভাবিক।
এদিকে নূপুর খাতুনের কোন খোঁজ পেলে কালীগঞ্জের ধাঁনসিড়ি হোটেল বা ০১৭১৩-৯২৬২৩৬ এই মোবাইল নম্বরে বা সংশ্লিষ্ট থানায় যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন স্কুলছাত্রীর বাবা আমিন কাজী।
ঢাকা, ২৫ সেপ্টেম্বর, (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//আইএইচ
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: